somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পঁচিশ

০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একাকিত্ব আর চার দেয়ালের বন্দিত্বের যন্ত্রণা নিয়ে
নাকি-কান্নার নাসারন্ধ্রী-নালিশি-সুরে, সালিশি-স্বরে
একপ্রকার গঞ্জনা দিয়েই বৃত্তান্ত দিলো ছেলেটি:
সবই নীল-কষ্ট দিনযাপনের ঘুমজড়ানো শূন্যতার।

আমি বার বার তাকে থামিয়ে দিতে চেষ্টা করি।
গলা চড়াই। হাত উঁচাই। আঙুল চটকাই--
বলতে চাই--জানি আমি। পেরিয়ে এসেছি;
ঠিক একই পথ নয়, কিন্তু অনেকটা একই পথ!

আর এগুতে না পেরে বলি :
বুঝানো যাবে না সব--পাখির কিচিরমিচির
পশু-মানুষের কলরব! কিন্তু জানি আমি...

কিন্তু ছেলেটি থামে না। আমি থামি।
শুনি আমি সেসব--সেইসব;
শৈশব থেকে...নিতান্তই
একান্তই
ব্যক্তিগত তারপর, তারপর, তারপর, তারপর...

মনে মনে ধমক দিয়ে থামালেও বাস্তবে
চমক দিয়ে থামালাম। কণ্ঠে ছটাকখানেক
মধু চটকে দিয়ে আমার পক্ষে যত
চমৎকারভাবে থামানো সম্ভব সেভাবে
থামিয়ে বললাম--

তোমার বয়স কত?
বললো সে; শুনলাম।
শুনতে চান? ‘পঁচিশ।’

এ গল্প যখন পাঁচমুখ হলো
একজন আশ্চর্য হলেন এবং বললেন,
ও পঁচিশ নিয়ে এত বাড়াবাড়ি!
আরেকজন সবকিছুর পেছনেই খুঁজে পেলেন নারী!
আরেকজন কারো কোনোপ্রকার বোঝাবুঝির ধার না-ধেরেই
উপদেশ দিলেন; ছেলেটিকে পাঠিয়ে দিন তার গ্রামের বাড়ি,
মায়ের নাড়ি, সবুজপ্রান্তর, বিশাল নীলাকাশ, আর রকমারি
জলাশয়ের কাছে।
ইঙ্গিতপূর্ণভাবে কে একজন প্যাঁ পোঁ করার মতো প প করতে লাগলেন।

আমি অবশ্য এখনো ভাবছি;
ছেলেটিকে আসলে কী করা যায়!
কী বলা যায়!


সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:২৫
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে প্রায় প্রত্যেকেই স্ব স্ব স্হান থেকে সমস্যার সৃষ্টি করেন।

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩০ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮



শেখ সাহেব পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এসে ৩য় দিন ( ১/১২/১৯৭২) দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদটা তাজউদ্দিন সাহেব থেকে নিয়ে নিয়েছিলেন; ৯ মাস জেলের পর, উনার দরকার ছিলো কিছুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মোছাব্বিরুল হক, ৩০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮



শত মমতার গল্প গাঁথুনি পৃথিবীর ভাঁজে ভাঁজে
কিছু নয় তার মাতৃ তুল্য মা তাঁর তুলনা নিজে।
কত প্রিয়জন বন্ধু-স্বজন প্রাণপ্রিয় সন্তান
হতে পারে পর এলে কভু ঝড়
ভুলে শত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্যারিয়ার কথন: ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং এবং সর্তকতা।

লিখেছেন জাদিদ, ৩০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৪

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং, পেশা হিসাবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্মানজনক সামাজিক স্বীকৃতি পাওয়ায় অনেকেই এই পেশায় যুক্ত হয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এছাড়া বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে একজন মানুষকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দিলদার ভাই

লিখেছেন বিষাদ সময়, ৩০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



সদ্য এসএসসি পরীক্ষা সমাপ্ত করেছি। তখন কলেছে ভর্তি হওয়ার জন্য কোচিং এর এত দৌড়ঝাপ ছিলনা, কাজেই হাতে অনেক সময়। বন্ধুদের একজন প্রস্তাব দিল সময়টা কাজে লাগাতে, কিন্তু প্রশ্ন হলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ মনটা কেমন যেন অনেক কিছু চিন্তা করছে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ৩০ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



সকালের মৃদু আলোয় মোড়ানো একটি মনোরম দৃশ্য ধরা পড়েছে এই ছবিতে। এটি একটি খোলা জায়গা, যেখানে সবুজের সমারোহ এবং প্রকৃতির ছোঁয়া স্পষ্ট। ছবির বাম দিকে গাছের সারি এবং ডান... ...বাকিটুকু পড়ুন

×