কালকে সারাদিন 'সেরকম' দিন ছিলো। যেরকম দিনে মেঘহীন আকাশ না চেয়ে বৃষ্টি চাইতে ইচ্ছা করে। থিংস টু ডু লিস্টের দশটা কাজ ফেলে বন্ধুদের সাথে সূ্র্য্যস্নান করতে ইচ্ছা করে। একঘন্টা ভয়ের কোন টিভি শো দেখে ভয় পেতে ইচ্ছা করে। রাতে খাওয়ার সময় দুধভাত খেতে ইচ্ছা করে। তারপর নয় ঘন্টা ঘুমিয়েও ঘুম শেষ হয় না। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আবার ঘুমিয়ে পড়তে ইচ্ছা করে, স্কুলের সমস্ত চিন্তা বাদ দিয়ে। দ্বিতীয় ঘুমের সময় অসম্ভব সুন্দর একটা স্বপ্ন আসে। সেই স্বপ্ন দেখতে দেখতে আর ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। আর সব কিছু ইচ্ছা মতন করতে ইচ্ছা করে।
আজকে সেরকম দিন না।
আজকে লাইব্রেরিতে বসে ইকোনমিকস এর রচনা প্রায় শেষ করে ফেলেছি। তারপর আমার এতো খুশি লাগছিলো যে সারা সপ্তাহের প্ল্যান করে ফেললাম। সবসময় পরীক্ষার আগে এতো চাপ পড়ে যে দু'সপ্তাহ ঘুমহীন কাটাতে হয়। কিন্তু এবার মনে হয় এটা করতে হবে না! পরীক্ষার সপ্তাহগুলোতে প্রতিদিন নয় ঘন্টা ঘুমাবো, তারপর ঠান্ডা মাথা নিয়ে পরীক্ষা দিবো ইনশাআল্লাহ। ভাবতেই ভালো লাগছে!
তবে ভালো লাগাটা বেশিক্ষন থাকার সম্ভবনা কম। আজকাল আমার মনের অবস্থা ও কাজের পরিমান ডাইরেক্টলি রিলেটেড থাকে। মন ভালো থাকলে থিংস টু ডু লিস্টের দশটা কাজের আটটাই করা হয়। আর ঐ কাজগুলো করলে মন ভালোও থাকে। মন খারাপ থাকলে কাজও হয় না, মন আরও খারাপ হয়ে যায়। আবার অনেক বেশি মন ভালো হয়ে গেলেও কাজ হয় না।
এটার সাথে রিলেটেড একটা ল' আছে - Yerkes-Dodson Law । এটা বলে যে তুমি যখন একদম স্ট্রেস থাকো না, তখন কাজ করার ক্ষমতা একদম কম থাকে। যখন অল্প স্ট্রেসড থাকো, তখন কাজ করার ক্ষমতা আরেকটু বেশি থাকে। স্ট্রেস লেভেল এক সময় মাঝামাঝি ধরনের হয়, তখন সবচেয়ে বেশি কাজ করা যায়। তারপর স্ট্রেস লেভেল যখন একদম বেড়ে যায়, তখন কিছুই করা যায় না। ব্যাপারটা আমার মাথায় খুব সুন্দরভাবে আছে, কিন্তু আমি বোঝাতে পারছি না।
কম্পিউটার বলছে আমাকে আর চল্লিশ মিনিট পর উঠে যেতে হবে। ল'টার সুন্দর একটা ছবি পেয়েছি। সোমবার আমাদের স্কুলে একটা সাইকোলজিস্ট এসে এটা সম্পর্কে বলেছে। সাইকোলজি খুব ইন্টারেস্টিং, কিন্তু সাইকোলজিস্টরা মাথা নিয়ে ভাবতে ভাবতে একটু বেশি ভেবে ফেলে।
স্কুলের শেষ বর্ষে পা ফেলার সাথে সাথেই সবাই ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবা শুরু করেছে। আমার প্রকৃতি অনুযায়ী এরকম কিছু করা উচিত:
১। সাইকোলজি - আমার মাথা নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে ভালো লাগে।
২। ম্যানেজমেন্ট জাতীয় কিছু - আমি খুব ভালো প্ল্যান করতে পারি। অব্শ্য প্ল্যানগুলো নিজের জন্য হলে বেশিরভাগ সময়েই কার্যকারিত হয় না।
কিন্তু - আমি মেডিসিনে পড়তে চাই।
মেডিসিনে পড়তে হলে ইয়ার টুয়েলভে যা দরকার তা হলো:
১। ভালো সাইকোলজি
২। ভালো ম্যানেজমেন্ট
এদুটো থাকলে অনেক না পড়েও, 'ঠিকভাবে' পড়াশুনা করা যায়। আমার দু'টোই আছে। কিন্তু আমার প্রকৃতিতে আরেকটা জিনিস আছে - আমি ভীষন অলস! এই একটার সাথেই অন্যদু'টো কাটাকাটি হয়ে যায়।
নাহ!
আমার বেস্ট ফ্রেন্ড (চার/পাঁচ জনের মধ্যে একজন) বেশ কয়েকবার আমাকে বলেছে - অলসতা এক্সকিউস মাত্র! আমি যদি এখন আমার স্বপ্নগুলোকে ছুঁড়ে ফেলে দেই, তাহলে আমি নিজেই মরে যাবো, অন্যকেও মরবে না। আর দেড় মাস। তারপর আর ছয় মাস। তারপর আর এক মাস পরীক্ষা। সাত মাসের পর তিন মাস একদম শান্তি! ঐ তিন মাসের জন্য, তারপর এর পরের সারা জীবনের জন্য, এখন খুব চেষ্টা করতে ইচ্ছা করছে!
আলোচিত ব্লগ
প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !
বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।
আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
পোষ্টে যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!
আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!
কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন