somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কমেডি নাকি ট্রাজেডি !!!!! (হাল্কা ১৮+)

২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনা১


২য় সেমিস্টারে উঠার পরে পড়াশোনা শিকেয় উঠায়া রাখছি। ওই দিকে পরীক্ষা একদম কাছে আগায়া আসছে। ক্লাসে যেতে যেতে সিড়ি দিয়ে তাই উঠার সময় ভাবতেছিলাম কী করা যায়! মনে মনে নিজেকে সান্তনা দিতেছি যে, কোন ব্যাপার না, ধুমধাম পড়ে সব শেষ করে দিব। দরকার হলে গেইমস খেলার সময় কমিয়ে দিব(আমার পক্ষে আসলে সম্ভব না:)), এইসব হাবিজাবি। পাশে দেখি এক বান্ধবী, চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছে কিছু একটা হইছে।

আমি বলি, দোস্ত, কী হইছে রে ? সে বলে,” পাগলা, আমি ত শেষ। ” আমি মনে করলাম, বোধহয় ওই ঘটনা ঘটাইছে :P(আজকালকার দুনিয়ায় যেই অবস্থা!!:|)। আমি ওকে সান্তনা দিলাম, বললাম, এসব ব্যাপার না। হাসপাতালে গেলেই সব ঠিক করে দেয় এখন। সে বলল যে, সেও একই চিন্তা করতেছে।

আমি আরও কিছুক্ষণ সান্তনা দিলাম, বুঝাইলাম যে এসব ব্যাপার না। কিন্তু, মেয়ে খুবই আপসেট। আমি বললাম, কোন মেডিসিন নিছে কী না! সে জানাল নিয়েছে, তাও কাজ হয় নাই। আমি বুঝলাম, দেশে সবই ভেজাল। এখন মেডিসিনও ভেজাল। X((যাই হোক, বান্ধবীর মন খুবই খারাপ।আমার ক্লাস শুরু হচ্ছে, আমি যাওয়ার সময় বললাম, এখন টেনশন করে লাভ কী? বয়ফ্রেন্ডের সাথে থাকার সময় মনে ছিল না?:P


বান্ধবী চমকে উঠল। আর শুরু হল গালিগালাজ এবং এক ঝাঁক হুমকি !!!X((

ঘটনা যা বুঝলাম, তা হল, ওর শরীর খারাপ ছিল ২ দিন। এই ২ দিল ও কিছু পড়েনি। এতেই তার ধারণা সে পরীক্ষায় ফেইল করবে !! তাই তার মন খারাপ। আর অসুস্থ ছিল বলেই আমি প্রথমে হাসপাতালের কথা বলায়, সে স্বাভাবিক ভাবে নিছিল।

আর,আমি ভাবি কী !!B-)B-)
ভাল ছাত্র কারা আর তাদের লেখাপড়ার নমুনা দেখে আমি আবারও বুঝলাম যে, এবার পরীক্ষায় আমার কোন আশা নাই। :((


ঘটনা২

কলেজে খুবই ভাবের সাথে চলতাম, কারণ আমার ছিল কলেজের সবচেয়ে বড় গ্রুপ। বলতে গেলে, সেই গ্রুপের লিডিং পজিশনেও আমিই ছিলাম। তখন, আমার যে কোন সিদ্ধান্তে সবার আগে একমত পোষণ করত আমার খুব কাছের দোস্ত মামুন। ও খুবই ভাল ছাত্র। সারাদিন পড়াশোনা নিয়েই থাকত। ও এমনিতে রাগী ছিল।আর, কোন মেয়ের সাথে কথা বলার সময় একদম পাকা আপেলের মত লাল হয়ে যেত।B-)

যাই হোক, দোস্ত এখন ঢাবিতে ফিজিক্স পড়ে। ২ মাস পড়ে দেখা। এখন ওকে দেখে আমি অবাক। চোখে মুখে ঢাবি ভাব। মানে, ওরে দেখলেই মনে হবে যে মিছিলে যাচ্ছে, পুরা জ্বালাও পোড়াও ভাব। সে এখন রাজনীতিতেও জয়েন করছে। X(( যাই হোক, তাকে নিয়ে উঠছি বাসে। লিংক রোডের দিকে যাওয়ার সময় বাসের গতি একটু বেশিই ছিল, সেই গতিতে এমনভাবে বাস টা মোড় ঘুরল যে আমরা সিটে বসেই পাল্টি খেলাম। X(( আমি জানালার দিকে আর মামুন আমার পাশে। আমি ভাবতেছি,বাসের জড়তার ভ্রামকের কারণে আমার বিচ্যুতি হিসাব করে কোনভাবে বাসের গতি বের করা যায় কী না !! :| ফিজিক্সে পড়া মামুনের কোন সূত্র জানা আছে কীনা ।ওর দিকে তাকিয়েই আমি চমকে উঠলাম। এতক্ষণে সে বাসের কন্ডাক্টরের দিকে ঘুসি বাগায়ে ফেলছে,আর গালিগালাজ ত আছেই। /:) ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আমি দেখি, সেখানে ও মনে মনে এই বাসে আগুন জ্বেলে দিছে। আমি ভয় পেয়ে গেলাম, আর ভাবলাম দোস্তের এ কী অবস্থা ! যাই হোক, সবাই ধরে টরে যখন ঠিক করল ওকে, তখন ওর পাশের ছেলেটা একটা স্টপেজে নেমে গেল, আর সেখানে একটা মেয়ে এসে বসল।:P

এইবার দেখি দোস্ত ঠাণ্ডা। সে লাজুক মুখে একবার ওইদিকে তাকায়B-), আর নিচে তাকায়। বাস কয়েকবার ঝাঁকি খাইল, আমি ভয়ে ভয়ে ওর দিকে তাকাই/:)। দেখি সব ঠাণ্ডা।:) আমি আস্তে করে বললাম, দোস্ত তোর ডিপার্টমেন্টের মেয়েদের কথা কিছু বল ত। তার থেকে জানলাম, বেশির ভাগ ভিকারুন্নেসা থেকে আসছে, ওখানে চান্স পাওয়ার জন্য বাবা মা নাকি মেয়েকে আরেক জায়গায় ক্লাস ৪ পর্যন্ত পড়িয়ে আবার ওখানে ক্লাস২ তে ভর্তি পরীক্ষা দেয়াইছে।এরপরে, আবার সবাই নাকি ইন্টার পাশের পর প্রথম বছর মেডিকেলে পরীক্ষা দিয়ে চান্স না পেয়ে ২য় বছর এখানে আসছে, তাই সবাই ওর অনেক সিনিয়ার। আর, এরপরেও সেইম এজের যে কয়জন আছে, তারা বুকড। /:)
বন্ধু তাই পুরা খালি !! হা হা হা হা হো হো হো ।:D:D:):P
সে এখন কথায় কারে মাইর দিবে, কার ঠ্যাং ভাংবে সেই কথা চিন্তা করে।
কিন্তু, পাশের মেয়েটার জন্য সে এখন ঠাণ্ডা:P। সেই অজ্ঞাত মেয়ের জন্য আমার দোস্তকে কিছুক্ষণের জন্যেও হলেও আগের অবস্থায় ফিরে পাইছি। তাই তাকে ধন্যবাদ:)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:০৫
৩১টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×