somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুভ জন্মদিন, আডল্‌ফ হিটলার

২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ থেকে ঠিক ১২০ বছর আগে এই দিনে জন্ম নিয়েছিল ইতিহাস বিখ্যাত সৈরশাসক আডল্ফ হিটলার। তাই আজ হিটলারের ১২০তম জন্মদিন। তাকে নিয়ে একটি লেখা লিখব যখন ঠিক করলাম তখন শুরুতেই লিখেছি “শুভ জন্মদিন হিটলার”। এটা কি ঠিক হল!! হিটলার ১৭ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করেছে তার জন্মদিন কি শুভ হতে পারে। কারন তার জন্ম না হলেই তো পৃথিবীর জন্য মঙ্গল হত। হিটলার কে নিয়ে অনেকের মনেই আগ্রহ আছে। যে লোক ১৯৩৩ সাল থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানী শাসন করেছে এবং একনায়কতন্ত্রের নিষ্ঠুর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তার সম্পর্কে আগ্রহ থাকাটাই স্বাভাবিক। হিটলারের নাৎসি পার্টির অনেক প্রচলিত কাহিনী রুপকথাকেও হার মানায়। সেই সব নিষ্ঠুরতার কাহিনী রুপকথার রাক্ষস-খোক্ষসের চাইতেও ভয়ংকর।

হিটলারের জন্ম জার্মানীর সীমান্তবর্তী একটি ছোট অষ্ট্রিয়ান গ্রাম ব্রাউনাউ-আম-ইন। দিনটি ছিল ১৮৮৯ সালের ২০ শে এপ্রিল সময় বিকেল ৬:৩০ মিনিটে। তার বাবা নাম আলোয়িস হিটলার, তিনি ছিলেন একজন কাস্টমস্ অফিসার। আডল্ফের মায়ের নাম ক্লারা, তিনি আলোয়িস এর তৃতীয় স্ত্রী ও কাজিন ছিলেন। আলোয়িস এবং ক্লারার ৬ টি সন্তান হয়েছিল, যার মধ্যে কেবল মাত্র আডল্ফ এবং তার বোন পাউলা জীবিত ছিল। আডল্ফ এর বাবা আলোয়িস ছিলেন জারজ সন্তান। যতটুকু জানা যায়, তার মা মারিয়া আন্না সিকেলগ্রাবার প্রতিবেশী মিলশ্রমিক জোয়ান জর্জ হিটলার এর মিলিত ফসল আলোয়িস হিটলার । যদি তাই হয় তবে আডল্ফ হিটলারের দাদা ছিলেন একজন ইহুদী। কিন্তু মারিয়া সিকেলগ্রাবার দাবী করেন যে, তিনি ফ্রাঙ্কনবার্গর নামে এক ধনী ইহুদী পরিবারে রাধুনীর কাজ করতেন। সেই পরিবারের ১৯ বছরের ছেলের কারনে একসময় সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। অতপর আলোয়িসের জন্মের পরও তারা তাকে নিয়মিত ভাবে টাকা পাঠাত। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে আডল্ফ হিটলার নিশ্চিতভাবে জানতেন না যে তার দাদা কে ছিলেন। যে কারনে আডল্ফের বাবা আলোয়িস জন্মের পর তার মায়ের নামের সিকেলগ্রাবার নিজের নামের সাথে যুক্ত করেছিলেন। পরে চাকুরীতে যোগদানের পর নাম পরিবর্তন করে আলোয়িস হিটলার নাম রাখেন।

আডল্ফের ছেলেবেলা সুখের ছিল না। তার বাবা তাকে এবং তার মাকে মারধর করত। হিটলার নিজেই বলেছেন তার বাবা তাকে প্রায়ই মারতেন এবং সে কখনই ভুলতে পারবে না সেই কান্নার কথা, যখন বাবা তাকে চাবুক দিয়ে পেটাত আর মা ভয়ে দরজার পেছনে লুকিয়ে থাকত। হিটলার তার লেখা “মেইন কেম্ফ” এও তার পারিবারিক অশান্তির কথা লিখেছেন, সেখানে তার মায়ের প্রতি মমতা এবং বাবার প্রতি ঘৃনা ফুটে উঠেছে। অনেক ইতিহাসবিদরা মনে করেন এই পারিবারিক কলহ, তার বাবার মায়ের প্রতি নিষ্ঠুর আচরন এগুলো পরবর্তীতে তার মানসিক বিকৃতির কারন।

হিটলার ইলিমেন্টারী স্কুলে খুবই ভাল ছাত্র ছিল, কিন্তু ৬ষ্ঠ গ্রেডে মানে হাইস্কুলে ওঠার প্রথম ধাপে সে ফেল করে এবং তাকে আবার ৬ষ্ঠ গ্রেডে রাখা হয়। তার শিক্ষকবৃন্দ মনে করতেন হিটলার কুড়ে, পরিশ্রম করার কোন ইচ্ছা তার মধ্যে নেই। ১৯০৩ সালের ৩রা জানুয়ারি হিটলারের বাবা আলোয়িস হিটলার ৬৫ বছর বয়সে ফুসফুসের রক্তক্ষরনে মৃত্যুবরন করেন। এরপর ১৯০৫ সালে ১৬ বছর বয়সে হিটলার হাইস্কুল ছেড়ে দেন। বছরখানেক অলসভাবে ঘুরে বেড়ানোর পর তার মা তাকে ব্যাবসা শেখা বা কোন কাজ জোগার করার জন্য চাপ দিতে থাকে, কিন্তু কিশোর হিটলার কোন কিছুতেই আগ্রহ বোধ করত না। আসলে বাবা মারা যাবার পর হিটলারকে বলার মত কেউ ছিল না, সে শুধু তাই করত যা তাকে আকর্ষন করত। ছোটবেলা থেকেই হিটলার আর্টের প্রতি আগ্রহী এবং আর্টে নেচারাল টেলেন্ট ছিল। তাই একসময় হিটলার আর্ট শেখার জন্য মায়ের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে ভিয়েনা রওনা হল। তখন ভিয়েনা ছিল আর্ট, মিউজিক এবং ইউরোপিয়ান কালচার এর জন্য বিখ্যাত। হিটলার সেখানে খুব আগ্রহ নিয়ে স্থাপত্যবিদ্যায় শিক্ষাগ্রহন করতে শুরু করল। একটিবার মাত্র দেখেই যেকোন বিল্ডিং এর নকশা সে হুবহু আর্ট করতে পারত এবং সে অনেক বিল্ডিং এর নকশা পরিবর্তন করে আরও উন্নত নকশা তৈরী করেছিল। তার মধ্যে প্রতিভা ছিল কিন্তু সে ছিল খুবই অলস আর এ কারনেই তার মহান আটিস্ট হবার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।

...... দু:খিত, আমাকে একটি জরুরী কাজে এখন বাইরে যেতে হচ্ছে। ফিরে এসে বাকিটুকু লিখে শেষ করব।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩০
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×