somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কি হবে লিখে ?

০৯ ই মার্চ, ২০০৯ ভোর ৬:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নারী দিবসে শত শত পোস্ট পড়ে সবাইতো অনেক ক্লান্ত।
আমি দিনে ব্লগে আসতে পারিনি। এখন বসে বসে পোস্ট গুলো কিছু পড়লাম।
এতোক্ষনে নারী দিবস শেষ হয়ে পুরুষ বর্ষ শুরু হয়ে গেছে। নাহ, এভাবে বলাটা ঠিক হচ্ছেনা। বাকি সবগুলা দিন নারী-পুরুষের(আমরা এভাবেই না হয় ভাবি)!

এই একদিনে বিশেষ কিছু নারী সেমিনারে গিয়ে , টিভি টক শো তে এসে , সভা করে ,প্রদীপ জালিয়ে , বক্তৃতা দিয়ে,গাণ গেয়ে, বড় বড় উক্তি করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেলেন "আমি নারী"। বড় গলায় শুনিয়ে দিয়ে গেলেন "আমি কিন্তু নারী"। বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন "আমি নারী ই, মানুষ না"।

আর যারা মানুষ নারী , তারা গতকাল ঠিকি সকালে উঠে বাচ্চাকে রেডি করে দিয়েছেন। ঘরের সবার নাস্তার ব্যাবস্থা করেছেন। কেউ কেউ স্মামী সন্তানের সাথে নিজেও তৈরী হয়েছেন। তারপর কারো খানিক অবসর এসেছে , কেউ বেড়িয়ে পড়েছেন সংসারের অর্থনৈতিক কাজে অংশগ্রহনের জন্য চাকরী স্থলে। পেপার এ চোখ বুলাতে গিয়ে নজরে এসেছে আজকে আট ই মার্চ। তাতে রুটিনে একটুও পরিবর্তন আসেনি গার্মেন্টস কর্মী রহিমা, জুলেখা ,শাবানা কিংবা শেফালীর। এইজন্য অল্প হলেও মনে শান্তি আসেনি রঙ্গিন কাপড় পড়ে আর রঙ মেখে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা চন্দনার।
এজন্য ছুটি মেলেনি কাজের বুয়া রেজিয়ার। মাদকাসক্ত স্বামীর প্রতিদিনের হিংস্রতা থেকে আজো বাচেনি ডলি। আজকেও যৌতুকেরঁ টাকার জন্য কটু কথা শুনেছে ছেলের বঊ। ভয়ে আছে সে রাতে স্বামী ঘরে ফিরলে না জানি কোন নতুন নাটক করবে ননদ দেবরেরা । কোন এক নির্জনে ,কোনায় এসিডে হয়তো কোন নারী ঝলসে গেছে। কিংবা কোন হায়েনার হিংস্রতার কাছে নিজের সর্বশ্য হারাচ্ছে কোন একজন। ... আরো এমনহাযারো মানুষ নারীর কাহিনী ... চলছে অবিরাম।

নারী দিবসে তাদের জন্য স্লোগান আছে ঠিকি। বার্তা পৌছায়না। রাহেলারা এমন দিবসের নাম ও জানেনা। সিমিরা দিবস থাকলেও ঠিকি মরে যায়।

তারপরো "আমি নারী" রা সব সমস্যার জন্য সব দায়ী করে যান অনেক পুরোনো একটি পবিত্র গ্রন্থ কে। আর সেই গ্রন্থ যিনি পেয়েছিলেন সৃষ্টিকর্তা থেকে , তাকে... একসময় কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তাকেই।
"আমি নারী" রা অধিকার খুজে বেড়ান উত্তরাধিকারে। অধিকার খুজে বেড়ান লোক দেখানো আভিজাত্যে , অধিকার খুজে বেড়ান আসলে যে কিসে , এই আমি বুঝতে পারিনা। জ্ঞানের অভাব ?হতেও পারে।

"আমি নারী" রা কখনোই মুখ খুলবেন না ,যখন
বলা হয় ,সৌন্দর্য হলো শক্তি।
যখন নারী কে তৈরী হতে হয়, কোন ছেলের চোখ যেন তার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকায় (ফেয়ার এন্ড লাভলী)
যখন তার কাঠামোর সাথে তুলনা হয় পানীয়ের বোতলের।
যখন নির্দিষ্ট এঙ্গেলে শরীর বাকিয়ে দাড়াতে পারলে সে সুপারস্টার হয়ে যায়। আর তার সৌন্দর্যের প্রকাশ্যে বিকিকিনি হয় এসেমেস এর মাধ্যমে। দোকানে কিছু পন্য হাত দিয়ে ধড়তে দ্যায়, কিছু পন্য দ্যায়না। সৌন্দর্য প্রদর্শন আর প্রতিযোগিতার মেয়ে গুলো কি ডিসপ্লের সেই পন্য হয়ে যায়না ??
আর রাস্তার ,বস্তির বা অন্য কোন অসহায় মেয়ে হয়ে যায় তখন ছুয়ে দেখার বস্তু।
এভাবে পরদিনের খবরের পাতা ভরে যায় নির্যাতনের খবরে।
"আমি নারী" দের অনেকে এসব পন্য প্রদর্শনীর স্পন্সর ,বিচারক , অতিথী !
"আমি নারী"রা দেখেও দেখবেনা কিভাবে নারীত্বের অসহায়ত্বর সুযোগ নিচ্ছে ভোগবাদী সমাজ । এই সমাজ ব্যাবস্থাই নারীকে নারী বানিয়ে রেখে চিরকাল বুঝিয়ে রাখবে, তোমরা নারী , তাই তোমরা ঠিক মানুষ নও। তোমরা একধরনের বিনোদনের বস্তু , এটা সরাসরি মুখে না বললেও এই সমাজ, দেশ ,বিশ্ব নারীকে তাই বানিয়েছে।

অসহায় নারী কলের পুতুল ই হয়ে থাকে তারপর ৯ ই মার্চ থেকে ৭ ই মার্চ। আর ৮ ই মার্চ ... ... ... ওই দিন ও তাই থাকে। একটুও পাল্টায়না জীবন!
তারপরো আমাদের বড় কষ্ট ,আসল সত্যকে মানার। আর সঠিক পন্থাকে গ্রহনে তারপরো আমাদের ব্যাপক অনীহা। যদি তাতে খ্যাত হয়ে যাই! আন্সমার্ট ,আন সিভিলাইযড যদি বলে লোকে!!
হোকনা তা দেড় হাজার বছরের পুরোনো। কিন্তু যিনি দিয়েছেন ,তিনি তো সব জানেন।



সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ২:৩৪
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×