somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টেলি-টক নিয়া কিছু লুকাল ঠগ

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মহল্লা গরম। কেমনে কি! বহুত কিছু হয়া গেছে। যেই মুহূর্তে ব্লগাররা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তাদের কার্যক্রমরে একটা উচ্চতায় নিয়া গেছে (২ লাখের উপর স্বাক্ষর, আরো ১০ লাখ টার্গেট) তখনই সামহোয়ার ইন ব্লগে দেখি তুলকালাম। আন্দোলন বিষয়ক ঐক্যে অবশ্য এরই মধ্যে একটা ফাটল দেখা দিছে যা সূক্ষ চিড় বলা যায়। কিন্তু এইটা অচিরেই পুরা ব্যাপারটা কাচাইয়া দিতে পারে বইলা আমার বিশ্বাস। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির সঙ্গে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি যোগ হওয়াতে কিছু ব্লগার ইতিমধ্যে তীব্র আপত্তি জানাইছেন। তবে তারচেয়ে বড় হইয়া দাড়াইছে অনেক ক্যাচাল কইরা সাধারণ ব্লগারদের সমর্থন ও সহযোগিতায় সামহোয়ার ইন ব্লগে মুক্তিযুদ্ধের পোস্ট বিষয়ক নীতিমালা যারা আদায় করছে, তাদের অন্যতম এক ফাইটারের উৎখাত। এ-টিমে এই একটাই লোক ছিলো যে কিনা কোনো কালে দ্বিতীয় নিক ব্যবহার করে নাই। (টেকনিকালি কথাটা যদিও ঠিক না, কারণ তার পুরা নামের নিকটা স্থগিত ছিলো কিছু দিন যে সময়টায় তিনি পদবী বিসর্জন দিয়া ফাস্ট নেমে ব্লগাইছেন, কিন্তু এ-টিম অপারেশনে কখনোই না।)

মূলত সামহোয়ারে স্বাধীনতা বিরোধী পোস্ট ও সেগুলোর রচয়িতাদের প্রতিরোধের জন্য এ-টিমের জন্ম হইছিলো। এমনকি এইসব পেইড ব্লগারদের ভাই-বেরাদর মানে পৃষ্টপোষকরাও বাদ যায় নাই। ২০০৭ সালের শেষ দিকে যখন নীতিমালা বিষয়ে স্বাধীনতা বিরোধী পোস্টের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সুস্পষ্ট ঘোষণা পাওয়া গেলো, তখন এ-টিম নেহাতই অতীতের খাতায় নাম লেখাইলো। এখন ছাগুরাম ও তার মতোদের দেখলে সাধারণ ব্লগাররাই লাঠি হাতে দৌড়াইয়া আসে। এ-টিমের প্রয়োজনীয়তা নাই। তবে টিমে যারা ছিলেন তাদের ব্যক্তিগত ক্যাচালগুলোরে দলীয় পরিচিতি দেয়ার একটা প্রবণতা সবসময়ই লক্ষ্য করা গেছে। সেইটা যথারীতি ব্লগনোটের মাধ্যমে অস্বীকারও করা হইছে। কারণ রাজাকারিতা প্রতিরোধের বাইরে হিজ হুজ সিস্টেম চালু ছিলো। যদিও ব্রাদার্স ইন আর্মসের সূত্র মতে কেউই কাউরে কখনোই একা মাইর খাইতে দেয় নাই। দিবেও না।

সরকারীদলে সবসময়ই গুন্ডাপান্ডা থাকে। তাদের ব্যবহার করা হয় বিরোধী পক্ষরে দমানোর জন্য। এদের নাড়ি বাধা থাকে কর্তৃপক্ষের কাছে। সুবাদেই তাদের দুই নম্বরীগুলান বরাবরই নীতিমালার ম্যাগনিফাইং গ্লাসেও অদৃশ্য থাইকা গেছে স্বার্থের প্রশ্রয়ে। মজার ব্যাপার হইলো এ-টিম অপারেশনাল অবস্থায় কি করছে না করছে সেইটা ব্লগের সবাই জানে। এখন কেউ যদি চুরি কইরা শুইনা আইসা বলে কেডায় কি করছে আমি সব জানি, তারে লোকে বাহবা দিবো নাকি চোর কইবো সেইটা লোক মানসিকতার উপর নির্ভর করে। তয় চোরে যদি কই সাবধান সব কইয়া দিমু, তার বালখিল্যতা নিয়া হাসুম না কান্দুম। ক'না, বাড়াইয়া বুড়াইয়া হইলেও ক, লোকে জানুক কেমনে কি! এ-টিমের কোনো ই-বুক বাইর করার ইচ্ছা নাই। তয় কেউ যদি সেরম কিছু বাইর কইরা ক্রেডিট নিতারে নিক না। মাগনা প্রচারে লসাছে নিকি?



যখনই কুনু কাহিনী ঘটে, তখনি দেখা যায় সেই কাহিনী নিয়া লোকমুখে আরো কাহিনী রটে। এমনই একটা কাহিনী হইলো কুন কুটিপতি ব্লগার নিকি টেলিটকে ঝড় উঠাইতেছিল কয়দিন ধইরা। যারা তার পয়সায় কেক-বিস্কিট খাইছে, যারা তার অফিসের থিকা দুই পেগ হুইস্কির ট্যাকা লইয়াছে, যারা তার জীবনি ই-বুক বাইর করার কন্ট্রাক্ট সই করছে, যারা মগবাজারী ভাতার সম্পূরক হিসাবে কয়েক থোক দু্বাই ডলার নিয়া তারে পুনর্বাসিত করার শপথ নিয়াসছে- সবারই কান জাম। এত দেরি ক্যান? শুধু ব্লগার না, এই লুক পুরা ব্লগ কিনার ক্ষমতা রাখে। তারে তুয়াজ না করাটা অবশ্যই সেরম বিয়াদবী। সে কারণে নাকি সিনেমার চিত্রনাট্য করা হইছে সিস্টেমিটেকালি। হে আইবো, ব্লগের নানা খাতে দেশী-বিদেশী মুদ্রায় অনুদান হবে- এমন অর্থকরী প্রস্তাবনাও নিকি সংযু্ক্ত হইছে টেলিটকে। ব্যবসায় কেডা কার বাপ, কেডা পুলা! তো তুমি ব্যান সেও ব্যান, তুমিও ফিরো, সেও ফিরুক, ব্লগে শান্তি- এরম একটা স্পেশাল ট্রাইবুনালের রায় নিকি সকালে ঘোষিত হবে। পাবলিক যে কতো গপ্পো বানাইতারে, আল্লারে!


তাও ভালো তারা কয় নাই যে এই বিজনেস ডিলে চলমান আন্দোলনটাও অন্তর্ভুক্ত হইছে। নানা ঘিরিঙ্গিতে সেইটারে ফার্দাফাই কইরা দেওয়া হবে। হাসিনা বিচার করুক না করুক, সামুতে সব বন। যেইডি ফালায় সেইডিরেই আগে সাইজ। পাবলিক!কথা কথা বলেরে!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৫৫
২২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×