somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি পুরো ভয়ংকর গল্পঃ বুদ্ধিমত্তা। (শেষ দৃশ্য)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৩য় দৃশ্য


কিছুক্ষণ বিমূঢ়ের মত সেদিকে তাকিয়ে রইলেন মিসেস রেহানা। কিন্তু কিছু সময় পরই তাকে অবাক করে দিয়ে হো হো করে হেসে উঠল লিজা। তার দিকে তাকালেন মিসেস রেহানা।
“আম্মু তুমি গিয়ে দেখ তো লাশটা আসল না নকল?”
মিসেস রেহানা সম্মোহিতের মত এগিয়ে গেলেন সেদিকে। তারপরই বুঝতে পারলেন সব। এটা কোন লাশ না। একটা বড় পুতুলকে একদম লিজার মত চেহারায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

চেপে রাখা নি:শ্বাস টা ছেড়ে দিলেন মিসেস রেহানা। লিজার দিকে ফিরলেন, এটা কি হল?
“বাহ্, তুমি তোমার নিজের মেয়ের উপর গবেষণা চাপিয়ে দেবে আর আমি তোমার সাথে এটুকু করতে পারব না?”
পুতুল টাকে দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন তিনি, “এটা কার সৃষ্টি?”

“তোমার সহকর্মীর গুণ তুমি নিজেই জানো না?”
মিসেস রেহানা বুঝতে পারলেন এটা রকিবের কাজ। ছেলেদের দিকে ফিরলেন তিনি।
“এমনটা হবার তো কথা ছিল না।“
“ম্যাডাম, আপনার দেয়া কাজটা সফল ভাবে আমারা সম্পন্ন করতে পেরেছি। ঘরে ঢোকার আগমুহূর্ত থেকে পরবর্তী সময়ের তার সমস্ত অনুভূতির রেকর্ড ভিডিও টাতে রয়েছে।“
“আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এবার গবেষণাটা আমরা শেষ করতে পারব।“
“আসলে হয়েছে কি, রকিব নামের ছেলেটি বলতে শুরু করল, লিজা খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিল। একারণে তাকে আমাদের সব খুলে বলতে হয়েছে। এদিকে আপনারো আসতে এতোটা দেরী হল.....”

“আমি হঠাৎ করে ভুলেই গিয়েছিলাম আসলে।“
“কিন্তু আমার শুধু একটাই প্রশ্ন করার ছিল। চিৎকার টা কে করল?”

পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করল ওরা। কারণ তাদের প্ল্যানে চিৎকারের কথা ছিল না। উত্তর দিতে পারলনা কেউ।

অবাক দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকিয়ে রইলেন মিসেস রেহানা।
আর একটি মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে গিয়ে পরবর্তিতে অন্য এক নতুন রহস্যের মধ্যে জড়িয়ে পড়লেন তিনি।

এবং যেটা ছিল আরো অনেক বেশী ভয়ানক।

সমাপ্ত........
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৪৫
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×