রাজনৈতিক ও সামাজিক কোন বিষয়ে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনার স্থান বা মিলনমেলার স্থান আজ শহীদ মিনার। শহীদ মিনার থেকেই বের হয়ে আসে নানা পরিকল্পনা, নানা ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনা। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও ভাষা দিবস ছাড়াও আমরা কারণে অকারণে জমায়েত হই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। নাটক মঞ্চস্থ করি। গান পরিবেশন করি। নাচ পরিবেশন করি। কবিতা আবৃত্তি করি। দাবী আদায়ের জন্য অনশন করি। সমর্থন আদায়ের জন্য মানব বন্ধন করি। এসব কার্যক্রমের জন্য অবধারিতভাবে বেছে নেই আমাদের স্মৃতির মিনার, আমাদের ঐতিহ্যের মিনার, রক্ত দিয়ে কেনা শহীদ মিনার।
এই শহীদ মিনার না থাকলে আমাদের সংস্কৃতির এত বিকাশ হত না। এত কবিতা, এত গান দিয়ে ভরিয়ে দেয়া যেত না চারপাশ। হত না এত পথ নাটক। হত না দাবী আদায়ের জন্য অনশন। হত না সমর্থন আদায়ের মানব বন্ধন। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সকল শিকড় আজ শহীদ মিনারের বেদিমূলে প্রোথিত।
১৯৫২ সালে তারা প্রাণ দিয়ে আমাদের একটি শহীদ মিনার দিয়ে গেছে বলে আজ আমরা সামনে এগুনোর প্রেরণা পাই। আমাদের সংস্কৃতির ভিত্তিমূল খুঁজে পাই। আমরা খুঁজে পাই সেই চেতনা - যা না থাকলে আমরা কখনও স্বাধীন জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতাম না ।
বিঃদ্রঃ এই শহীদ মিনারটি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত দেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনার।