দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কথার শেষ নেই। জল্পনা কল্পনা করে নিজেদের সময় কাটানোর দারুণ বিষয় পেয়ে গেছি আমরা। সব কিছু শেষ হওয়ার পরো আমরা আলোচনা করে যাচ্ছি সেইসব কিছু নিয়ে যার আদতে কোন ফল নেই। অনেকে বোধ করি উত্তেজনায় ভাটা পরায় কিঞ্চিত বিরক্ত হয়েছেন। যা হোক এসব বলা আমার উদ্দেশ্য না কিংবা আর্মি বিডিআর এর কে দোষী তা নির্ণয়ও আমার কর্তব্য না। সেই দায়িত্ব আমরা বরং সংশ্লিষ্টদের হাতেই ছেড়ে দেই। আমাদের কিছু করার আছে যাদের জন্য আমরা কি তাদের পাশে দাড়াবো? এই প্রশ্নে হয়তো অনেকেই আমাকে ট্যাগ করার চেষ্টা করবেন আমি কোন পক্ষের? আর্মি না বিডিআর? না আমি এদের কারো পাশে দাঁড়াবার তেমন কোন তাগিদ অনুভব করছি না। আর্মি বিডিআরে ঢোকা ব্যাক্তিরা যে কোন সময়ে নিজের প্রাণ হারাণোকে নিজের নিয়তি মেনে নিয়েই ঢোকেন। আর এই নিহত পরিবাররাও নিশ্চয় সাহায্য পাবে নিজ নিজ কর্তৃপক্ষের কাছে। তাই নিহত আর নির্যাতিত সকল আর্মি বিডিআর আর তাদের পরিবারের জন্য রইলো শুধুই সহানুভূতি।
কিন্তু কিছু মানুষের জন্য শুধু সহানুভূতি দিতে মন চাইছে না। তাদের পরিবারকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে মন চায়। তারা আমার মতই নিরীহ সাধারণ নিরস্ত্র মানুষ। কেউ রিকশাওয়ালা কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কেউ বা শুধুই অজ্ঞাত পথচারী। কোন কারণ ছাড়া শুধু ভুল সময়ে ভুল জায়গায় থাকার জন্য হারিয়ে গেল নিরীহ নিষ্পাপ প্রাণ। এদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ কী কেউই বোধ করেন না? আসুন আমরা ভাবি একবার সেনা আর বিডিআরের সহিংসতায় হারিয়ে যাওয়া এই মানুষদের পরিবারের জন্য আমরা কী করতে পারি কিংবা শুধু ভাবনা নয় তাদের পরিবারের কষ্ট কে শেয়ার করে তাদের দুঃখ লাঘবে এগিয়ে আসি আর যাদের হারিয়ে যাওয়াতে পরিবার পথে বসে গেছে তাদের পাশে শুধু ভালোবাসাই নয় বরং আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই।