২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবির মূল কারন ছিল দূর্নীতি।
আবার বিগত চার দলীয় জোট ও অধিক সমালোচিত হয়েছিল দূর্নীতির কারনে। ওয়ান এলিভেনের পর যে মিলিটারি বেকড গভর্ণমেন্ট এসেছিল তাদেরও প্রধান এজেন্ডা ছিল দূর্নীতি। আর এজন্য দেশের টপ লেবেলের পলিটিশিয়ানরা পর্যন্ত জেলে গেছেন। তখন দূর্নীতি বিরোধী অভিযানের সর্বশেষ তালিকায় প্রথম আলোর মালিক ব্যবসায়ী লতিফুর রহমানের নামও ছিল।
আর প্রথম থেকেই প্রথম আলু নামের পত্রিকা যে দূর্নীতি বিষয়ে সোচ্চার ছিল তা আমরা সবাই জানি। অতিসম্প্রতি বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের সাথে সেনাপ্রধানের যে কেলেংকারি হলো তা প্রথম আলু বিশেষ গুরুত্ব দেয়। সভাবত তাই হওয়ার কথা। তারা বসুন্ধারা গ্রুপের মালিকের রাতারাতি বিপুল পরিমান টাকার মালিক হওয়ার উপরও একটি প্রতিবেদন ছাপে।
গতকালের প্রথম আলুর প্রথম পাতায় বসুন্ধরার একটি বিজ্ঞাপন ছাপে।
এখন প্রশ্ন হলো, যারা এতো দূর্নীতি বিষয়ে সোচ্চার তারা কিভাবে তাদের পত্রিকায় সেই দূর্নীতিবাজ প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ছাপে? এবং ঠিক তার পরদিনই। এটা কি শুধু ব্যবসায়ের জন্যই? তাহলে প্রথম আলুর সম্পাদকের নৈতিকতা কোথায় রইলো?