গ্রামীণফোনের প্রতারণার কথা এতদিন ব্লগে শুনে আসছিলাম এবার নিজে বাস্তব প্রমাণ পেলাম।
আমি গ্রামীণফোনের স্মাইল প্রিপেইড ইউজার ছিলাম। মাঝেমধ্যে ওদের P4 ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করতাম। আমি স্পীড পেতাম ২০-৩০ KB/sec যা আমার ব্রডব্যান্ড প্রোভাইডার থেকে বেশী। আমি আমার ব্রডব্যান্ড প্রোভাইডারকে মাসে ১৫০০ টাকা বিল পে করতাম, গ্রামীণের স্পীড দেখে ভাবলাম মাসে ১৫০০ টাকা বিল পে করার চেয়ে আমি যদি গ্রামীণফোনের P2 ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করি তাহলে মাসে ৫২০ টাকা সেভ হবে এবং স্পীডও ভাল পাব। এই ভেবে ১লা এপ্রিল থেকে ব্রডব্যান্ড সংযোগ বাদ দিয়ে গ্রামীণফোনের P2 ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার শুরু করলাম, কিন্তু কোথায় সেই ২০-৩০ KB/sec স্পীড? আমি কোনভাবেই ৩-৮ KB/sec স্পীডের বেশী পাইনা। প্রথমে ভেবেছিলাম আমার এলাকায় (পল্টন) হয়তো গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়ে গেছে তাই আমি স্পীড কম পাচ্ছি, রাত ৩টা/৪টায় হয়তো ভাল স্পীড পাব। কিন্তু না আমার ধারনা ভুল ছিল, রাত ৩টা/৪টায় ও স্পীড ৩-৮ KB/sec। আমি গত ৩রা এপ্রিল আমার অন্য একটি প্রিপেইড SIM এ P4 ইন্টারনেট প্যাকেজ enable করে ব্যবহার করলাম। স্পীড ২০-৩০ KB/sec। SIM change করে P2 ইন্টারনেট প্যাকেজ টেস্ট করলাম, স্পীড ৩-৮ KB/sec। এভাবে বারবার টেস্ট করার পর Customer care এ ফোন দিলাম, আমাকে ১০ মিনিট যাবৎ অনেক ভুজং ভাজং বল্ল। কিন্তু সমস্যার সমাধান দিতে পারল না। তাই মনের দুঃখে আবার আমার পুরোনো ব্রডব্যান্ড সংযোগে ফিরে গেলাম।
এমনিতেই গ্রামীণফোনের কলরেট বেশি, ওরা FnF কলরেট বাড়ানোর পর আমি অন্য অপারেটরে এ সুইচ করি। এখন আমার প্রতিদিন ২০/৩০ টাকা সেভ হচ্ছে। ভেবেছিলাম SIM টা ফেলে না দিয়ে ইন্টারনেটের জন্য ব্যবহার করব, ওদের এই প্রতারণার জন্য আজকে SIM টা কমোডে ফেলে ফ্ল্যাশ করে দিলাম আর মনে মনে বল্লাম "বাই বাই গ্রামীণফোন ফর এভার"
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৯