somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস হুমকি, নাকি বিশ্বব্যাংকের ঋণ ভাইরাস?

৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি মানুষের জীবনের শেষ অধ্যায়ের সুচনা হয় যখন সে তার চারপাশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমন্ধে নিশ্চুপ থাকে------মার্টিন লুথার কিং

মানুষের জন্য কোন বৃহত্তর বিষয় টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়ায়? ঋণ ভাইরাস? নাকি কৃত্রিম ভাবে উদ্ভাবিত সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস?

ভুয়া ও অতিরঞ্জিত সতর্কতার দ্বারা প্রতারিত হবেন না!

সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস আরেক টি সমন্বিত ঘৃণিত ঘরোয়া নাশকতা মূলক ঘৃণিত চক্রান্ত। এটা বিশ্ব স্বাস্থ্য ও অর্থ মাফিয়াদের ধারাবাহিক অপকৌশল যা ষড়যন্ত্র, প্রবঞ্চনা, বদমায়েশী, যন্ত্রণা দায়ক ও দক্ষ প্রোপাগান্ডা। এই মাফিয়াদের আবিস্কারে ভ্যাকসিন বিক্রেতা, ফার্মাসিউটিকালস কর্পোরেশনস দারুণ লাভবান হয়। যাদের আখড়া হল WHO। তারও পিছনের দৃশ্যে আছে বিভিন্ন নতুন নতুন ওষুধ গবেষণার বিষয় জড়িত ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন ব্যাংকারগণ।

এখন দেখা যাক সোয়াই ফ্লু ভাইরাস কে ঘিরে নতুন অর্থায়নের সুচনা গুলিঃ

বিশ্বব্যাংক মেক্সিকো কে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সাধছে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস নির্মূলের জন্য। অর্থায়নের ক্ষেত্রে কুলষিত ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের জন্য অর্থ ঢালতে রাজী আছে। এখন পর্যন্ত কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই যে এটা আদৌ সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস। এটা আরেক টি পরিস্থিতি যখন বিশ্বব্যাংক ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলো কে ঋণ সাধবে এই তথা কথিত কৃত্রিম সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস নির্মূলের জন্য। এই বিশ্বায়নের কারসাজি যা বিশ্বের বিশাল মানবগোষ্ঠীকে ভীতগ্রস্থ রেখেছে তাদের কে চিরস্থায়ী ভাবে এই সকল সিরিজ তথাকথিত কৃত্রিম ভাইরাসের আতংকে রাখা।

ঋণ ও স্বাস্থ্য সংকট দ্বয় সম্মিলিত ভাবে হচ্ছে ব্যাপক বিপর্যয়ের হাতিয়ার। সোয়াইন ফ্লু কোন দেশের বা জাতির জন্য হুমকি নয়! বরং ঋণ অর্থ ব্যাবস্থাই এবং এর পূর্ব পুরুষ, ভৃত্য এবং সংরক্ষকগণই একটি দেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।

বিশ্ব ঋণ ভাইরাস ইতিমধ্যে পৃথিবীর শত শত কোটি লোকের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে। যারা মরণের মুখোমুখি। মেডিকেল মাফিয়া হল আন্তজার্তিক ব্যাংকারদের অনেক সহযোগীদের একটি।

লেখকঃ এরিক ভি. এনসিনা।

[email protected]


http://www.drcarley.com
Click This Link

*************************

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার WHO এর একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে অষ্ট্রেলিয়ার দি এজ জানায়ঃ মেক্সিকোর ১৫০ জনের সবাই সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসে মারা যায় নি। তাদের পরীক্ষা মতে ৭ জনের মৃত্যু উক্ত ভাইরাসে হয়েছে বলে নিশ্চিত করা গিয়েছে।

Click This Link

*********************

সাম্রাজ্যবাদীরাই আসলে সার্স ভাইরাস তৈরি করে।

Click This Link

আর ইন্দোনেশিয়ান একদল গবেষক বলছেন যে বার্ড ফ্লুও নাকি আমেরিকার কৃত্রিম আবিস্কার;

http://www.indonesiamatters.com/1042/bird-flu

উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় অষ্ট্রেলিয়ায় একবার অত্যাধিক ভাবে খরগোশের সংখ্যা
বেড়ে গেলে তারা মিক্সোমাটোসিস নামক বিশেষ ভাইরাস দ্বারা বহু খরগোশ মেরে ফেলে। ১৯৫০ সালে যেখানে খরগোশের সংখ্যা আনুমানিক ৬০ কোটি ছিল তা ঐ ভাইরাস প্রয়োগ করে ১০ কোটিতে নামানো হয়।

http://en.wikipedia.org/wiki/Myxomatosis

কিন্তু মিক্সোমাটোসিস ভাইরাস কোন মানুষের ক্ষতি করে না। অর্থাৎ বিশেষ বিশেষ ভাইরাস বিশেষ প্রাণী ও উদ্ভিদের ক্ষতি করে থাকে। তবে খুব কম সংখ্যক ভাইরাসই আছে যা একই সাথে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর ঘাতক বা ক্ষতিকারক। সেগুলো প্রাচীন ও স্বাভাবিক গঠনের ভাইরাস। কিন্তু এই সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস একই সাথে মানুষ ও শুকরের ক্ষতি করে তা যথেষ্ঠ প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ এর গঠন প্রণালী যে কৃত্রিম তথা মনুষ্য উদ্ভাবিত তা গবেষণা দ্বারা বুঝা যায়। অর্থাৎ একই সাথে মানুষ ও শুকরের ক্ষতি সাধনের দ্বৈত সক্ষমতা কৃত্রিম ভাবে তথা কোন মানব গবেষকের জিনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর দক্ষতার কথা নির্দেশ করে।

http://www.mathaba.net/news/?x=619927

শুধু তাই নয় বহু গবেষক বলছেন যে এইডস তথা HIV ভাইরাসও আমেরিকার কৃত্রিম আবিস্কার। এ সবই সম্ভব হয়েছে জিনেটিক ইঞ্জানিয়ারিং এর উৎকর্ষতায়। এক সময় সাম্রাজ্যবাদীরা কূটনৈতিক, অর্থিনিতক ও সামরিক শক্তির জোরে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ কায়েম করত। এখনও বিষয় টি সেভাবে সরাসরি না হলেও বিভিন্ন অসম চুক্তি এবং সর্বশেষ প্রযুক্তি দিয়ে সারা বিশ্বের সিংহভাগ দেশ গুলিকে নিজেদের অধীনে রাখা। সাম্রাজ্যবাদীরা পৃথিবীতে চিরস্থায়ী ভাবে তাদের আর্থিক উপার্জনের বন্দোবস্ত করা। বর্তমান পরিস্থিতিতে বলা যায় সাম্রাজ্যবাদীরা যে কোন উপায়ে বিশ্বমন্দা কাটিয়ে উঠার কোন নোংরা ও ঘৃণ্য অপকৌশল বাস্তবায়ন করতে ভীষণ ভাবে উদগ্রীব।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ফাঁদ (The Middle Class Trap): স্বপ্ন না বাস্তবতা?

লিখেছেন মি. বিকেল, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৪৫



বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত কারা? এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কিছু রিসার্চ এবং বিআইডিএস (BIDS) এর দেওয়া তথ্য মতে, যে পরিবারের ৪ জন সদস্য আছে এবং তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×