একটা বয়সে প্রায় সব ছেলেদেরই দাড়ি কামাতে হয়। আমিও এক ক্লাস টেনে পড়ার সময় প্রথম দাড়ি কামিয়ে ছিলাম। অবশ্য সত্যি বলতে প্রথম না। ক্লাস নাইনে থাকতে একবার ঢাকা মামার বাসায় বেড়াতে এসে মামার রেজার দিয়ে দু চার টান মেরে বারোটা বাজিয়ে ছিলাম। এরপর থেকে মুখের লোম ঘন হতে থাকল মাস ছয়েকে মুখে দাড়ির মতো লোম চেহারাকে মাশাল্লাহ করে দিল।
একদিন ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে বন্ধুরা ধরে সেলুনে বসিয়ে সেভ করতে বাধ্য করল। দাড়ি মোছ কামিয়ে আয়নায় নিজেকে কেমন যেন দেখা যায়। পাকনা পাকনা ।এবার মনে হলো বাসায় গেলে যদি মা, মামারা আপা কিছু বলে। আর আমারই কেমন যেন লজ্জা লজ্জা লাগছিল। বাসায় গিয়ে চুপ চাপ ভাত খেয়ে নিজের রুমে ঘুম। রাতে আর কেউ খেয়াল করেনি। বা খেয়াল করলেও কিছু বলেনি।
তখন আবার কোরবাণীর ঈদ সামনে বাজারে গরুর হাট । নানা বলে গিয়েছে হাটে যেতে গরু কিনবে। স্কুলে গেলাম না। কিন্তু বাজারে তো যেতে হবে। তাও গেলাম দেরি করে, হাটে গিয়ে ঘটল আসল মজার ঘটনা। গরুর হাট মানুষ আর গরু , ধুলা আর বালি। ধুলার হাত থেকে বাচার জন্য দেখলাম অনেকে মুখে কাপড় বেধেছে। কি্যে নাম বলে মনে করতে পারছিনা। আমিও একটা কিনে মুখ ঢাকলাম। এভাবে মুখ ঢেকে অনেক ক্ষন বাজারে ঘুরলাম। মামার দোকানে গিয়েও মুখ ঢেকে বসে রইলাম । সবাই কৈাতুহলি ভাবে তাকায় আমার দিকে, কেউ কেউ মুখের কাপর খুলতে বলে। আমি অনড় খুলব না বাইরে অনেক ধুলা।
বাইরে ধুলা ঠিক আছে, এখানে তো আর নেই খোল ।
না আমি খুলবনা।
হঠাৎ করে কোথা থেকে যেন মামাতো ভাই এসে একটানে কাপড়টা খুলে ফেলল। কাপড় সরতেই সবাই হেসে উঠল আর আমি ভো দৈাড়.............