somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্যাডারদের পৌষমাস, জনগণের সর্বনাশ

১৩ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তাদের এতকাল ভাত ছিল না। অনেকের দেশেও জায়গা ছিল না। কেউ কেউ ৭ বছর, কেউ কেউ ২ বছর পালিয়ে ছিলেন। হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পরও ঠিক জমছিল না। সরকার দিন বদলের কথা বলে তাদের মাথায় বাড়ি মেরেছিল। তাদের ভাত মারার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু না, অবশেষে সেই পুরোনো মওকা ফিরে এসেছে। একটি ইসু্য তাদের জন্য পুনর্বাসিত হওয়র দরজা খুলে দিয়েছে।
বলছিলাম বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শেল্টার পাওয়া গুণ্ডাপাণ্ডার কথা। যাদেরকে আমরা ভদ্রভাষায় ক্যাডার বলে থাকি। তাদের রাজনৈতিক দলে থাকার মূল কারণ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে পিটানোর জন্য। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঠেকানোর অজুহাতে এরা রাজনৈতিক শেল্টার পেয়ে আসছে দীর্ঘকাল ধরে। এদের পেশা হল রাজনীতি করা। রাজনীতির নামে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলবাজি করে কোটিপতি বনে যাওয়া।
খালেদা জিয়ার বাড়ি ইসু্ নিয়ে এখন রাজপথে নামতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আবারও একটি ব্যক্তি ইসু্য নিয়েই রাজপথ গরম হতে যাচ্ছে। আর এই সুযোগে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসী ক্যাডাররা রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই এখন আওয়ামী সাইনবোর্ড ব্যবহার করতে আগ্রহী। যারা একান্তই আওয়ামী সাইনবোর্ড পাচ্ছে না, তারা চামড়া বাঁচাতে বিএনপি ঘেষে আছে।
এতকাল কোন গরম ইসু্য ছিল না বলে তাদের কোন কদর ছিল না। এখন কদর বাড়ছে। এই বাড়ি ইসু্য নিয়া যত মারামারি, সংঘর্ষ, ভাংচুর ও অরাজকতা হবে ততই তাদের কদর বাড়তেই থাকবে।
আর তাদের কদর বাড়া মানে জনগণের সর্বনাশ। তারা বিপুল উৎসাহে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি চালিয়ে যাবে। রাজনৈতিক শেল্টার ব্যবহার করে তারা আবারও কোটি কোটি টাকা কামাবে। দিন বদল যা হবে, তাদের হবে। বিদু্যৎ, পানি, চাকুরি, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট ইত্যাদির জন্য হাহাকার করতে থাকা জনগণের জন্য আগের মতোই রয়ে গেছে সর্বনাশ।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×