somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাতুড়ে গদ্য (অসংলগ্ন-৩)

২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেনো সে সাবউফারের বিট গুলোকে নিজের হৃদস্পন্দনের সাথে মিলিয়ে নিয়েছিলো, সেটা জেনে ওঠার আগেই একদিন ঢিপ করে সাবউফার অন করার ভোঁতা শব্দে সাথে চন্দ্রলোপার হার্টবিট থেমে গেলো।

'চন্দ্রলোপা' নামটা তার নিজের খুবই পছন্দের ছিলো। কিন্তু নামটার মানে জানা ছিলো না। রাস্তার পাশের টং-দোকান থেকে সিগারেট কিনতে এসে গৃহী আলফেসানীর খুব মন খারাপ হচ্ছিলো। খুলি কামড়ে ধরে থাকা চুলগুলোর ওপর কিছু খাড়া আর কিছু কৌণিক রোদের মনখারাপ করা ঝিকিমিকি সে নিজের মনেও অনুভব করছিলো। আলফেসানীর হাতে একটা রোদেলা রঙ এর দেশলাই। একটা কাঠি জ্বালিয়ে, সেই আগুনের দিকে তাকিয়ে চন্দ্রলোপার গালের উপর আলোর খেলা ভেসে উঠছিলো তার নিউরনে।

বাবা, মা আর দু ভাই নিয়ে চন্দ্রলোপার সংসার ছিলো। থাকতো গ্রামের মত মফস্বলে কিংবা মফস্বলের মতো গ্রামে। ভালোই তো দিন গুলো কেটে যাচ্ছিলো। হঠাৎ একদিন খালার সাথে আলফেসানী এলো। কালো, লম্বা, চিকন, উস্কোখুস্কো আলফেসানী। ওর ভিতর কেমন একটা উদ্ধত ভাব। আধা গ্রাম-আধা মফস্বল কিংবা আধা মফস্বল-আধা গ্রামের চন্দ্রলোপার অভিভূত হবার শুরু। রাতে খাবার পর, যখন সে দেশলাই চাইলো, চন্দ্রলোপার খারাপ লাগেনি। মনে হয়েছিলো এরকমই তো হবার কথা। কিছুটা শান্ত, কিছুটা উস্কোখুস্কো, কিছুটা উদ্ধত।

এর পরে যতবারই চন্দ্রলোপা আলফেসানী যুগলবন্দী হয়েছিলো, ততবারই দুজন দুজনকে আরো কাছে টেনেছিলো। তবে তাদের নিজেরা কোনো কমিটমেন্টে আসেনি। যেখানে আকাশ আর মাটির মানসিকতাটা একই দিগন্তে মিশেছে সেখানে কমিটমেন্ট ততটা...

ফুলতোলা চাদরের উপর নিজের দেহটাকে বিছিয়ে দিয়ে, কৃত্রিম প্রকৃতিকে আত্মস্থ করার সাথে সাথে চন্দ্রলোপা নিজেকে আরেকটি পরিবর্তনে মানিয়ে নেবার চেষ্টায় ছিলো।
কাকতালীয়ই হবে। একই সময়ে আলফেসানীও চেক চেক চাদরের উপর শুয়ে ছাদের বিশালতায় আকাশটা খুঁজছিলো আর সাথে হাত বাড়িয়ে তার প্রিয় সাবউফারটার সুইচ...

মৃদু ভোঁতা ঢিপ শব্দের সাথে সাবউফারটা যখন অন হয়েছিলো, ঠিক তখনই চন্দ্রলোপার হার্টবিটটাও চুপ করে গিয়েছিলো...
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেট্রোরেল পেয়েছি অথচ হলি আর্টিজানে নিহত জাপানিজদের ভুলে গেছি

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৫ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১১

জাপানে লেখাপড়া করেছেন এমন একজনের কাছে গল্পটা শোনা৷ তিনি জাপানে মাস্টার্স করেছিলেন৷ এ কারণে তার অনেক জাপানিজ বন্ধু-বান্ধব জুটে যায়৷ জাপান থেকে চলে আসার পরেও জাপানি বন্ধুদের সাথে তার যোগাযোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুদ্ধে নিহত মনোজ দা’র বাবা

লিখেছেন প্রামানিক, ২৫ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৭১ সালের এপ্রিলের ছব্বিশ তারিখ। দেশে তখন ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছে। উচ্চ শিক্ষিত এবং কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের নিয়েই বেশি সমস্যা। তাদেরকে খুঁজে খুঁজে ধরে নিয়ে হত্যা করছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিয়ে থেতে ভাল্লাগে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৫ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৯

আমার বিয়ে বাড়ির খাবার খেতে ভালো লাগে। আমাকে কেউ বিয়ের দাওয়াত দিলে আমার খুসি লাগে। বিয়ের দিন আমি সেজে গুজে বিয়ে বাড়িতে আয়োজন করা খাবার থেতে যাই। আমাদের এলাকায় বর্তমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুর সামনের পাতার ৯টি পোষ্টে শুন্য (০ ) মন্তব্য।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৫ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০



আজকে সকালে একটু দেরীতে ( নিউইয়র্ক সময়, সকাল ৮:২১ ) সামুতে লগিন করলাম; লগিন করে আজকাল প্রথমে নিজের লগিন স্ট্যাটাস পরীক্ষা করি: এখনো সেমিব্যানে আছি। মোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহর সাহায্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪০



দুই মেয়ের পরীক্ষা বিধায় আমার স্ত্রীকে লক্ষ্মীপুর রেখে আসতে গিয়েছিলাম। বরিশাল-মজুচৌধুরীর হাট রুটে আমার স্ত্রী যাবে না বলে বেঁকে বসলো। বাধ্য হয়ে চাঁদপুর রুটে যাত্রা ঠিক করলাম। রাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×