আগের দিন রাতে ঢাকা শহরের খবর যারা পত্রিকা ও টিভির মারফত শুনেছেন তারা জেনেছেন যে পুরা রাত দখল করে নিয়েছিল ছিনতাইকারীরা। ৩৫ জন মানুষ ছিনতাইকারীদের হাতে আহত হয়ে পঙ্গুতে ভর্তি হয়েছে। একজন মারা গেছে। তবে আমি কিছু প্রাক্টিকাল অভিজ্ঞতার কথা বলি।
রোকেয়া ফিরছিল গ্রামীন ব্যাংকের অফিসের সামনে থেকে রিকশা। একটা সিএনজি এসে রিকশার পাশে দাড়ালে তার ভেতর থেকে একজন হাত বের করে রোকেয়ার গলার চেইন ধরে এমনভাবে টান দিলো বেচারী রিকশা থেকে নিচে পড়ে গেল। চেইন নিয়ে ততক্ষণে সিএনজি হাওয়া।
বিজয় স্মরণী থেকে তালতলা পর্যন্ত রাস্তায় চোখের সামনে রাত্র দশটায় দেখলাম ছিনতাই। আমরা বাসে বসে হৈহৈ করছিলাম, ছিনতাইকারী আমাদের দিকে ছোরা উচিয়ে ভেংচি কেটেছে।
কল্যানপুর টু টেকনিক্যাল এই সড়কে জ্যামে বসে থাকলেই ছিনতাই এর শিকার হতে হয়। আমার একজন প্রতিবেশী সব হারিয়ে এসেছেন সেখানে।
হঠাৎ করে ছিনতাই বেড়ে যাবার কারণ হিসাবে সবাই আলোচনা করছে ক্রসফায়ার ইস্যুতে র্যাবের বিচারের কথা শেখ হাসিনা বলার পর থেকে র্যাব ইনএ্যাকটিভ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় ভাবতেছি নিজেই ছিনতাই করতে নেমে যাবো। সাথে একটা ছোরা থাকবে, অলওয়েজ খুঁজতে থাকবো কাকে ছিনতাই করা যায়।
ছিনতাইকারী নিশ্চয়ই ছিনতাইকারীকে ছিনতাই করবে না।