পড়ন্ত বিকেল। কাশফুলের মনোরম ছোঁয়ায় বসে আছে হিমেল আর হিমা। পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বক্ষ্মপুত্র নদী। চরের মাঝখানটায় ঠিক বৃষ্টি গাছটার নিচে তারা প্রায়ই এসে বসে থাকে। কত শত প্রেম গাথার সাক্ষী এই বৃষ্টি গাছটি।
এই হিমা উঠো সন্ধা হয়ে যাচ্ছে, উঠতে উঠতে বললো হিমেল। আরেকটু বসোনা বলে হিমা হিমেলের হাতে ধরে টান দেয়। হিমেল বসে পড়ে। গভীর মমতায় দুজন দুজনের দিকে অনেকক্ষন তাকিয়ে থাকে। এভাবে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখনযে সন্ধ্যে হয়ে গেলো তারা বুঝতেই পারেনি। নৌকার মাঝি গফুর চাচার আচমকা ঢাকে তাদের চাহনি চাহনি খেলা শেষ হলো।
গফুর চাচা বক্ষ্মপুত্রের এই পাশটায় প্রায় চল্লিশ বছর ধরে নৌকা চালায়। নৌকা চালানো বলতে এপারের যাত্রীদেরকে ওপারে পৌছে দেয়। এখান যাত্রী সাধারণত এই রকম যুগল জুটি। যারা ওপারে গিয়ে স্বপ্নের নীড় রচনায় ব্যস্থ থাকে। গফুর চাচা হিমেল এবং হিমাকে অনেক পছন্দ করে। সেটা প্রথম দিনের দেওয়া বকশিশ ১০০ টাকার জন্য নয়। বরং কিরকম একটা অন্যরকম টান অনুভব করে ওদের জন্য। হিমেল এবং হিমাও এই পাশটায় কখনও আসলে গফুর চাচার সাথে দেখা না করে যায়না।
গফুর চাচা বলে বাবারা সন্ধ্যে হয়ে গেছে তারাতারি আসো। এখন কি আর সেইদিন আছে? এই এলাকাটা সন্ধ্যের পর অনেক অনিরাপদ। হিমার মুখে শংকার ছায়া দেখা যায়। তারা তারাতারি নৌকায় উঠে পড়ে। চাচা প্রতিদিনের মতো করে নামানোর সময় বললো আল্লাহ তোমাদের মঙ্গল করুক।
হিমেল আর হিমা সার্কিট হাউজের পাশ থেকে রিক্সা নিয়ে সোজা চলে যায় নতুন বাজারে চাচার হোটেলে।
চলবে................।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৫