somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালবাসা সবাই ভালবাসে

৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার জীবনের সকল অস্তিত্ব হঠাৎ জ্বলে উঠা আলোর ঝলকানিতে উদ্ভাসিত করেছিল দিক দিগন্ত। কিন্তু পথিকের পথচলা সহজতর হওয়ার পরিবর্তে আলোর ঝলকানি ধাধিয়ে দিয়ে গেল দৃষ্টিশক্তি। ফলে এখন আমার পথ চলার গতি রুদ্ধ। আমার হারিয়ে যাওয়া আলোর ঝলকানি, অর্জিত সাফল্য, প্রচেষ্টা অাবার ফিরে আসবে কি আসবে না সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, অসুন্দর তৃষ্ণার অগ্নীতে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে ভালবাসা ব্যতিরেকে জীবন কী অসম্ভব? কিন্তু এ কথা তো সত্যি যে, মানুষের জীবনে এমন কিছু সময় আসে যখন এমন অসহায়ত্ব নিয়েই অতিক্রম করতে হয় দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, কিংবা বছরের পর বছর। আমার এই ছোট্ট জীবনে যতটুকু বাস্তবতার সাথে পরিচিত হতে পেরেছি জানিনা। তবে সেই বাস্তব যত কঠিনই হোক সেটাকে মেনে নেয়া ছাড়া আর কোনো গত্যন্তর নেই। মহাসমুদ্রে একফোটা অশ্র যেমন কিছুই না তেমন আমার জীবনের এই কথাগুলোও হয়তো ব্যস্ত সামাজিক জীবনের কাছে খড়কুটোর মতোই। তবুও চলমান জীবনে হাজারো বিড়ম্বনাকে উপেক্ষা করে বেঁচে থাকার প্রেরণা পাওয়া যায় কিছু কিছু মানুষের ভালবাসায়। তখন আবার আমার মনের জানালা দিয়ে হিমেল হাওয়া বয়ে যায়। মৃদু ভেসে আসে বেঁচে থাকার আহবান। মাথার উপর উত্তপ্ত সূর্যের রশ্মিগুলোকে একগুচ্ছো মেঘ এসে ছায়ায় আবিষ্ট করে। মধ্যাহ্নের তপ্ত বালুচরেও এগিয়ে যায় সামনের দিকে, আশা প্রত্যাশার অতল সাগরের খোঁজে। সুখের অনুভূতিগুলো আবার সিঞ্চিত হয়। তবে কোন প্রিয়জনের মৃত্যু হলে বা হারিয়ে গেলে কিংবা অনিচ্ছা সত্বেও তাদের মাঝে কোন ব্যবধান সৃষ্টি হলে উভয়ের সম্পর্ক দিনদিন নষ্ট হয়েই যায়। মৃত্যুতে দুঃখ বেশি থাকলেও তা স্থায়ী কম হয়। মনটাকে এই বুঝ দেয়া যায়, তাকে আর পাওয়া সম্ভব নয়। নিজেকেও তো একদিন এ পথেই যেতে হবে! হারিয়ে গেলে পাওয়ার আশা থাকে। এ আশায় দীর্ঘদিন খুজাখুজি করার পর ধরে নেওয়া হয় যে, হয়তো সে আর বেঁচে নেই। কিন্তু তাকে অন্য কোথাও যদি বিয়ে দেওয়া হয় তাহলে মনে হাজারো রকমের চিন্তা ভাবনা শুরু হয়। এই চিন্তার চাপ সহ্য করতে না পেরে বিভিন্ন জন বিভিন্ন পথ বেঁছে নেয়। যার পরবর্তী জীবনটা হয় উন্নত থেকে আরও উন্নত অথবা জীবনে আসে ধ্বংস। কেউ হয়তো প্রিয়ার শোকে বিষপান করে, গাড়ী চাপা পড়ে, গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে আর কেউবা জীবনটাকে তিলে তিলে ধ্বংস করে যেমন, মদ, গাঁজা, হেরোইন খেয়ে বা প্যাথেডিন ইনজেকশন ব্যবহার করে থাকে। আবার কেউবা রাগে দুঃখে নিজেকে বড় করে তার কাছে গিয়ে দেখানোর স্বপ্নও দেখে। আবার কিছু মধ্যপন্থী লোক আছে যারা জীবনটাকে জনকল্যাণমূলক কাজে উৎসর্গ করে। কেউ-বা কবিতা লেখে, কেউ-বা সাধু সাজে, কেউ-বা বসে বসে আত্মজীবন রচনা করে। অনেককে আবার পাগল হয়ে যেতেও দেখা যায়। জীবনে সবচেয়ে ভালভাবে যে বিষয়টা উপলব্ধি করতে পারছি তা হলো মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা। এই ভালবাসার জন্যই সকল রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্মনীতি, সমাজনীতি। কেউ দেশকে ভালবেসে জীবন দেয়,কেউ-বা নিজেকে বেশি ভালবেসে আপন সন্তানও বিক্রি করে দেয়। আবার কেউ-বা খোদাকে ভালবেসে জীবনবোধন অবহেলা করে তার দিকেই মত্ত থাকে। প্রেম নিয়েও লীলাখেলা। একই মেয়েকে কয়েকজন ভালবেসে তাদের মাঝে সংঘাতের সৃষ্টি হয়। স্বয়ং খোদাই মানুষের ভালবাসা পাবার জন্য অর্থাৎ তাদেরকে দিয়ে এবাদত বন্দেগী করানোর জন্য আদমকে তৈরি করলেন আর তার অনেক আগেই নাকি রছুল (স) কে সৃষ্টি করেছিরেন। যাকে সৃষ্টি না করলে নাকি এই আসমান, চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র কিছুই সৃষ্টি করতেন না। আর রছুল (স) মানুষকে ভালবাসতেন। তাইতো সে অনেক অত্যাচার সহ্য করেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট ছিলেন।

বর্তমানে আমরা দেশকে ভালবাসি, সমাজকে ভালবাসি, আর ভালবাসি এ বিশ্বকে। অর্থাৎ যে ভালবাসা ছাড়া পৃথিবীর কোন কিছুই ঘটছে না। সেই কথাটিকে আমরা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কত অন্যায়, অত্যাচার, ব্যাভিচার এ লিপ্ত তার হিসেব দেয়া অসম্ভব। এই ভালবাসি কথাটি দিয়ে এত অশ্লিল, অনাচার, দুর্নীতি করা যায় কারণ এর প্রতি আমরা সবাই দুর্বল। কেননা 'ভালবাসা' সবাই ভালবাসে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নেতানিয়াহুও গনহত্যার দায়ে ঘৃণিত নায়ক হিসাবেই ইতিহাসে স্থান করে নিবে

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

গত উইকেন্ডে খোদ ইজরাইলে হাজার হাজার ইজরাইলি জনতা নেতানিয়াহুর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
দেখুন, https://www.youtube.com/shorts/HlFc6IxFeRA
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহুর এই হত্যাযজ্ঞ ইজরায়েলকে কতটা নিরাপদ করবে জনসাধারণ আজ সন্দিহান। বরং এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×