somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিহত বীর সেনাদের জন্য শোকগাথা

০৫ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তেজগাও এলাকায় আমার অফিস। প্রায়ই দেখি গার্মেন্টস কর্মীরা তাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য রাস্তায় ব্যারিকেড দিচ্ছে। ভাবতে খারাপই লাগে রমযানে ইফতারে তাদের জন্য বরাদ্দ কম দেখে। যদিও এতে মালিকের কোন সমস্যা হচ্ছে না। সমস্যা হচ্ছে আমরা যারা চাকরী বাচাতে ৯ টার মধ্যে অফিস দৌড়াই। যদিও পরে নিরপেক্ষ ব্যক্তির কাছ থেকে শোনা যায় এ ছিল ভারতীয় চরের ইন্ধন।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারী বিডিআর তাদের কিছু দাবী আদায়ের জন্য পিলখানায় বিদ্রোহ করে। তাদের বেতন, ভাতা, ইনসেনটিভ, ইলেকশন ডিউটির টাকা সময়মত দেয়া হয় নাই - এই অভিযোগ শুনে সত্যিই খারাপ লেগেছে। তবুও আমি অন্তত মেনে নিতে পারি নাই এই বিদ্রোহ। কারন তেমন কিছু না। সশস্র বাহিনী যতই কম বেনিফিট পাক বা যা কিছুই হোক, এমন বিদ্রোহ করাটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। কারন তারা কেবল একটি সংস্থার কর্মী না। তারা বাংলাদেশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত। তাদের সব দাবী থাকবে একটি সীমিত আকারে। ধৈর্যের বাধ ভাঙে। তাদেরও ভাঙতে পারে। তারও একটা লিমিট আছে। নির্বিচারে হত্যা কোনভাবেই সে লিমিট হতে পারে না।

বিডিআরের অভিযোগ সিনিয়র অফিসাররা তাদের শাস্তি দেয়। যারা আর্মির ট্রেনিং দেখেন তারা তো জানেন এইটা একটা সাধারন ব্যাপার। কখনও কখনও হয়ত বেশী হয়ে যায়। তবুও সশস্র বাহিনীর ইন্টারনাল বিহেভিয়ারে এমন অনেক দৃষ্টান্ত দেখা যায়। শুধু বিডিআর না, জুনিয়র আর্মি অফিসাররা সিনিয়র আর্মি অফিসার কর্তৃক সমস্যায় পড়ে। এমনকি ক্যাডেট কলেজের ছেলেরাই ভাল বলতে পারবে তারা কিভাবে সিনিয়র ব্যাচের ছেলেদের কাছে ধরা খেত। এ এক অন্য কালচার মনে হয়। আমাদের সাধারন কোম্পানী আইন বা হিউম্যান রিসোর্স বা মানবাধিকার আইনে এর আলোচনা করা একটু কঠিন। বিডিআরের আরেকটা দাবী শুনে আমি কিছু বুঝতে পারি নাই। আর্মি অফিসাররা গাড়ী পায়, তারা কেন পায় না? এ নিয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।

আর সবকিছুর পরে যা বলতে চাই, মানুষের ব্যবহারে অবশ্যই ভুল ত্রুটি হয়। কিন্তু এর সবকিছুর শাস্তি মৃত্যু না। বিডিআরের ডিজি, ডাল-ভাত প্রজেক্টের চীফের হয়ত কিছু ভুল ছিল। বিদ্রোহ যদি এর মধ্যে থাকত তাহলেও একটা কথা ছিল। যখন নিহত অফিসারের তালিকায় দেখা যায় ঐ দিনই জয়েন করা অফিসারের নাম, বা ইউ এন মিশন থেকে মাত্রই ফেরা অফিসার তখন কি মেনে নেয়া যায়? এনডিসি থেকে পিএসসি করা এসব অফিসার কালে ভদ্রে তৈরী হয়।

যখন দেখি মেজর হুমায়ন হায়দারের অসুস্থ ছেলেকে বা নিহত কোন আর্মি অফিসারের স্ত্রীর মেহেদী রাঙা হাত বা কঠিন হৃদয়ে কর্তব্যপালনরত সেনার কান্না তখন বিডিআরের এই ঘটনাকে আমি বিদ্রোহ বলতে পারছি না। সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ডই মনে করি। যাতে ব্যক্তি আক্রোশের চেয়ে সিসটেম ধ্বংশ করাই উদ্দেশ্য ছিল।

যুদ্ধে যদি শহীদ হত তাহলে একটা স্বান্তনা থাকত। নিরস্ত্র এই বীর সেনাদের মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ ক্ষতি বাংলাদেশ কতদিনে কাটিয়ে উঠতে পারবে বা আদৌ পারবে কিনা জানি না।

নিহত বীর সেনাদের শ্রদ্ধা জানাই। আমরা আজ সত্যিই শোকাহত। স্বজন হারানোর বেদনায় মর্মাহত।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৪:১৯
১০টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×