শত বছরের অবহেলা, বঞ্চনা, নিপীড়ন আর নিগৃহীতের কারণে এ বিস্ফোরণ গতকাল থেকে সংগঠিত হচ্ছে।
বিডিআর-দাবী দাওয়াগুলো একটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক অসন্তোষের মত মনে হচ্ছে। একটি দেশের সুশৃঙ্খল একটি গোষ্টী কখন এত ভয়ানক অবস্থায় যেতে পারে তা এ থেকে অনুমেয়। এ পর্যন্ত কত হতাহত হয়েছে তার সঠিক চিত্র এখনও পাওয়া না গেলেও বহু যে হতাহত হয়েছে তা অনুমান করা যাচ্ছে। এর মধ্যে নিরাপরাধ, নিরস্ত্র সাধারণ মানুষও আছে। ভাবতে অবাগ লাগছে একটি দেশের দু'টি বড় বাহিনী নিজেদের মাঝে কিভাবে কলহ বিদ্রোহ যুদ্ধ করছে।
হায়রে দেশ! এখন বিদেশী শক্তিগুলো আমাদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ আরও বেশি পাবে এবং পাচ্ছে। এমনকি তাদের বহুদিনের স্বপ্ন সামরিক ঘাটিও বাংলাদেশে তৈরী করতে সহজ হচ্ছে। কারও কারও আমাদের দেশ দখল করতে সহজ হবে।
আর বিডিআর-এর দাবীগুলো আমার কাছে যুক্তি যু্ক্ত মনে হচ্ছে। যুক্তিযু্ক্ত বলছে সাধারণ ছাত্র-জনতা। আমি যতগুলো সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেছি, সবাই বিডিআর-দাবীগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সাধারণ ছাত্র-জনতা বিডিআর-এর পক্ষে মাঠে নামতেও দেখা যেতে পারে।
সরকার দ্রুত পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পরিস্থিতি অনেক ভয়াবহতার দিকে যে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ভাল কিছুর প্রত্যাশায়।
আমরা রক্ত চাই না, যুদ্ধ চাই না, চাই না নিজেদের কোন ভাইকে হারাতে।
শান্তি চাই। শান্তি চাই। শান্তি চাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৫