অনেকখন থেকে সবাই খুজে খুজে হয়রান, কিন্তু ছেলেটির কোন খোঁজ নেই। বাড়িসুদ্ধ লোক মিলে প্রতিটা ঘর, রান্নাঘর, বাথরুম সবই খোঁজা শেষ, কিন্তু ছেলেটির কোন পাত্তা নেই। সবার চোখে-মুখে একটা চাপা আতঙ্ক, কোথায় গেলো ছেলেটি। ছেলেটির মায়ের কাঁদো-কাঁদো চেহারা, ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছেনা ...
এমন সময় কোন এক উর্বর মস্তিস্ক থেকে বের হলো, বাড়ির পিছনে একটি পুকুর আছে ... সবকিছু ফেলে সবাই দৌড়, হাতে টর্চ-হারিকেন, কিন্তু পাওয়া গেলো না ছেলেটিকে।
সবাই বাড়ির পিছন দিকের বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে কথা বলছে, কি করা যায়? হঠাৎ, রান্নাঘরের পিছন দিকের কোনায় একটা লিচু গাছের নিচে নড়া-চড়ার আভাস পেয়ে টর্চের আলো ফেলতেই পাওয়া গেলো জনাবকে।
চুপটিকরে বসে অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে আছে ..... কি যে দেখছিলো আল্লাহ জানে।
দুই-তিনজন মিলে তুলে আনা হলো ঘরে, সবাই ঘিরে দাঁড়িয়ে এটা-সেটা জিঙ্গেস করছে, কিন্তু কোন কিছুই ওর মুখ থেকে বের হলো না। ঐ সময়টাতেও সে তাকিয়ে ছিলো বাহিরে অন্ধকারের দিকে। পরে এটা নিয়ে আমরা অনেক হাসাহাসি করেছি, মজা করেছি।
কিন্তু কিছুদিন পর এই ছেলেটিই হারিয়ে গেলো চিরতরে, সব মায়ামমতা-হাসিঠাট্টা-আনন্দবেদনা পিছনে ফেলে পাড়ি জমালো অনন্তের পথে। যেখান থেকে কেউ কোন দিন ফিরে আসে না। দিনটির কথা মনে হলে একটা শুন্যতা অনুভব হয়, মনে হয় কি যেনো থেকেও নেই।
পৃথিবীসুদ্ধ লোকের কাছে ওর অস্তিত্ত না থাকলেও আমার কাছে আছে। আমি জানি ও আছে, আমার আশপাশেই আছে, আমি অনুভব করি ওর অস্তিত্ত, চোখ বুজলেই দেখি সেই হাস্যউজ্ঝল মুখ .....
আমি ভুলিনি .....
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৪১