রাত ৮ টার পর।
বিডিআর ৫ নং গেট থেকে একটু দূওে চার রাস্তার মোড়ে আমার দু’জন বন্ধু এবং একজন পুলিশের কর্মকর্তা কথা বলছিল। পেছনে ছিলো একটি পুলিশের গাড়ি। গাড়িটি যখন হেড লাইট জ্বালিয়ে সামনের দিকে আসছিল তখন ৫ নং গেট থেকে বিডিআর রা প্রথমে উপরে ফাঁঁকা গুলি করল, তারপর গাড়ির দিকে গুলি ছুঁড়ল। ৫ নং গেইটে ভিড় করা উৎসুক জনতা এলোপাথারী ভাবে ছোটাছুটি শুরু করল। আমার বন্ধু মাসুদ রাস্তায় শুয়ে পড়েছিল। বাবুল একটা গাছের আড়ালে চলে গিয়েছিল।
মাসুদের সাথে পরে যখন কথা হল তখন ও বললো, ”দোস্ত, কোনোভাবে আজকে বাইচা গেলাম, মনে হইতাছিলো গুলি মনে হয় আমার শরীরের পাশ দিয়া যাইতেছে . .”
আজ মাসুদ মারা গেলে মাসুদের মৃত্যুর দায়ভার কেউই নিতো না।
অনেক সংঘর্ষেই অনেক সাধারণ মানুষ মারা যায়। তাদের নাম কোথাও লেখা হয় না।
ক্ষোভগুলো দানা বাঁধতে বাঁধতে একসময় হয় বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণের নামই বিদ্রোহ। যেকোনো বিদ্রোহের পেছনেই থাকে দাবি ও যুক্তি। হয়তো সকল দাবি যুক্তিসংগত নয়, তবে বিদ্রোহের বেশীরভাগ দাবিই থাকে যুক্তিসংগত।
বিডিআরদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার অভাব রয়েছে। কিন্তু এখন তাদের সকল দাবিই সরকারের মেনে নেওয়া উচিৎ। যদি সরকার তাদের দাবি-দাওয়া মেনে না নেয়, যদি সেনাবাহীনিদেরকে তাদের এলাকা থেকে সরানো না হয়, যদি আর্মিরা তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে শুরু করে তবে দেশের একটি বৃহৎ শক্তি ধ্বংসের পথে এগুবে।