আজ ২৩ এপ্রিল বিশ্ব গ্রন্থ ও মেধাস্বত্ত্ব দিবস। এই দিনটি বিশ্বের লেখক, পাঠক, প্রকাশক, পুস্তকবিক্রেতা ও গ্রন্থ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন। বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, সারভান্তেস, ইনকা গারসিলাসের মতো বিখ্যাত লেখক এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন। শুধু তাই নয়, আশ্চর্য মোহনার মতো এই দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখকেরই জন্ম এবং মৃত্যুদিবস। মরিস ড্রন, হেলডার কে লাক্সনেস, ভাদিমির নভোকভ, যোসেফ প্লা এমন অনেক লেখকের জন্ম অথবা মৃত্যু এই দিনটির সঙ্গে যুক্ত।
১৯৯৫ সালে ইউনেস্কো তার সাধারণ সভায় এই দিনটিকে বিশ্ব গ্রন্থ ও মেধাস্বত্ত্ব দিবস হিসেবে গ্রহণ করে। বিশেষত শিশু এবং তরুণদের জন্য- তারা যেন আনন্দময় গ্রন্থপাঠের মধ্য দিয়ে বিশ্বজগৎ আবিষ্কার করতে শেখে। ইউনেস্কোর আরো উদ্দেশ্য ছিল- তরুণ প্রজন্মকে মুক্তবিশ্বের অংশীদার করা এবং সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক বিকাশের মাধ্যমে একটি মানবিক পৃথিবী গড়ে তোলা।
২৩ এপ্রিল বিশেষভাবে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের ঐতিহ্যেরও খুব তাৎপর্যময় একটি দিন। আজ থেকে ৮০ বছর ধরে সেন্ট জর্জ দিবস হিসেবে বছরের এইদিনে তারা ভালবাসা এবং শ্রদ্ধায় পরস্পরকে গোলাপ এবং গ্রন্থ উপহার দেয়।
বিশ্বসংস্কৃতির বিকাশে বিশ্ব গ্রন্থ ও মেধাস্বত্ত্ব দিবসের সাফল্য আমাদের মননশীলতার জন্য জরুরি। তা নির্ভর করবে আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগ ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে। লেখক, প্রকাশক, শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক, সাধারণ নাগরিক, ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান, মানবিক সংগঠন, গণযোগাযোগ এবং মিডিয়া মাধ্যমকে এ জন্য এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যদি ইউনেস্কোর ন্যাশনাল কমিশন, ইউনেস্কো কাব, এসোসিয়েট অব স্কুল অ্যান্ড লাইব্রেরির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী এই দিবসের তাৎপর্যকে ছড়িয়ে দিতে পারি, যদি আমাদের চেতনাকে এই অঙ্গীকারে প্রবাহিত করতে পারি তাহলে গ্রন্থ এবং লেখকের জন্য তা হবে অত্যন্ত উদ্দীপনার।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:১৮