somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

RAB নিস্ক্রিয়, পুলিশ শিথিল

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিরোনাম টি আমার নয় । সমকাল দৈনিক পত্রিকার কয়েক দিন আগের একটি সংখায় অনেক গুলি শিরোনামের মধ্যে এটি একটি যা আমার দৃষ্টিতে পরেছে। শিরোনামটি আমার নিকট গুরুত্বপূর্ণ মনেহয়েছে কারন পুলিশের ভাবমূর্তি অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে এখন যদি Rab এর ভাবমূর্তি ও নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আমরা আমাদের নিরাপত্তার জন্য কার উপর নির্ভর করব । আর এভাবে যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পর তাদের ভাবমূর্তি হারাতে থাকে তাহলে আমাদের একটি নিশ্চিন্ত রাত্রির দায়িত্ব কার উপর ন্যাস্ত করব। যদিও আমাদের নিরাপত্তার সর্বিক দায়িত্ব এখনো পুলিশের উপর। অন্যান্য সংস্থা পুলিশকে সহায়তা করে মাত্র। তথাপিও আমরা Rab এর কাজে খুশি হয়ে আমরা Rab কে আমদের বিশ্বাস ও ভালোবাসার সাথে গ্রহন গ্রহন করি। তাই এ প্রতিষ্ঠানটির কোন নেতিবাচক সংবাদ আমাদেরকে ব্যাথিত ও সংকিত করে।
পুলিশের কাজ হলো আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা অর্থাৎ সাধারনভাবে বিশ্বব্যাপি আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্ব যাদের উপর ন্যাস্ত করেছি তাকে আমরা পুলিশ নামে অভিহিত করি। অনুন্নত দেশগুলো বাদ দিলে পুলিশ এ দায়িত্ব অত্যন্ত বিশ্বস্থতার সাথে পালন করে আসছে। আমাদের দেশে পুলিশের ক্রমাগত ব্যর্থতার কারন উৎঘাটন ও সমাধান করতে না পেরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির সংক্ষিপ্ত পন্খা হিসাবে পুলিশের অংশ হিসাবে পুলিশ আইনের মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয় । রাব তখন তাদের সংক্ষিপ্ত পন্থা হিসাবে বিচার বহিভূত ভাবে কিছু লোককে হত্যা করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি ঘটায়। অবশ্য পুলিশ কতৃক বিচার বহিভূত হত্যাকান্ডের সংখ্যাও রাব এর চেয়ে বেশি ছাড়া কম নয়। সরকার একে ক্রসফায়ার বা অন্য যে নামেই ব্যাখা দিক না কেন? আমরা সবাই জানি এটা নির্ভেজাল হত্যাকান্ড ব্যাতিত আর কিছুই নয়। যদিও বিনা বিচারে হত্যা অত্যান্ত গর্হিত কাজ তথাপিও আমরা একে আন্তরিকতার সাথে গ্রহন করেছি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সাময়িক ব্যাবস্থা হিসাবে। দেশের পুলিশিং ব্যাবস্থা ও বিচার ব্যাবস্থার ক্রমাগত ব্যার্থতার কারনে আমরা একে মেনে নিলেও এটা কোন সভ্য সমাজের গৃহিত পন্থা নয়। কোন সভ্য সমাজেই বিচার বহিভূত হত্যা গৃহিত হয় না। অপরাধের উৎঘাটন উপস্থাপন এবং বিচার বর্তমানে কোন দেশেই একক ভাবে একটি সংস্থার হাতে নেই । ন্যায় বিচারের স্বার্থে রাখা ও উচিৎ নয়। মটরযান সহ অত্যান্ত ছোট ছোট কিছু অপরাধের বিচার কোথাও কোথাও পুলিশ করে থাকে। তাও নিরঙ্কুশ নয় । কেহ আপিল করলে তার সমাধান বিচার বিভাগই করে থাকে। কারন প্রসিকিউশন এবং বিচার যদি এক ব্যাক্তির উপর থাকে তাহলে দুটি কাজই সঠিক ভাবে হয় না । কারন যে লোকগুলোকে আমরা এ দায়িত্ব দিব তারাও লোভের বশবর্তি হয়ে অসৎ পন্থা গ্রহন করতে পারে । তাহলে সমাজে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে।
আমরা ক্রসফায়ার গ্রহন করেছিলাম আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী ও বিচার ব্যাবস্থার ব্যার্থতার কারনে সাময়িকভাবে। ক্রসফায়ার এর আতঙ্ক বিদ্যমান থাকা অবস্থায় আমাদের উচিৎ হবে আইন শৃংখলা ব্যাবস্থা ওবিচার ব্যাবস্থাকে এমন একটি মানে নিয়ে যাওয়া যখন আর ক্রসফায়ার নামক অমানবিক নাটকের আর প্রয়োজন হবে না। প্রয়োজনে অন্য কোন নাম দিয়ে অন্য কোন নতুন বাহিনী করা যেতে পারে। তরে ব্যার্থতার সঠিক কারন গুলি চিহ্নিত করতে না পারলে নতুন বাহিনী করেলেও তা ব্যার্থ হরে সময়ের আবর্তে। উদাহারন হিসাবে বলা যায় আপনারা অনেকে হয়ত জিমনাষ্টিক প্রিশিক্ষণ দেওয়া দেখেছেন। প্রশিক্ষক প্রথম দিকে প্রশিক্ষনার্থীদের নিজ হাত দিয়ে উচু করে রিং ধরতে বা ডিগবাজি দিতে সাহায্য করে । এক সময় আর ডিগবাজি দিতে প্রশিক্ষনার্থীকে তার কোচের সহায্য নিতে হয় না । সে নিজেই তার কাজের জন্য যোগ্য হয়ে যায় । তাই আমাদেরও উচিৎ হবে আজীবন ক্রসফায়ার এর উপর নির্ভরশীল না থেকে পুলিশিং ব্যাবস্থাকে ও বিচার ব্যাবস্থাকে একটা নির্দিষ্ট মানে খুব দ্রুত নিয়ে যাওয়া । তা নাহলে ক্রসফায়ার এর উপর যে বিশ্বাস এখনো আছে তা আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাবে। তখন আকার্যকর পুলিশিং ব্যাবস্থা নিয়ে এখন আমরা যতটুকু আফসোস করি এক দিন তারচেয়ে অনেক বেশী আফসোস করতে হবে। বিষয়টি ভেবে দেখার এখনই উপযুক্ত সময় ।
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শেষ মুহূর্তে রাইসির হেলিকপ্টারে কী ঘটেছিল

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৩২

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত খুব কমই জানা গেছে। এবার এ ঘটনার আরও কিছু তথ্য সামনে এনেছেন ইরানের প্রেসিডেন্টের চিফ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনারই মেরেছে এমপি আনারকে।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন!

এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের কিছু উল্টা পালটা চিন্তা !

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১০

১।
কলকাতা গিয়ে টুকরা টুকরা হল আমাদের এক সন্ত্রাসী এমপি, কলকাতা বলা চলে তার ২য় বাড়ি, জীবনে কতবার গিয়েছেন তার হিসাব কেহ বের করতে পারবে বলে মনে করি না, কলকাতার অলিগলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×