somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একদিন মটরসাইকেল চালিয়ে পথচারী হিসাবে স্বাধীন বিচরণ সংকটে

১২ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একমাত্র পথচারী হিসাবেই আমি আমার দুর্দান্ত স্বাধীনতা উপভোগ করতাম। কিন্তু সেদিন এ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়ে মিরপুর থেকে মটর সাইকেল চালিয়ে উত্তরা যাবার পর থেকে আমি স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছি। ঘনিষ্ঠজনেরা কেউ আমার সাথে উঠতে চায় না - তাদের বক্তব্য আত্মহত্যার জন্য আমি মটরসাইকেল চালাই, কেন তারাও আত্মহত্যা করতে যাবে! তবে নিন্দুকের মুখে ছাই..আইডিবির সামনে থেকে ফখরুদ্দিন সড়কে হাইস্পিডের আনন্দের সাথে একমাত্র রকেটের তুলনা চলে। কিন্তু সমস্যা হলো এরপর থেকেই। প্রধামন্ত্রীর অফিসের সামনে বের হয়েই পড়ে গেলাম মাইনকা চিপায়।

পথচারী হিসাবে আমি সিগনাল ছাড়াই রাস্তা পার হই, হতাম। গাড়ীর বেগ দেখে ধুমধাম নেমে পড়তাম সড়কে, চলন্ত গাড়ীগুলো আমাকে দেখে ব্রেক করবে প্রয়োজনে। কিন্তু সাইকেল চালাতে গিয়ে দেখলাম ডিভাইডারের উপরে এমন অপেক্ষমান পথচারীর দিকে আসলে কোন দৃষ্টিই দেয়া সম্ভব না। জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত এমন কয়েকজনকে মারতে মারতে বেচে গেলাম। কষিয়ে দিলাম গালি এবং তখনই মনে হলো, এই গালি তো নিজেকেই দিলাম। জীবনে একবারও মনে হয় না সড়ক পেড়িয়েছি এত ভাবনাচিন্তা করে, উল্টো ড্রাইভাররা কেন খেয়াল করবে না - সেটাই ছিল মুখ্য চিন্তা।

ফ্লাইওভারে এসে আবার কিছুটা ঝড়ের বেগের স্বাদ পেলেও বনানী থেকে উত্তরা সমস্ত রাস্তা জুরেই ডিভাইডারের উপরে হুটহাট পথচারী চলে আসতে দেখেছি। এমনকি কাকলী থেকে আর্মিস্টেডিয়াম, সিএমএইচ, গ্যারিসন, বিশ্বরোড পর্যন্ত যেখানে ডিভাইডারের উচ্চতা বেশি সেখানেও স্বাধীন পথচারীদের মুক্ত রাস্তাপারাপার। মাঝেমাঝে মনে হয়েছিল কয়েকটা মেরে দেই।

একদিন মটরসাইকেল চালিয়ে পথচারী হিসাবে আমার স্বাধীন অস্তিত্ব এখন সংকটের মুখে। পা মেপে রাস্তা পাড় হই! কেন যে মটরসাইকেল চালাবার ভুত চেপেছিল?
১২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×