somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“টিক-টক” ধারণা

২৭ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




“তোমার মন কোথায়? তার অস্তিত্ব কোথায়? এটা কি তোমার গতকাল রাতের আড্ডাতে? নাকি সামনের মাসের বিয়ের অনুষ্ঠানে? আজি হতে ত্রিশ বর্ষ পরে?”, বলছেন স্টুয়ার্ট ওয়াইল্ড, একজন ব্রিটিশ লেখক।

“টিক-টক” শব্দটি তার মাধ্যমেই এসেছে। মানুষের পতঙ্গতুল্য প্রতিদিনের ৯-৫ এর কর্মজীবনকেই বলা হচ্ছে টিক-টক জীবন। বলা হচ্ছে, এটা এক নীরস প্রথাগত নীতির অনুসরণ যেখানে মানুষ অসচেতন এবং অনাগ্রাহী হয়ে উঠে জীবনের অন্য অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাবনার প্রতি। টিক-টক এর উৎপত্তি মানুষের আত্নকেন্দ্রিক আচ্ছন্নতা থেকে যেটা ধীরে ধীরে মাত্রাধিক পুনরাবৃত্তির ফলে তৈরী করে ভাল-লাগা অনুভুতি। মানুষের প্রাচীনতম সূক্ষ অনুভুতি ও চিন্তাধারাগুলো বিলীন হয়ে যায় জোরপূর্বক সৃষ্ট এই মাত্রাতিরিক্ত প্রদাহে। বর্তমান শুধুই বেঁচে থাকে অতীতের মুহূর্তগুলোর মধ্যে অথবা অতীতকে অস্বীকার করার মধ্যে এবং ভবিষ্যতকে রক্ষা বা প্রভাবিত করার মধ্যে। মানুষের আত্না যেন ঘুমিয়ে থাকে এক অভিশাপে। পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করতে, উৎপাদনশীলতাকে আকাশচুম্বি করতে মানুষের আত্নার এই বিসর্জন, টিক-টক ধারণায় মোহাচ্ছন্ন !

তাওবাদে একটা বিশ্বাস আছে যে এই মহাজাগতিক মহাবিশ্ব, যেটা কিনা আদি ও অন্তহীন কিন্তু এক, তার সবকিছুই শক্তির একটা ছন্দোবদ্ধ প্রবাহ। এটাই এই মহাবিশ্বের একটা অকৃত্তিম প্রকৃতি বা রূপ। মানুষ, যে কিনা এই মহাবিশ্বের এক ক্ষুদ্র সৃস্টি, নিজেকে সরিয়ে নেয় শক্তির এই ছন্দোবদ্ধ প্রবাহ থেকে যখন সে বর্তমানের প্রতি তার মনোযোগ হারায় এবং অতীত আর ভবিষ্যতের ঘটনাসমূহ নিয়ে চিন্তাবিষ্ট হয়।

কিন্তু কি করবে মানুষ? কিভাবে ভাঙবে এই চক্র? বা আদৌ কি প্রয়োজন আছে এই চক্র থেকে বের হয়ে আসার? “প্রগতিশীল” এই জীবনব্যবস্থায় মুক্তির বন্দোবস্থ তো অনেকেই চায় না। আর কিসে মিলবে মুক্তি? আদৌ কি মিলবে?

বলা হচ্ছে, এই চক্র থেকে “পালাবার পথ” আর কিছুই না, শুধুমাত্র মোহগ্রস্থ অবস্থায় ধ্যান করা ! যাকে বলে, Meditation in the Trance state attained through the use of a Theta* metronome. বলা হচ্ছে, এর মাধ্যমেই উচ্চতর উপলদ্ধির মাধ্যমে আত্নার উন্নতি সম্ভব, অথবা আরেকভাবে - তোমার ভেতরের তুমির সান্নিধ্য লাভ।


* The frequency of theta waves is between 4–7 Hz.
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (দ্বিতীয় অংশ)

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:০৫


আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (প্রথমাংশ)
আমাদের সদ্য খনন করা পুকুরটা বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেল। যা মাছ সেখানে ছিল, আটকানোর সুযোগ রইল না। আমি আর দুইবোন শিউলি ও হ্যাপি জালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×