বৃক্ষ তোমার নাম কি?
ফলে পরিচয়।।
নামের বড়াই কোরোনা কো নাম দিয়ে কি হয়
নামের মাঝে পাবে নাকো সবার পরিচয়।।
কিন্তু আমাদের নাম নিয়ে কত বাহাদুরি, কত ভাবনা!!! আমরা চলতি পথে কত নাম ব্যবহার করি তার ইয়ত্তা নেই। আবার নিজেদের সুবিধার জন্য অন্যের নামকে নিজের মতও করে নিই যেমন, কালো শামিম, লম্বা রাজু ইত্যাদি। আমরা যেখানে ছিলাম চট্টগ্রামে সেখানে নামকরনের বেশ প্রচলন ছিল। এটা মনে হয় সবখানেই থাকে।
সবগুলোর কারন আমার জানা নেই, কারন ওগুলো আমার বড় ভাইয়েরা দিয়েছিল। তেমনই কয়েকটার কথা আজ মনে পড়লো:
= আবদুল বুরুশ ( ব্রাশ)- উনার দাড়ি ছিল ছাগলা। ( উনাকে ডাকা হতো বুরুইচ্চা নামে তবে আড়ালে। তবে এই নাম উনার কর্নগোচর ঠিকই হতো)
= বুড্ডা - অল্প বয়সে চুলে পাক ধরেছিল
= দলু - গরুকে দলু বলায়
= গপ্পু- বেশি গপ মারত মানে চাপাবাজি করতো
= বাকারপোঁচ- কারন জানা নাই
= রাবেয়া আপা (যদিও উনি ভাই) - ভীষন আস্তে হাঁটতেন, যেন গুনে গুনে পা ফেলছেন
=হাঁড়ি - মেয়েদের মত সবসময় ঘরকুনো হয়ে থাকার জন্য
=রাজ্জাক - সবসময় হিরো হিরো ভাব নিয়ে চলাফেরা করত।
এরকম আরও অনেক ছিল। সব মনে পড়ছেনা এই মুহূর্তে।
সবাইকে ভীষন মনে পড়ে। খুউউব ইচ্ছে করে পুরনো দিনে ফিরে যেতে। ভীষন সু্ন্দর একটা পরিবেশে মানুষ হয়ে এসেছি। যা শহুরে জীবনে থেকেও আমি পেয়েছি।। কিন্তু হায়! এখন আর তেমন পাওয়া যায়না। এমনকি আমার ছেলেবেলার সেই জায়গাটিরও পরিবর্তন হয়ে গেছে!!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২০