২৫ শে কাল রাত্রির ভয়াবহতা পুর্বপাকিস্তানের জনগণ কে বিস্মিত করে দেয় এবং চতুর্দিকে নেমে আসে ভয়াল ছায়া ।
১৯৭১ সালে ত্রিপুরা থেকে প্রকাশিত 'জাগরণ' পত্রিকার বিশাল হেডলাইন আসে যে ২৭ মার্চ টিক্কা খান মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে নিহত হয়েছে এবং ভারতীয় সময় রাত ১ টায় তাকে ঢাকার মিলিটারী হাসপাতাল ময়দানে কবর দেয়া হয়েছে । প্রসঙ্গক্রমে "জাগরণ" পত্রিকাটি ছিল বাংলাদেশের খবর জানার অন্যতম উত্স। অবশ্য আকাশবাণীর থেকে প্রথম খবরটির শুরু। এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র তাতে যোগ করে যে টিক্কা খানের ৪ সহকর্মীকেই হত্যা করা হয়েছে এবং মুক্তিবাহিনীর লোকেরা ঢাকাকে প্রায় মুক্ত করে ফেলেছে ।
টিক্কা খানকে হত্যাটি ছিল স্বাধীনতা পক্ষের বেতার এবং মুদ্রিত মিডিয়াতে প্রচারিত প্রথম সফল গুজব যা মানুষের মনে ব্যাপক সাহস যুগিয়েছিল । গুজবটিকে বিশ্বাস যোগ্য করার জন্য বঙ্গবন্ধুর বরাত দিয়ে (পাকিস্তানিদের প্রচারিত)গুজবে কান না দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে ।
প্রকৃতির প্রতিশোধ, এই চির ঘৃণিত পাক কসাই টিক্কা খানের মৃত্যু হয় দীর্ঘ রোগ যন্ত্রণা ভোগের পর ২০০২ সালে ।
পাদটিকা:
টিক্কা খানের সঙ্গে তার প্রিয় পাত্র গোলাম আজমের নেতৃত্বে শান্তিবাহিনীর বৈঠকের ছবিটি না দিয়ে পারলাম না
এবং একই সময়ে ফকিরাপুলে রাজাকার বাহিনীর প্রশিক্ষণ চলছে কমান্ডার ফিরোজের নেতৃত্বে ।
বলাবাহুল্য বর্তমানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ফকিরাপুল থেকে স্হানান্তরিত হয়ে মগবাজারে গিয়েছে বলে জানা গেছে ।
কৃতজ্ঞতা: ৭১ ফটো গান , উইকিপিডিয়া