somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি- তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া: শিক্ষক, শিক্ষক নেতা ও শিক্ষাবিদের কাজগুলো কিন্তু আলাদা

১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর নতুন শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট তৈরি করার অঙ্গীকার করেছিলো। সে সময় অনেকেই বলেছিলেন, নতুন শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের দরকার নেই। সব সরকার এসেই নতুন শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট তৈরি করতে চায়, কিন্তু বাস্তবায়িত হয় না কোনোটিই। তাঁদের পরামর্শ ছিলো- পুরনো কমিশন রিপোর্টগুলোর আলোকে শিক্ষানীতিকে যুগোপযোগী করা যেতে পারে। সরকার এই পরামর্শকে গ্রহণ করে ধন্যবাদার্হ হয়েছে।

সম্প্রতি সরকার ১৬ সদস্যের শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটির কাজ হচ্ছে- ১৯৭২ সালের কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের আলোকে ২০০০ সালের শিক্ষানীতিটিকে সময়োপযোগী করে তোলা। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে এই কমিটিতে আছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কাজী শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাদিকা হালিম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফকরুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক জারিনা রহমান খান, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিতাইচন্দ্র সূত্রধর, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী ফারুক আহমদ, অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) মো. সিরাজ উদ্দিন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আবু হাফিজ, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান, নিহাদ কবির, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম এ আউয়াল সিদ্দিকী এবং নায়েমের মহাপরিচালক (প্রশাসন) শেখ একরামুল কবির।

কমিটিতে যারা আছেন, তাঁরা সবাই জ্ঞানীগুণী এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে যশস্বী সন্দেহ নেই। বিশেষ করে শিক্ষা নিয়ে তাঁদের নানামুখী কর্মকাণ্ড রয়েছে। শিক্ষা নিয়ে সংকটের মুখে তাঁরা সবাই তৎপর হন, শিক্ষার প্রতি তাঁদের ভালোবাসা ও নিষ্ঠার ফলে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অনেকটাই প্রাণসঞ্চার হয়েছে।

কিন্তু শিক্ষা নিয়ে নানাবিধ কর্মকাণ্ড এবং শিক্ষানীতি পর্যালোচনা ও প্রণয়ণের মধ্যে একটি মারাত্মক ও বিশাল পার্থক্য রয়েছে। শিক্ষা কমিশন মূলত কাজ করবে নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলো নিয়ে। সেগুলোর সরাসরি বাস্তবায়ন নিয়ে নয়, যদিও সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে- তারও নির্দেশনা থাকবে শিক্ষা কমিশন রিপোর্টেই। সেই প্রথম থেকেই যেটা হয়ে আসছে- শিক্ষা নিয়ে যারা বিভিন্ন সভাসেমিনারে সচকিত, উচ্চকণ্ঠ, জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃত এবং তারকা ব্যক্তিত্ব, সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষা কমিশনগুলোতে তাঁরাই প্রাধান্য পান। এটা দোষের কিছু নয়, বরং এতে বাড়তি ফ্লেভার যুক্ত হয়; কিন্তু শিক্ষা ও শিক্ষাতত্ত্ব নিয়ে তাঁদের জানাশোনার পরিধিটা কতোটুকু? শিক্ষা ও শিক্ষাতত্ত্ব নিয়ে যারা নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন, শিক্ষাকে কীভাবে প্রয়োগ করলে তা ফলপ্রসূ হবে- এই বিষয়গুলো নিয়ে যারা কাজ করছেন, তাঁরা এ ধরনের নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্রগুলোতে উপেক্ষিত হচ্ছেন প্রায়ই। ফলে প্রতিবারই শিক্ষাতত্ত্বকে অগ্রাহ্য করে যে শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের আঙ্গিকগত ও তাত্ত্বিক বৈসাদৃশ্য থেকে যাচ্ছে। বদলে নেওয়া হচ্ছে এমন কিছু জনপ্রিয় এবং ‘গুড আউটলুকিং’ সিদ্ধান্ত যেগুলো সাধারণ দৃষ্টিতে ক্ষতিকর বা অপ্রয়োজনীয় না হলেও সত্যিকার অর্থে সেগুলো অপ্রয়োজনীয়, অগ্রহণযোগ্য এবং ক্ষতিকর।

এই ১৬ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে কয়েকজন এসেছেন ‘শিক্ষকনেতা’ যোগ্যতায়। কয়েকজন শিক্ষাসম্পর্কিত প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্ব, উপাচার্য হওয়ার সুবাদেও এসেছেন কয়েকজন। এছাড়া কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রাধান্য লক্ষণীয়। প্রশ্ন হলো, শিক্ষা সম্পর্কে তাঁরা কি এমন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ যে দেশের একটি শিক্ষানীতি প্রণয়নে তাঁদের ভূমিকাটাই হবে প্রধান? শ্রেণীকক্ষে পড়ানো, শিক্ষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া, শিক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে কাজ করা, শিক্ষা প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করা, বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ চালানোর সাথে একটি দেশের সার্বিক শিক্ষা কীভাবে চলবে- সেটি ভেবেচিন্তে বের করার মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, এই বোধটুকু কেন কোনো সরকারের হয় না? যদিও বলা হয়েছে- এই সদস্যবৃন্দ যে কোনো সময় যে কোনো ব্যক্তিকে সেখানে কো-অপ্ট করতে পারবেন, কিন্তু মূল কমিটিতে যাদের রাখা আছেন, তাঁদের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই বুঝা যায়- কাদের কাদের কো-অপ্ট করা হতে পারে।

সামাজিক বিজ্ঞানের শাখা হিসেবে শিক্ষাবিজ্ঞানের বেশ কিছু ধারা আছে, পদ্ধতি আছে। সেগুলো সম্পর্কে তাঁরাই ওয়াকিফহাল যারা এগুলো নিয়ে কাজ করেন। এই পদ্ধতিগুলোতে এমন কিছু উপাদান ও প্রক্রিয়া আছে, যেগুলো শিক্ষাবিজ্ঞান সম্পর্কে যারা না পড়েছেন, তাঁদের পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন জনপ্রিয় কথা অনেকেই বলতে পারেন, কিন্তু কীভাবে সেটি ‘সারা দেশে’ প্রয়োগ করা যায়, বা আদৌ প্রয়োগ করা উচিত কিনা, সে সম্পর্কে একজন শিক্ষাবিজ্ঞানীই বলতে পারবেন সবচেয়ে ভালো। ‘দেশে মানসম্মত শিক্ষা হচ্ছে না, মানসম্মত শিক্ষা প্রয়োগ করা উচিত’ এই কথাটি খুব সহজে যে কেউ বলতে পারেন, কিন্তু মানসম্মত শিক্ষা যে হচ্ছে না সেটি নির্ধারণ করার ক্রাইটেরিয়া বা পরিমাপক বা সূচক কী এবং ঠিক কোথায় কোথায় পরিবর্তন আনলে মানসম্মত শিক্ষা ত্বরান্বিত হতে পারে, সেটি শিক্ষাবিজ্ঞানের সাথে সম্পর্ক আছে যার, কেবল তিনিই ভালো বলতে পারবেন। পদার্থবিদ্যার গতিপ্রকৃতি কেমন হওয়া উচিত, সেটি একজন পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষকের চেয়ে খোদ পদার্থবিজ্ঞানী ভালো বলতে পারবেন। তা না হলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষনা অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় একটি সরকারি গার্লস কলেজ, একটি সরকারি বয়েজ কলেজ ও একটি সরকারি মাদ্‌রাসা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা, কিন্তু প্রথম দুটি বাস্তবায়িত হলেও তৃতীয়টি বাস্তবায়িত হয় নি। দেশের বর্তমান বাস্তবতার আলোকে প্রতিটি জেলায় একটি সরকারি মাদ্‌রাসা প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক; (শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট, সভাপতি: মনিরুজ্জামান মিঞা, পৃ. ২৭৬)-এর মতো বিভিন্ন সুপারিশ আসতেই থাকবে কমিশন রিপোর্টগুলোতে।

এ প্রসঙ্গে সমীর রঞ্জন নাথের লেখা শিক্ষা: আশা, বাস্তবতা, নবআশা বইটি থেকে কয়েকটি লাইন তুলে দেওয়া যেতে পারে- ...শিক্ষানীতি প্রণয়নে যোগ্যতাসম্পন্ন লোকজন কারা? শিক্ষা কি এমনই এক বিষয় যে, যো কোনো মানুষই এ সম্পর্কে কথা বলতে ও নীতি প্রণয়নে যোগ্য? যো কোনো কাজই ঐ কাজে নিবেদিত ও দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন এমন ব্যক্তিদের হাতে ন্যস্ত করা উচিত। আমাদের শিক্ষানীতি প্রণয়নে কমিটি/কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সবসময় তা রক্ষিত হয় নি বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে যাদের নেতৃত্বে শিক্ষা কমিটি/কমিশন গঠিত হয়েছিলো তাদের মধ্যে একমাত্র আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দীন ছাড়া আর কারোরই শিক্ষা বিষয়ে পড়ালেখা বা ডিগ্রি নেই (এখানে আমার দ্বিমত রয়েছে। আরো অনেকেরই শিক্ষাবিষয়ক ডিগ্রি তো রয়েছেই, শিক্ষাবিজ্ঞানে পণ্ডিত ব্যক্তিও ছিলেন বেশ কয়েকজন, তাঁরা বিভিন্ন কমিশন বা কমিটিতে সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন - গৌতম)। শিক্ষা বিষয়ক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও লেখালেখির মাধ্যমেও তিনি এ বিষয়ে তাঁর আগ্রহ, জানাশোনা ও চিন্তা-চেতনার সাক্ষর রেখেছেন। আরেকটি কথা, শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ কথাদুটো আমরা প্রায়ই এক করে দেখি। একটা পার্থক্যরেখা থাকা দরকার। সকল শিক্ষকই শিক্ষাবিদ নন। আমাদের শিক্ষানীতি প্রণয়নে নেতৃত্ব দ ইয়েছেন রাজনৈতিক নেতা, বিচারপতি, বিজ্ঞানী, সামরিক বাহিনীর সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যগণ। শিক্ষাসংক্রান্ত সামগ্রিক বিষয়ে এদের কোনো চিন্তাভাবনা আছে কিনা, শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য নিয়োগলাভের আগে কারোরই তা জানা ছিলো না। মূল কমিটি/কমিশনে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের দলে দলে উপস্থিতি এক বৈসাদৃশ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, হালে ঢুকছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণও। এসব বন্ধ হওয়া দরকার। কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্বারা যেমন প্রাথমিক স্তরের মানসম্মত শিশুতোষ পাঠ্যবই রচনা করা সম্ভব নয়, উপাচার্যদের দ্বারাও তেমনই সার্বিক শিক্ষানীতি প্রণয়ন সম্ভব নয়।

সকল শিক্ষক শিক্ষাবিদ নন, কিন্তু অনেক শিক্ষকই আছেন যারা একাধারে শিক্ষাবিদও। শিক্ষানীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে তাঁদেরই প্রাধান্য থাকা উচিত। সেরকম দুতিন জন আছেনও এই কমিটিতে। শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তাঁদেরই প্রাধান্য থাকা উচিত। সারা দেশে এমন শিক্ষক ও শিক্ষাবিদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা শিক্ষাবিজ্ঞানের সাথে সরাসরি জড়িত, তাঁদের সম্পৃক্ততা ছাড়া এ ধরনের শিক্ষানীতি বিষয়ক কমিটি পূর্ণতা পেতে পারে না।

অবাক ব্যাপার, দেশের শিক্ষার অবস্থা সম্পর্কে যারা সবচেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো জানেন অর্থাৎ শিক্ষা গবেষকরা, তাঁরা প্রায় সব শিক্ষা কমিশনেই উপেক্ষতি থাকেন। এবারও তার ব্যাতিক্রম নয়। ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ মূলত অর্থনীতিবিদ, শিক্ষা নিয়ে তাঁর দু’একটি কাজ আছে, কিন্তু সেটিও শিক্ষায় অর্থায়ন বা এ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে। একটি শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট শিক্ষা গবেষকের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি ছাড়া তৈরি হতে পারে, এটা কেবল আমাদের দেশেই সম্ভব। হ্যাঁ, কথাটি জোর দিয়েই বলছি- কারণ শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের আদলে বা এরকম নীতিনির্ধারণী বিষয়ে যে কোনো রিপোর্ট প্রণয়নে উন্নত দেশগুলোতে সংশ্লিষ্ট গবেষকদের বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

প্রতিবারই সরকার এই জায়গাটা বুঝতে ব্যর্থ হয়। এবারও হলো। শিক্ষকের কাজ আলাদা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাজ আলাদা, সচিবের কাজ আলাদা, শিক্ষকনেতার কাজ আলাদা, আলাদা শিক্ষা প্রশাসকের কাজও। একমাত্র শিক্ষাবিজ্ঞানীই পারেন সবার কাজকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে যথাযথ পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একসাথে ও যথাযথভাবে মিশাতে। কিন্তু এই শিক্ষাবিজ্ঞানীরাই উপেক্ষিত হন সবসময়। দেশের শিক্ষার যতোগুলো দুর্ভোগ আছে, এটি তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। শুধু সেন্স, অনুভূতি বা অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে সবসময় কাজ হয় না, এগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জ্ঞানটা মেশানো খুবই জরুরি।
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×