স্থান: লিজাদের বাসা
“চলুন”, আমরা ছাদে চলে যাই। লিজা বলল।
“হ্যা, এটাই ভাল হবে, চল”।
লিজা সহ সবাই বাড়ির ছাদে চলে এল।
তার কিছুক্ষণ পর তারা সবাই দেখতে পেল লিজার মা বাসায় ফিরছেন।
ছাদের রেলিঙের ফাক দিয়ে দেখতে পেল সবাই। লিজার মা কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে ঘরের ভেতর ঢুকে গেলেন।
পরস্পরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল তারা।
ওরা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিল যে মিসেস রেহানা কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিস কে ফোন করবেন। তাই ওরা বাসার দিকে নামতে শুরু করল। লিজার মুখে যুদ্ধ জয়ের মত আনন্দ।
ওরা ধারণাও করতে পারে নি সামনে কি অপেক্ষা করছে।
বাসার মধ্যে ঢুকে পড়ল সবাই।
মিসেস রেহানার রুমে ঢুকতে যাবে, এমন সময় শুনতে পেল রক্ত হিম করা চিৎকার। ভয়ে জমে গেল ওরা।
লিজাও ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠল।
ফোন রেখে দিয়ে ঘর থেকে ছুটে বের হলেন মিসেস রেহানা। ঘরের বাইরে ওদের দাড়িয়ে থাকতে দেখে ক্ষণিকের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেলেন তিনি।
কথা বলা হল না কোন। সবাই ছুটল রুমের দিকে। যেখান থেকে চিৎকার টা শোনা গিয়েছে।
ঘরে ঢুকে দেখল সবাই। মিসেস রেহানার কাছে মনে হল তার হৃৎপিণ্ডটা গলার কাছে চলে এসেছে।
বিছানায় পরে আছে একটি রক্তাক্ত মৃতদেহ। পেটে ছোরা ঢোকানো। এবং সেই মৃতদেহটি দেখতে হুবহু লিজার মত।
চতুর্থ দৃশ্যে সমাপ্ত........
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৪২