নিরালায় বসে কেটে যায় অনেক অনেক বিকাল। তারপর সন্ধ্যা নামে। গাঢ় অন্ধকার নেমে আসে জানালার শার্সিতে। আবছা হয়ে উঠে দুরের উচু ভবনের ছাদের টবের ফুল গাছ। রাত নামে একরাশ প্রতীক্ষা নিয়ে। এই প্রতীক্ষার বন্ধনী নেই, নেই নির্ধারিত অঙ্গন।
হারিয়ে ফেলা কিংবা খুঁজে বেড়ানো তখন যুগপৎ হয়ে উঠে। যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ছোট্ট ঘরের ভেতর বসে বসে সময় পার করে দেই। ফেরাতে গিয়ে বলার মতো কিছুই পাই না। হয়তো বলার মতো খুব কিছু নেই্ও আমার কাছে। অন্তরের মেঘগুলো ঘুরে ঘুরে বেড়ায় মনের আকাশে। বৃষ্টি হয়ে যখন নামে, কেউ বুঝে না, বুঝে কেবল দুটি চোখ।
অন্ধকার রাতে যখন রাস্তায় হেটে হেটে বাসায় ফিরি তখনো ভাবনায় মজি। যদি হারিয়েই ফেলি তবে কি টুপ করে যাবে পঞ্চমীর চাদ? গাঢ় অন্ধকারে তখন হেটে বেড়াতে হবে আলোকবর্ষ দূরত্ব সমান পথ? তীরে প্লাবন জাগে, লাবণ্যময় দিনের প্রত্যাশায় হৃদয় হয়ে উঠে শ্রাবণমথিত। পৃথিবীর তিন ভাগ জলের সমান অনুভুতি নিয়ে কিছুই করতে পারি না। আমি কেবল বহু সাধ্যি করে প্রতীক্ষা করা শিখেছি। যখন মন খুঁজে বেড়ায়, আমি তেমন কিছুই করতে পারি না....কেবল নিরালায় বসে গেয়ে উঠে পারি....
মন তোমারে খুঁজে বেড়ায়
বসে নিরালায়
যাইয়ো না যাইয়ো না
অবেলায়
অন্তরে মেঘ, বাহিরে ঝড়
আন্ধার রাতের অচেনা ঘর
হারাও যদি পাবো কি নাও?
হারাও যদি পাবো কি তোমায়
যাইয়ো না যাইয়ো না
অবেলায়
আপনজনে আপন হইয়া
পরের মতো যাও হারাইয়া
ভাসলে কেন তবে প্রেমে
ভাসলে কেন প্রেমের ভেলায়
যাইয়ো যাইয়ো না অবেলায়।
শিল্পী : চয়ন
গানের লিংক