সব মৃত্যুই অর্থহীন এমন কি জীবন অর্থহীন, এই অর্থহীনতার ভেতরেও মানুষ বেঁচে থাকে, এবং কেনো বেঁচে থাকে এ প্রশ্ন করাটা অনর্থক, প্রত্যেকের নিজস্ব একটা গল্প আছে, এমন অনেক গল্পই হয়তো মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে বলা যায়।
তিন বন্ধু হাইওয়েতে গাড়ী চালানোর সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলো। প্রত্যেকের পরিবার ছিলো, প্রিয়জন ছিলো, তারা সামান্য ঘুম ভেঙে যখন উঠলো তখন দেখলো একজন ফেরেশতা কাঁধে টোকা দিচ্ছে তাদের-
ফেরেশতা প্রথম বন্ধুকে বললো- তুমি যখন তোমার প্রিয়জনদেরখাহাকার শুনছিলে, তখন তুমি তাদের কাছ থেকে কি কথা শুনতে চেয়েছিলে?
আমি ভেবেছিলাম, ওরা বলবে, আমার শুণ্যতায় সব অন্ধকার হয়ে যাবে, আমি কত চমৎকার মানুষ ছিলাম, যে পরিবারের সবার প্রতি সমান মনোযোগ দিয়েছিলো-
ফেরেশতা তাকে ছেড়ে দ্বিতীয় বন্ধুকে ডেকে বললো, তুমি মৃত্যুর পরে যখন তোমার পরিবার পরিজন হাহাকার করছিলো তখন তাদের মুখ থেকে কি শুনতে চেয়েছিলে?
যদি তারা বলতো, আমি চমৎকার একজন মানুষ, যে নিজের আদর্শ আর ব্যক্তিত্ব দিয়ে সবাইকে জয় করেছিলো, মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিলো-
ফেরেশতা তাকে ছেড়ে তৃতীয় বন্ধুকে বললো, তুমি কি শুনতে চেয়েছিলে বলো?
আমি আশায় আশায় ছিলাম, তারা বলবে, দেখো দেখো ও নড়ছে।
-------------------------------------------
যুগান্তরের মালিকের মৃত্যু হলো, পুল সিরাত অতিক্রম করে বেহেশতে ঢুকবার মুখেই ফেরেশতা থামালো তাকে- তোমার তো বেহেশতে ঢুকবার অনুমতি নেই, তুমি পৃথিবীতে অনেক দুর্নীতি করেছো, অনেক মানুষের অধিকার হরণ করেছো। তোমার ইনকাম ট্যাক্স ফাইলে গোলমাল আছে-
তোমার শাস্তি হলো, তোমাকে বৃদ্ধ একজন মহিলার সাথে আনন্দিত মুখে ৫ বছর সংসার করতে হবে।
বেহেশতে যাওয়ার তুলনায় এই ত্যাগ তেমন বড় কিছু না, সুতরাং সে বৃদ্ধাকে নিয়ে শান্তিতে সংসার শুরু করলো-
কয়েক দিন পরে বিকেলে বৃদ্ধার সাথে বের হওয়ার সময় দেখলো, বসুন্ধরার মালিক আরও বৃদ্ধা একজন মহিলাকে নিয়ে সংসার করছে।
তোমারও কি ইনকাম ট্যাক্সে ঝামেলা ছিলো।
শুধু ইনকাম ট্যাক্স না, আমি সরকারের অনেক টাকা লোকসান করেছি। তবে ৫ বছর তো দেখতে দেখতে কেটে যাবে।
তারা এক সাথে হাঁটতে হাঁটতে দেখলো, তাদের পুরোনো বন্ধু চমৎকার সুন্দরী এক মহিলার সাথে ঘুরছে।
তুমি কি করেছিলে বলোতো?
আমি জানি না, সত্যি বলছি, তবে এটা বলবো, এমন চমৎকার সময় আমি আর কখনও কাটাই নি, তবে একটাই সমস্যা- প্রতিরাতে সঙ্গম শেষ হওয়ার পরে মেয়েটা উল্টা দিকে মুখ ফিরিয়ে বলে, শালার আগে জানলে জীবনেও ট্যাক্স ফাঁকি দিতাম না।
-------------------------------------------------------------------
হঠাৎ করেই দরজা খুলেই শয়তানের মুখোমুখি হয়ে গেলো এরশাদ।
নাহ শেষমেষ দোযখেই আস্তানা হলো আমার?
শয়তান মৃদু হেসে বললো , দোযখ খুব একটা খারাপ জায়গা না বুঝলে, ধরো তুমি কি মদ খেতে ভালোবাসো?
অবশ্যই- তাহলে তো তোমার সোমবার খুব চমৎকার কাটবে, সেদিন আমরা সারাদিন শুধু মদ খাই আর হল্লা করি, খেতে খেতে বদ্ধ মাতাল হয়ে যাবে তুমি, বমি করবার পরে আবারও মদ খেতে পারবে, আর সুবিধা কি জানো, তোমার কখনও হ্যাং ওভার হবে না।
তাই? এরশাদ আনন্দিত হয়ে বললো-
আচ্ছা তুমি কি জুয়া খেলতে পছন্দ করো?
আমার তো দারুণ লাগে জুয়া খেলতে-
তাহলে তো তোমার মঙ্গল বার চমৎকার কাটবে, সেদিন এখানে সারাদিন জুয়া খেলা হয়, তুমি কি খেলতে চাও, যা ইচ্ছা সেটা নিয়ে জুয়া খেলতে পারবে, যত খুশী বাজী ধরতে পারবে, এরজন্য তোমাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না।
এরশাদ বেশ আনন্দিত হয়ে গেলো,
আমি নিশ্চিত তুমি পর্ণো ভালোবাসো।
কুঞ্চিৎ চামড়ায় ঝিলিক খেলে গেলো-
তাহলে তোমার বুধ বার চমৎকার কাটবে, সেদিন আমরা যার যেটা ইচ্ছা পর্ন দেখি।
তুমি কি মেয়েদের সাথে মিশতে পছন্দ করো?
এরশাদ তখন নিশ্চিত এর চেয়ে আনন্দের জায়গা আর হতেই পারে না।
শয়তান বললো তাহলে তো তোমার বিষ্যুদ বার চমৎকার কাটবে- সে দিন যার যে মেয়েকে পছন্দ হয়, তার সাথেই কাটাতে পারে ও, যত খুশী মৌজ করতে পারে।
আচ্ছা তুমি কি গে?
কি যে বলো, আমি মেয়েদের ভালোবাসি, মেয়েরাও আমাকে ভালোবাসে।
শয়তান একটু চুপ থেকে বললো, তাহলে তোমার শুক্রবারটা খুব খারাপ কাটবে।
----------------------------------------------------------------------------
আফ্রিকায় গিয়েছে রহস্য মানব, তার পেশা জঙ্গলে দারোয়ানী করা।
হঠাৎ করেই মুগাবের ফোন, তুমি জলদি আসো, আমার বাগান বাড়ীতে একটা গরিলা এসে আস্তানা গেড়েছে-
তুমি এসে বাঁচাও আমাকে।
রহস্য মানব, বাক্স পোটারা গুছিয়ে রওনা দিলো মুগাবের বাগান বাড়ীতে।
মুগাবে তার সাথে হাত মিলিয়ে বললো, তো কি করতে চাও।
শুনো এই রাখো হাতকড়া, এই যে একটা বন্দুক, আর আমার সাথে যে কুকুরটা আছে, সেটার দিকে খেয়াল করবে।
তো তুমি কি করতে চাচ্ছো?
আমি গাছের উপর উঠে গরিলাকে খুঁচিয়ে নীচে ফেলে দিবো।
নীচে ফেলা মাত্রাই এই কুকুরটা গিয়ে গরিলার বীচি কামড়ে দিবে, নিজেকে বাঁচানোর জন্য যখন গরিলা হাত জড়ো করবে, তুমি হাতকড়া পড়িয়ে দিবে ওর হাতে।
সবই বুঝলাম কিন্তু বন্দুকটা কেনো?
ধরো আমি গরিলাকে খুঁচাতে গিয়ে নিজেই পড়ে গেলাম, তখন তুমি কুকুরটাকে গুলি করে মেরে ফেলবে।
ঘটনা সে মোতাবেকই ঘটলো, তবে ডাল ভেঙে রহস্য মানব যখন পড়ছিলো, তখন হতচকিত মুগাবে ভুলে গিয়েছিলো বন্দুক দাগার কথা।
----------------------------------------------------------------------------
শেষ পর্যন্ত যা বলতে চেয়েছিলাম-
আমরা ছোটোদের অনেক কিছুই শিখাই, সামাজিকতা শিখাতে চাই, কোনটা কোন পরিবেশে বলা উত্তম এবং কোনটা বলা উচিত নয়।
মা বাসায় নেই, হঠাৎ করেই খেয়াল হলো ছেলের বাবা মায়ের বেড রুমে লুকানো আছে চকলেট,
বেডরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে ফিসফাস শব্দ শুনে, চাবির গর্ত দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখলো কিছু একটা, তারপর ছুটলো ছোটো ভাইকে খবর দিতে-
শুন একটা জিনিষ দেখাবো তোকে , কিন্তু সাবধানে দেখবি কিন্তু-
কেনো
ঐ পাশের বাসার মহিলাকে মনে আছে, যে আমাদের আঙ্গুল চোষার জন্য থাপড়ে গাল লাল করে ফেলেছিলো?
---------------------------------------------------------------------------
চৌধুরী বাড়ীর অনুষ্ঠানে শোভন গিয়েছিলো চাচার সাথে।
বাসা ভর্তি মানুষ জন, এর ভেতরে শোভন দৌড়ে এসে চাচাকে বললো, চাচা চাচা বিশ্বাস করবে না একটা ষাঁড় অন্য একটা গাভীকে কি দেওয়াটা না দিচ্ছে।
ঘরভর্তি মানুষের সামনে কিছুটা বিব্রত হয়ে চাচা বললো, এরপর যদি এমন কিছু দেখো তাহলে বলবে হঠাৎ করেই চমকে দিয়েছিলো- বুঝলে, সবার সামনে এইসব বাজে কথা বলতে হয় না।
কয়েক দিন পরে বাসার সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছে, হঠাৎ করেই শোভন ঘরে ঢুকেই বললো, চাচা চাচা বিশ্বাস করবে না, আমাদের ষাঁড় সব কয়টা গাভীকেই চমকে দিয়েছে।
ঘর ভর্তি মানুষ মৃদু হাসি নিয়ে তাকিয়ে বললো, সেটা কিভাবে হয়- একটা ষাঁড়তো একটা মাত্র গাভীকে চমকে দিতে পারে।
না সব গাভীই চমকে গিয়েছে,
সেটা কিভাবে হয়?
ষাঁড়টা এখন কুকুরটাকে ধরে দিচ্ছে।