somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উৎকন্ঠায় ডুবে থাকি পুরো, পোকা হয়ে থাকি মিডিয়ার, আমাকে কখনো আর্মীরা ধরে, কখনো বা ধরে বিডিআর...

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোটবেলা থেকে যে-ই কোনো রূপকথার গল্প শোনাতো। প্রবল বিস্ময়ে শুনতাম। শুনতাম প্রবল উৎকন্ঠায়ও। কি হচ্ছে? কি হবে? টানটান উত্তেজনা।
শেষ পর্যন্ত কি সব ঠিক হয়ে যায়?- গল্পের মাঝমাঝি অবস্থায় এটা জানতে 'গল্প বলা জনে'র বিরক্তি উৎপাদনও করেছি প্রচুর। গল্প বলা জন, গল্প বলা সেই মিডিয়াম্যান চাইলে আমার উৎকন্ঠা লাঘব করতে পারতেন। চাইলে ইতি টেনে দিতে পারতেন আমার ভেতরের খারাপ অবস্থারও ...।
অবশেষে তারা সুখে শান্তিতে বাস করিতে লাগিল- শেষ অবধি এসে যখন এই লাইনটি এসে দাঁড়াতো? সেই বয়সে, সেই শৈশবে পৃথিবীতে বোধ হয় এর চেয়ে আনন্দময়, এর চেয়ে প্রশান্তি জাগানিয়া বাক্য আর কিছুই ছিলনা।
আমি ভাবতাম, পৃথিবীতে সেই বাক্যর চেয়ে প্রশান্তিময় বাক্য কী আর আছে?
২.
আজ অনেকদিন পরের কথা।
অবশেষে অবসান হলো বিডিআর বিদ্রোহের- পত্রপত্রিকায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সেই বাক্য দেখে, শুনে সেই প্রশান্তি পেলাম। ভুল। সেই রকম বললে অনেক কম হবে। বরং তারচে কয়েক কোটি গুন প্রশান্তি নেমে এসেছে ভেতেরে আমার।
আমি জানি, এই প্রশান্তি যেমন আমার, একই রকম প্রশান্তি আপনার, এদেশের কোটি মানুষেরও।
এবং এর চেয়েও আরো কয়েক কোটি গুন প্রশান্তি এদেশে আত্মা রেখে জীবন জীবিকার তাগিদে দেশের বাইরে থাকা মানুষগুলোর।
৩.
আমাদের একটা আজন্ম দোষ আছে। আমরা সামান্য কিছুতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে মত প্রদান শুরু করে দেই। কারো না কারো উপরে দোষ চাপিয়ে দেই। গত কয়েকদিনের ব্লগিংয়ে যার প্রমান অসংখ্য।
একটু বড় করে ভাবিনা। দেশের আনাচে কানাচে, রাস্তা ঘাটে, হোটেলে অফিসে, আদালতে সর্বত্রই কেউ একে দুষছেন, কেউ দুষছেন ওকে। আবার একেকদিন দোষ দিচ্ছেন একেকজনের ঘাড়ে।
এই দোষাদোষীর কোনো কোনো পর্বে আমরা প্রচন্ড নির্মমও হয়ে যাই। সমর্থন দেই, হত্যার মতো বিভৎষতাকেও, মার শালাগো। অনেক ট্যাকা খাইছে।
আবার যখন আর্মীর লাশ পাওয়া যাচ্ছে, তখন আমাদের সুর উল্টো, ক্যামনে মারছে? শালা বিডিআর গো তো ফাঁসিতে ঝুলাইয়া মারন দরকার।
আমরা একবারও ভাবিনা, সে আর্মী হোক অথবা বিডিআর?
মৃত্যু হলে, আসলে মানুষেরই মৃত্যু হয়। কেউ আর্মী, বিডিআর হয়ে মরেনা।
আর একটা মানুষের মৃত্যু মানে তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অনেক মানুষের ধুকে ধুকে মৃত্যু। যে মৃত্যুতে প্রতিদিন হয়তো মরে মরে যাবে মৃত ব্যাক্তির বেচে থাঁকা স্বজনেরা। মা, বাবা, ভাই বোন, স্ত্রী, সন্তান...

আমাদের একটা দূর্ঘটনা ঘটে গেছে। আসুন আমরা এথেকে শিক্ষা নিই।
সংযত হই।
আমাদের ভেতরে। বাইরে। কাজে। কর্মে। ভাষায়। আচারে। আচরনে।

আসুন সংযত হই আমাদের ক্রোধে।
সংযত হই আমাদের উচ্চভিলাসেও।

আমাদের ভাতৃত্ববোধ সুসংহত হোক। আমাদের ভাতৃত্ববোধ দীর্ঘজীবী হোক।


সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৫৮
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×