somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোন এক উল্টো দেশের উল্টো রাজা, উল্টো বুদ্ধির প্রজার দেশে ...

০৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা যখন কথা বলি তখন এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করি যার প্রতিষ্ঠিত কিছু মানে আছে এবং তার ফলে যার সাথে কথা বলি তিনি কিছু একটা বুঝতে পারেন। বলতে পারেন এ আবার কি তত্ত্ব হলো, এটা তো সবাই জানে। যদিও সবাই জানে তার পরও বলছি কারন কখনো কখন উল্টোটাও হয়।

যেমন, ছোট একটা শিশু যখন কথা বলা শিখেনি তখনো সে কিছু শব্দ করে, কিছু একটা বুঝাতে চায়। যদিও শুরুতে তার সে কথা কেউ বুঝতে পারে না। তবে অনেক বার শোনার পর বাবা মা সেই কথারও একটা মানে তৈরী করতে পারেন, শিশু কি বুঝাতে চেয়েছিল তা বুঝার পর। তবে শিশু যখন পরিপূর্নভাবে কথা বলতে শিখে তখন সে প্রচলিত শব্দই ব্যবহার করে মনে ভাব প্রকাশ করার জন্য।

এখন আসা যাক, কেন এই অতি পরিচিত কথাগুলো বলছি সেই প্রসংগে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কথাটা প্রথমে যখন আমি শুনি তখন এর কোন মানে বুঝতে পারিনি। এখনো ঠিক বুঝতে পারি না।যদিও ডিজিটাল এবং বাংলাদেশ শব্দ দুটোই অতি পরিচিত। ছাত্র জীবনে ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্স, ডিজিটাল টেলিকমুনিকেশান, ডিজিটাল সিগনাল প্রসেসিং ইত্যাদি পড়ে পড়ে ডিজিটাল সম্পর্কে একটা ভালোই ধারনা হয়েছিল। কিন্তু এই ডিজিটাল এর সথে বাংলাদেশ জুড়ে গিয়ে আমার সর্বনাশ হল। আমার ছাত্র জীবনের সকল সাফল্য ভুল প্রমানিত হল, আমি এর কোন মানে বুঝতে পারলাম না।

যাই হোক, আসলে আমার ধারনা কেউই এর সঠিক মানে জানেন না, কারন এর আসলেই কোন মানে নেই। তবে এই কথা দিয়ে একটা কিছু বুঝনোর চেষ্টা করা হয়েছে। এটাদিয়ে কি ধরনের ভাব প্রকাশ করার চেষ্টা করা হয়েছে, তা নিয়ে অনেকে কিছু একটা অনুমান করার চেষ্টা করছেন এখন। আবার এই কথাটার কি ব্যাখ্যা দিলে তা সর্বাঙ্গ সুন্দর হয় তা নিয়েও ভাবা হচ্ছে।

শুনলাম বিসিএস পরিক্ষায় নাকি এটা নিয়ে রচনাও লিখতে দেয়া হয়েছে। এখান থেকে একটা ধারনা হয়তো পাওয়া যাবে অধিকাংশ মানুষ, ডিজিটাল বাংলাদেশ কথা দিয়ে কি বুঝতে পারছে। এটা শিশুর তৈরী করা অজানা শব্দের মানে করার মতোই মনে হচ্ছে। বাবা মা তার সন্তানের প্রতি চরম ভালোবাসা থেকেই এ চেষ্টা করেন। আমরাও তাই করছি।

এখন অপেক্ষায় থাকার পালা, কখন শিশু প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করে মনের ভাব প্রকাশ করা শিখে তার জন্য। তার পরই এ ব্যাপারে তার একটা স্পষ্ট ধারনা হতে পারে। তখনই কেবল আমরা আশা করতে পারি ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যে আমাদের পথ চলার সূচনা।

(যদিও আমার এই লিখাটা বিশেষ কারও বিরুদ্ধে গেছে, তবুও আমার উদ্দেশ্য বিশেষ কাউকে আহত করা নয়। আমি মনে করি এটা আমাদের জাতীয় সমস্যা। আমি নিজেও এই জাতির অংশ। সেখান থেকেই এই লিখার প্রেরনা পেয়েছি)

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:১৫
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×