এই উক্তির মর্মাথ উপলব্দি করিয়া আমার শরীর শিহরিয়া উঠিলেও এই উক্তির
সত্যমিথ্যা লইয়া আমি কোনও প্রকার মন্তব্য করিব না। বরং আমি বলিব: সভ্যতায় দ্বীনি পুস্তক যেমন রচিত হইয়াছে -তেমনি বে-দ্বীনি পুস্তকাদিও বিস্তর লেখা হইয়াছে। তবে আমাদের দেশে দ্বীনি পুস্তক এর সংখ্যা বে-দ্বীনি পুস্তকের তুলনায় অধিক। ইহা ভীষন রকম অন্যায় বলিয়াই মনে হয়। ইহা কিছুতেই গনতান্ত্রিক নয়-বরং ইহা এক প্রকার স্বৈরাচারই বটে। কেননা, একুশ শতকের তরুণ প্রজন্ম (যদ্দুর বুঝবার পারি) ঠোঁট কামড়াইয়া সংযমী থাকিয়া পূন্য অর্জন করিয়া কেবল বেহেস্তেই যাইতে চাহে না-ইহারা হলিউডি মুভির (যেমন, ম্যাট্রিক্স) আশু প্রতিক্রিয়ায় খোদানির্মিত নরকদোযখেও ঢুঁ মারিয়া দেখিয়া লইতে আগ্রহী। বাহবা। কাজেই কেবল দ্বীনি নয়-ইহারা যাবতীয় বেদ্বীনি পুস্তকের খোঁজ খবর লইতেও আগ্রহী। কাজে কাজেই যুগের খাতিরে সেই রকম একখানা অতিশয় বে-দ্বীনি পুস্তকের ফ্রি ডাউনলোড লিংক দেওয়া হইল।
Click This Link
উল্লেখ্য, বে-দ্বীন পুস্তকাদি পাঠ করিলেই কেহ বে-দ্বীন হইয়া যায় না, বরং কাফেরগনের অসার (!) যুক্তি পাঠ করিয়া দ্বীন মজবুত হইবার সম্ভবনা থাকে। তথাপি এই দেশে একশ্রেণির দ্বীনি মহল কর্তৃক বে-দ্বীন পুস্তকাদি ও তসলিমা নাসরীনের উপর ব্যপক আক্রোশ অন্যায্য বলিয়াই বোধ হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৫