আমরা একবার আমাদের জাতীয় ভবিষ্যতের দিকে তাকাই, দেখি দেশ পরিচালনার ব্যাপারে কোন আশার আলো দেখতে পাই কি-না। অনেক অপশন নিয়ে আমরা ভাবব, আপনাদের মাথায় থাকলে প্লিজ বাৎলান।
চলুন......
অপশন-১. হাসিনা-খালেদা আমল : খালেদা ম্যাডামের যুগের অবসান হতে চলল বলে। ওনার শরীরের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে উনি আর কয়দিন নিজেকে চালাতে পারবেন জানি না দেশ চালনা তো দূরে থাক। উনি আবার বিএনপি-র নাম নিয়ে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নামের একটা রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করতেন, যুদ্ধাপরাধীদের সাথেই তার লেনদেন। তো তার হাতে আমাদের অবস্থা আমরা দেখেছি। এবার জাতীয় বুবু আসলেন এসেই আবোল-তাবোল বলা শুরু করলেন। উনি অবশ্য বরাবরই এ ধরনের আবোল-তাবোল কথনের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। আজ আবার উনি দেখলাম দুই টাকার পত্রিকার মালিকের কথা মতো সংসদে বলে এলেন, খালেদা জিয়াকে তার ক্যান্টনমেন্টের বাসা ছেড়ে দিতে। এই মহিলা নিঃসন্দেহে পরশ্রীকাতর। এনাকে দিয়ে ভাল কিছু আশা করা বৃথা। ওনার বাবা (বঙ্গবন্ধুকে অবশ্যই শ্রদ্ধার সাথে উল্লেখ করছি, কিন্তু এই মহিলা ওনার নাম নতুন করে ডোবাবেন-তার গত আমলের মতই) চামচাদের কারণে ডুবেছিলেন উনিও সেই পথ দেখছেন আবারও ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে ফিরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সুতরাং এই দুজন মহিলা দেশের জন্য কখনই ভাল কিছু বয়ে আনতে অক্ষম। চলুন ভিন্ন অপশন খুঁজি।
অপশন-২ : বর্তমান নেতৃত্বের অন্য দুই অপশন হচ্ছে এরশাদ কাকা আর নিজামী মামু। এরশাদ কাকারও ডেট এক্সপায়ার হয়ে গেছে (নারী বিষয়ক বিষয়াদিতে এখনও কাকা আমাদের মাত্র ২৫!!)। কাকার চরিত্র (সার্বিক) দিন দিন আরও খারাপের দিকে। নির্বাচনের আগে উনি বললেন ওনার ছোট বোন (নিজের না খালাত-মামাত উল্লেখ করা ছিল না বলে আপনারা আবার অন্যভাবে নেবেন না!) হাসিনা বেগম আর উনি একসাথে নির্বাচিত হলে দেশে শান্তির নহর বয়ে যাবে। বোন এখন তার দিকে ফিরেও তাকায় না, উনিও উল্টো দিকে ঢাক পেটানো শুরু করেছেন। এখন সেনাবাহিনী-র সাথে লিয়াজোঁ করে ক্ষমতোয় আসার কথা বলে বেড়াচ্ছেন। যদি এটি হয়ও দালালীটা নিশ্চয়ই কাকার করা। তো চাচা মিয়া তার স্বাভাবিক চরিত্রের দুই নম্বরী প্রতিনিয়তই শো করছেন। এনার হাতে জাতি পড়বে না, পড়লে জাতিরে যে দেবেন তা কল্পনা করতে পারছি না। ভাবতেও চাই না। আসা যাক নিজামী মামুর বিষয়ে। ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ এতদিন আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান ঘোষিত হয়ে যেত। যাক গিয়ে, মামুর দিন শেষ হল বলে। কোনরকমে যদি ভগবানের কৃপায় একবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েই যায়.... মামু তো গ্যায়া। তো জাতির এখানে কোন ভবিষ্যৎ নেই। চলুন অন্য কোথাও।
অপশন-৩ : বাংলার রাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের সূত্র মোতাবেক পরের দৃশ্যে জাতীয় ভাগিনা জয় এবং জাতীয় ভাই জয় এর আগমণ ঘটে। জয় ভাগিনা আর তারেক ভাইয়ের সম্ভাবনার কথা বলা যাক একটু। জয় ভাগিনা বাংলাদেশকে আমেরিকার অঙ্গরাজ্য ঘোষণার তালে থাকবেন সেটি সবাই জানি। যদিও অঙ্গরাজ্য করার বিষয়ে আমেরিকার কোন ইচ্ছা নাই। তার আমলে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইরাক বা আফগানিস্তানে পরিণত হবে এটা নিশ্চিত। উনি আবার বোরকা বিক্রি বৃদ্ধির সাথে জঙ্গিবাদের সূত্র দেখতে পান, ওনার আমেরিকার সৈনিক বন্ধুর সাথে সে সমস্যা সমাধানের পথও খুঁজে বেড়ান। তো কি হবে সহজেই আন্দাজ্য। আর তারেক ভাই বাংলাদশের সব সম্পত্তি নিজের বলে ঘোষণা দিয়ে তারপর অন্য বিষয়ে কথা বলবেন। তো এখানে ভবিষ্যতের ,তো ভবিষ্যৎ খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। চলুন এরপর কিছু আছে কি-না দেখা যাক!
এনাদের পর আসে এখন যারা তরুণ, রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট- ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল। এনাদের যে চালচলন-না আমি আর ভাবতে পারছি না।
আপনাদের কিছু ভাবনা থাকলে একটু শোনান।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৪০