somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিদুৎ চুরি করার সেই দিন গুলো

২৮ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিরোনাম দেখে অনেকই বলবেন বিদুৎ ই ্যেখানে থাকেনা চুরি আবার কিভাবে ?
হ্যা ঠিকই বলছেন এখন যে সময়টুকু বিদুৎ থাকে তাতে করে চুরি করার সময় কই আর। আর বেশীর ভাগ সময় বিদুৎ বিহীন থাকায় মিটারেও তেমন বিল হবার কথা না!!!!!! তবে ১৯৯৭ /৯৮ সালের দিকে এতটা বিদুৎ আসা যাওয়া করে নি। তার মানে এই না যে লোড শেডিং হতো না । হতো তবে খুব অল্প সময়ই হতো।

ওয়াপদার দেওয়া বিদুৎ সংযোগে মাসে নিদিস্ট একটা বিল দিতাম আমরা , ব্যবহার যতোই হোক না কেন। তা মাসে ২৫০/৩০০ টাকার মধ্যে সীমা বদ্ধ থাকত। মিটার ছিল কিন্তু কখনো তা ঘুরতে দেখী নি। কয়েক মাস পর পর বিদুৎ এর লোক এসে মিটার হাতে ঘুরিয়ে দিয়ে যেত। আর এই পদ্ধতি যে শুধু আমরা ই করতাম তা না এটাই ছিল একমাত্র সিস্টেম সবার জন্য । সবার কি আরামে দিন কাটতো অল্প বিলে ফ্যান টিভি চলত । আহ কত শান্তি।


সবার শান্তি হারাম করে দিয়ে আসল পল্লী বিদুৎ। প্রতি পরিবারে আলাদা মিটার । তাও আবার ঘরের বাইরে থাকবে। ইউনিট হিসাবে বিল দিতে হবে কোন ফাকি বাজি চলবে না। কিন্তু ফাকি বাজি না চললে বিলতো আসবে হাজার খানেক টাকা প্রতি মাসে। কিভাবে চুরি করা যায় বিদুৎ????????????? সবাই পন্থার খোজে।


কয়েক মাস যেতে না যেতেই পেয়ে গেলাম চুরির মোখ্ম পন্থা। বিদুৎ এর মিটারে পরেই নিরাপত্তা ফেইজে কারেন্ট যেত তার পর সারা ঘরে বিতরণ হতো। নেগেটিভ আর পগেটিভ এই দুই লাইনে একটি ফেইজ থাকতো । আমরা দুই লাইনে দুইটি ফেইজ বসালাম । নেগেটিভ থেকে একটি অতিরিক্ত তার দিয়ে মিটারের যে অংশ দিয়ে বিদুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ঢুকিয়ে দিতাম সতর্কতার সাথে। ব্যাস মিটার ঘুরা বন্ধ। সন্ধার পর থেকে সারা রাত এভাবে চলত। সকাল বেলা খুলে রাখতাম।

আবার বিল ২০০/২৫০ টাকায় নেমে এলো । এরকম অনেকই ব্যবহার শুরু করল তাতে করে পল্লী বিদুৎ সমিতি সন্দেহ শুরু করল । তারা রাতে বাড়ি বাড়ি লোক পাঠাত মিটার চেক করা জন্য। এতে করে বিদুৎ চুরি করা ঝুকি পুর্ণ হয়েগেল। চুরি বন্ধ।


কিছু দিন যেতেই আবার নতুন পন্থা পেলাম । তাও খুবই সহজ আর মজার। মিটার বসাতো ওরা কাঠের টুকরার সাথে।আর সেটা ঘরের বেড়ার সাথে পেরেক মেরে আটকে দিত। দুই কোনায় দুই পেরেক। মিটারে নিচে কাঠকে একটু জোরে চাপ দিতেই একটা পরেক আলগা হয়ে যেত আর একটা লাগানো থাকতো তাতে করে মিটার কাত হয়ে যেত । আর কোন কারণে কাত হবার ফলে মিটার ঘুরতো না। সহজ পদ্ধতি হওয়া অনেকেই ব্যবহার করত যখন বেশী বিদুৎ খরচ হতো।


এভাবে প্রায় দুই বছর পল্লী বিদুৎ সমিতির পুন মেরেছিলাম । এর পর এক মামা পল্লী বিদুৎ সমিতির পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি হবার পর চির তরে চুরি বন্ধ করি। আর স্বাভাবিক বিল দিতে থাকি ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×