শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। এই প্রবাদ বাক্যের সাথে দ্বিমত প্রকাশ করার অবকাশ নেই। কিন্তু আজ শিক্ষা এবং শিক্ষকতা পেশায় যাঁরা নিয়োজিত হয়েছেন তাঁদের অনেকের কারণেই এই পেশার মহত্ত্ব আর থাকছে না। এখন যাঁরা শিক্ষকতা করেন তাঁদের অধিকাংশই মনে করেন এটি তাঁর একটি চাকরি। অথচ শিক্ষক যে চাকরি করেন না, এই বোধটিই নেই আমাদের দেশের এই মহৎ পেশায় নিয়োজিত অনেকের। এর ফলে শিক্ষাব্যাবস্থার কি হাল হয়েছে, তা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোর বর্তমান অবস্থার কথা একটু বিবেচনায় নিলে কারো বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এ মুহূর্তে একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গ ছাত্রসংগঠনের কার্যকলাপে দেশের প্রায় সবগুলো উচ্চতর বিদ্যাপীঠ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে। ছাত্র বা ছাত্রসংগঠনের এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের পশ্চাতে কী শিক্ষকগণ দায়ী নন?
একবারও কী জাতি গড়ার কারিগর মহান শিক্ষকগণ নিজেদের এ প্রশ্ন করেছেন যে, 'তাঁরা ছাত্রদের সত্যিকার অর্থে কী মানুষ করে তুলতে পেরেছেন।' যদি তাঁরা ছাত্রদের সত্যিকার অর্থে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারতেন, তাহলে কী এ ধরনের পরিস্থিতি হতো?
এখানে বলা প্রয়োজন মনে করছি যে, আমার অনেক বন্ধু-বান্ধবই শিক্ষকতার সাথে যুক্ত। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে, তারা সকলেই শিক্ষকতাকে চাকরি মনে করে, কাউকে বলতে শুনি নি যে, সে দেশ-জাতি গড়ার সেবামূলক মহান পেশায় নিয়োজিত হয়েছে। অর্থাৎ তারা বুঝতে পারে না যে, চাকরি করা আর শিক্ষকতা করা এক জিনিস নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮