ফারহানের লেখার মাঝে একটা অদ্ভুত ঝাঁজ আছে। একটা বুঁনো বিদ্রোহী গন্ধ পাই। গদ্যগুলো পড়তে থাকলে নেশার মত অনুভুত হয়। নিজের রক্তেও যেন একটা বান বইতে শুরু করে। আজ ফারহানের একটা লেখা পড়ছিলাম। ফিলিস্তিন নিয়ে। লেখার একটা অংশ আমার দৃষ্টিকে আকর্ষন করে ব্যাপক ভাবে। আমি লেখার লাইনগুলোকে (একটা শব্দও পরিবর্তন না করে) পর পর সাজিয়ে নিজেই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। কি ছিল তাতে? আপনিও পড়ে দেখুন!
ফিলিস্তিনের শিশু
- ফারহান দাউদ
এই শিশুগুলো হাসে না।
ওদের ছবিতে হাসিমুখ থাকে না।
ওদের চোখে জল থাকে,
ওদের গালে কান্নার দাগ থাকে,
ওদের গায়ে বারুদের কালি থাকে,
ওদের চুলে ধুলোর জটা থাকে।
ওদের ছবিগুলো প্রতিদিন বদলে যায়
খবরের পাতায়, কারণ আরো একবার
ছবি তোলার জন্য ওরা বেঁচে থাকে না।
ওরা ফিলিস্তিনের শিশু, ঘৃণার আগুনে পুড়ে
ওরা জন্মানোর আগেই মরে যায়।
ওরা বাতাসে ফুলের গন্ধ চেনে না,
ওরা নীল আকাশ চেনে না,
ওরা পাখি চেনেনা, ওরা গান বোঝেনা।
বারুদের ঝাঁঝ ওদের সুগন্ধি,
কালো ধোঁয়া ঢাকা আকাশের নিচে ওরা বন্দী,
ইসরায়েলের কুৎসিত ফাইটার জেটই ওদের পাখি,
কামানের গোলা আর রকেটের শব্দ ওদের সংগীত,
ওরা ফিলিস্তিনের নিষ্পাপ শিশু,
যারা নিজের মৃত্যু পরোয়ানা হাতে নিয়ে জন্ম নেয়।
এখান থেকে কবিতাটি নেয়া হয়েছে
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:১৫