অপরিচিত

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৯/২০১৩ - ২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সীমার সাথে আমার দেখা হয়েছিল প্রায় পনেরো বছর আগে, আমার মত করে। এর পরে যে দেখাটা হয়েছিল সেটাকে আমি কখনও মনে করি না, করতে চাইও না।

পনেরো বছর অনেক লম্বা সময়,অন্তত আমার কাছে। এই পনেরো বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে। আমি হয়ত বদলে যাই নি। আমি হয়ত আমিই আছি, আর আমার এই আমি থাকাটাই আজকে আমার সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সীমাও অনেক বদলে গেছে। আজ সে পরিপূর্ণা। সে আজ একজন আদর্শবান মা, সন্তানের প্রতিটি পদক্ষেপে যার তীক্ষ্ণদৃষ্টি। একজন আদর্শ পুত্রবধু, একজন আদর্শ স্ত্রী...

এগুলো একটাও আমার নিজের দেখা না, সব অন্যের শোনা। আজ পর্যন্ত ওর স্বামীকে ভাল করে দেখিনি। দেখতে চাইও না। নিজের অবচেতন মনকে বারবার বাধা দেওয়া সত্ত্বেও তার সাথে নিজের তুলনা হয়েই যায়। তাই সবসময় আমি ওদের ছায়ারও বিপরীত দিকে যাই। একই শহরে থাকি তবুও ওর সাথে আমার দেখা হয় না। এই কৃতিত্ব অবশ্যই আমার। পারতপক্ষে যে জায়গাগুলোতে তার থাকার সম্ভাবনা সেই জায়গার কোথাও আমি নেই।

অনেক কাছের মানুষের কাছেও আজ আমি অপরিচিত হয়ে উঠেছি। তবুও অনেকের সাথেই দেখা হয়ে যায়। হালকা গোছের কিছু কথাবার্তা হয়। সবকিছু জেনেও না জানার ভান করে থাকি, তারাও করে। এই অভিনয় করতে মন্দ লাগে না। মনে হয়, এটাই বাস্তব। বাকী যেটুকু সেটা নিয়ে না ভাবলেও চলে।

সেদিন বিকেলে রাস্তার মোড়ে সিগারেট কিনছি। হঠাৎ দেখি স্বপ্না, অনেক বছর পর! আমি চট করে দোকান থেকে সরে গেলাম। কিন্তু স্বপ্না আমায় দেখে ফেলল। “বিপ্লব ভাই, অ্যাই বিপ্লব ভাই!” বলে রাস্তার মানুষজনকে অবাক করে আমার কাছে ছুটে এল।

আমি হাসিমুখে বললাম, “কেমন আছ স্বপ্না?”

-“বিপ্লব ভাই, আপনি কোথায় ছিলেন এতদিন? জানেন খোরশেদ আপনাকে কত খুঁজেছে?”

-“কোথায় আবার?” মুখটা হাসি হাসি রাখার চেষ্টা করি।

-“আপনি এরকম কেন?” স্বপ্নার কণ্ঠে অভিমান ধরা পড়ে।

-“খোরশেদ কই?”

-“ও তো ঢাকাতেই আছে, আমি অফিসের ছুটি নিয়ে মার সাথে দেখা করতে এলাম।” স্বপ্না থামল। আমার মুখের দিকে চেয়ে বলল, “আর আপনি?”

আমি হাসলাম। স্বপ্না আমাকে জোর করে একটা ক্যাফেতে নিয়ে গেল। আমি যেন দেখতে পেলাম আজকের প্রায় চল্লিশ বছরের এই ভদ্রমহিলার পিছনের পঁচিশ বছরের এক ভীত তরুণীর মুখ।

২.
-“দোস্ত, কাজটা করে দে না,” খোরশেদ আমার হাত চেপে ধরে।

-“এখানে আমার লাভ কি?” আমি মুচকি হাসি। হেসে চায়ে চুমুক দেই। ক্যান্টিনের এই চা’টা বেশ ভাল। চা খেতে খেতে খোরশেদের অস্থিরতা উপভোগ করি।

-“তোর কি লাভ মানে?” খোরশেদ ক্ষেপে ওঠে। “বন্ধুর জন্যে একটা কাজ করবি এর মধ্যেও লাভ-লোকসান খুঁজিস? তোকে বলাই ভুল হয়েছে।”

খোরশেদ চায়ের টেবিল থেকে উঠে যেতে উদ্যত হয়। আমি হাত ধরে টেনে বসাই।

-“শালা, মশকরাও বুঝিস না? আচ্ছা যা করব।”

-“সত্যি?” খোরশেদের মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

-“হ্যাঁ, বন্ধুত্বের খাতিরে এই রিস্ক নিতে রাজি আছি।” আমি হেসে ওর কাঁধে হাত রাখি।

-“জানতাম দোস্ত, তুই করবি,” খোরশেদ হেসে ফেলে। “শোন, তুই এই মঙ্গলবার সকালে লাবণীর বাসায় যাবি। ওই যে, স্বপ্নার বান্ধবী। সেখান থেকে স্বপ্নাকে নিয়ে সোজা ট্রেনে উঠবি। প্রায় তিন ঘন্টা লাগবে ময়মনসিংহ আসতে। আমি আমার খালাতো ভাইসহ দাঁড়িয়ে থাকব। ওখান থেকে আমরা কাজী অফিস যাব।”

-“বাহ! এমনভাবে বললি যেন খুব সহজ, তাই না?” আমি দাঁত কেলিয়ে হাসতে থাকলাম।

-“সোজাই তো! শুধু সাবধানে থাকিস। স্বপ্নার বাবা হেব্বি পাওয়ারফুল লোক। খুব ডেঞ্জারাস। জানতে পারলে মেরে ফেলবে।”

-“তা তুই ওকে নিয়ে যাস না কেন?”

-“দোস্ত ওটাই করতাম। কিন্তু ওর বাবা আমার পিছনে লোক লাগিয়ে দিয়েছে। এই শহরের কোথাও আমাকে আর স্বপ্নাকে একসাথে দেখলে খবর করে ফেলবে। আমি আজ রাতের ট্রেনেই গ্রামে যাচ্ছি। লাবণীকে চিঠি দিয়েছি। ও ওদিকের সব দেখবে।”

খোরশেদ একগাল হেসে বিদায় নেয়। আমি ওর বিয়ের উত্তেজনা দেখতে থাকি।

৩.
-“বিপ্লব ভাই, আমার ভয় করছে।”
স্বপ্না ফিসফিস করে আমায় কথাটা বলে। আমি হাসার চেষ্টা করি। বলি, “কিচ্ছু হবে না, আল্লাহ্‌কে ডাক।”

ওর ভয় কমল কিনা জানি না, তবে আমার ভয় আরো বেশি করতে লাগল। টিকেটচেকারকে যখন বললাম যে ‘আমি আর আমার স্ত্রীর দুটো টিকেট’ তখন গলাটা কেঁপে উঠেছিল। উনি কিছু সন্দেহ করেননি ঠিকই, তবে এক ভদ্রমহিলা তীক্ষ্ণচোখে আমাদের দেখছিলেন। আমাদের দেখে অবশ্য স্বামী-স্ত্রীই লাগছিল। ওর বেগুনি শাড়ি আর আমার ইস্ত্রি করা শার্ট-প্যান্টে একটা দম্পতি দম্পতি ভাব আনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মহিলার তীক্ষ্ণদৃষ্টি আমাদের মনে ভয় ধরিয়ে দিল।

-“আপনারা যাবেন কোথায়?” ভদ্রমহিলা আচমকা জিজ্ঞেস করল।

স্বপ্না আমার হাত চেপে ধরে। আমি যতটুকু স্বাভাবিক থাকা যায় সেভাবে বললাম, “সূত্রাপুর, আপনি?”

ভদ্রমহিলাটা জবাব দিলেন না। আমাদের মনে আরো ভয় ধরে গেল। একেকটা স্টেশন থামে আর আমার মনে হয় এই বুঝি স্বপ্নার লোকজন আমাকে আর স্বপ্নাকে ধরে নিয়ে যায়। খোরশেদ অপেক্ষা করছে ভেবে আরো বিচলিত হয়ে উঠলাম।

এইভাবে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা পার করলাম। স্টেশনে থেমে যখন খোরশেদকে দেখলাম তখন যেন আবার জীবন ফিরে পেলাম। সেখান থেকেই কাজী অফিস। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে খোরশেদ বলল বাসায় জানে সে একমাস আগেই বিয়ে করেছে। সেখানে আবার আরেক ভেজাল বাঁধিয়ে রেখেছে। বিয়ে করে সে তার বড়বোনের বাসায় যাবে। তারপর দেখা যাবে।

কাজী অফিসে বিয়ে পড়ানো হল। আমার দীর্ঘদিনের আপন মানুষটির জীবনের শ্রেষ্ঠ অধ্যায়ের সাক্ষী হলাম। আমার এই সহজ সরল অথচ কুটনামি-বুদ্ধিযুক্ত মানুষটির সাথে জীবনের কত কিছুই না জুড়ে আছে ! ওদের বিয়ে কাজ শেষ হলে খোরশেদকে আমার টিউশানির সব টাকা একটা খামে তুলে দিলাম। বললাম, “দোস্ত্‌ তোদের বিয়েতে কিছু দিতে পারলাম না...”

খোরশেদ আমায় জড়িয়ে ধরে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল। স্বপ্নাও আঁচল চাপা দিয়ে মুখ অন্যদিকে ফিরিয়ে রাখল। সেটা ছিল আমার জীবনের একটা শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত....

তাদের নতুন জীবনের শুভকামনা জানিয়ে ফিরে আসলাম। মেসে আসতেই পুলিশ আমায় গ্রেফতার করল। স্বপ্নার বাবা এক মিথ্যে মামলায় আমায় দু মাস জেল খাটাল। জেল থেকে ফিরতেই শুনলাম সীমার বিয়ে হয়ে গেছে। স্বামীসহ সে তখন বিদেশে...

কিছুই করলাম না। খোরশেদের মা মারা যাওয়ায় নাকি তখন সে ওদিকের সব সামলাচ্ছিল। কিছুই জানে না ওরা। আর ঘাঁটালাম না তাদের। আমার চেনা পরিবেশে আমি নিজেই অপরিচিত হয়ে উঠলাম।

৪.
স্বপ্না অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, “বিপ্লব ভাই, সীমার সাথে আপনার আর যোগাযোগ হয়নি?”

আমি মৃদু হাসলাম। তারপর বললাম, “ ও পাঁচবছর পর দেশে ফিরেছিল। হ্যাঁ, সেবার ওর সাথে কথা হয়েছিল।

-“কী বলেছিল?”

-“কী আর বলবে?” আমি সহজ হবার চেষ্টা করলাম, “ ও অনেক কেঁদেছিল। বলল ওকে নাকি বোঝানো হয়েছিল আমি তোমার সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছি। ওর যোগাযোগেরও সুযোগ ছিল না। তাই শেষমেশ ওকে বিয়েতে রাজি হতে হয়েছিল।”

-“আর?” স্বপ্না ছলছল চোখে আমার দিকে তাকাল।

আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম। তারপর দুর্বলভাবে বললাম, “ও বলেছিল ও এখনও আমার কাছে আসতে চায়। আমি রাজি হয়নি। অনেক বুঝিয়ে ওকে ফিরিয়ে দিয়েছি।”

-“কেন?” স্বপ্না প্রায় আর্তনাদ করে ওঠে। “আপনি জানেন আপনার জন্যে আজো আমদের কতটা গ্লানিতে থাকতে হয়? খোরশেদ এখনও নিজেকে এসবের জন্যে দায়ী মনে করে।”

-“গ্লানি কিসের?” আমি জিজ্ঞেস করি। স্বপ্না কাঁদতে শুরু করে। আমি বিব্রতবোধ করি। আশেপাশের মানুষজন তাকাতে শুরু করেছে।

স্বপ্না ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলে, “আপনি জানেন আব্বা মারা যাওয়ার আগে কী বলেছিল?”

-“কী?”
-“বলেছিল বিপ্লব যাতে আমাকে ক্ষমা করে।”

আমি বাইরে তাকাই। আমার প্রিয় এই বিকেলবেলাটা অপরিচিত মনে হয় আমার।

রাসিক রেজা নাহিয়েন


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লিখেছেন। মনে হল উত্তম-সুচিত্রার যুগে চলে গেলাম।
মেঘ ও রৌদ্র

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। প্লটটা অনেকটা সে যুগের হিসেবেই লিখেছি।

রাসিক রেজা নাহিয়েন

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

গল্পটা ভালোই। বিপ্লবের জন্য মনটা একটু খারাপও হল।
তবে, সীমার আবার ফিরে আসতে চাওয়া, অনেক বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো -এটা গল্প-উপন্যাসে খুব বেশি বেশি ব্যাবহারে ক্লিশে হয়ে গিয়েছে। এই জিনিসটা না থাকলে আরো ঝরঝরে লাগতো গল্পটা। (এটা আমার মনে হল, হয়ত অন্য কারো কাছে ঠিক এরকম নাও লাগতে পারে )

শুভেচ্ছা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। আসলে কাঁচা হাতের লেখায় অনেক ফাঁক-ফোকর থেকেই যায়। সেগুলো যখন এরকম আপনাদের সুতীক্ষ্ণ বিশ্লেষনে বেরিয়ে আসে, সত্যিই অনেক ভালো লাগে।

ভাল থাকবেন।

রাসিক রেজা নাহিয়েন

মেঘলা মানুষ এর ছবি

নাহ, সুতীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ করার মত মেধা আমার নেই। আমি সব লেখকের, সব গল্পেরই বিমুগ্ধ পাঠক।

আরও শুভেচ্ছা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

নিজের ক্ষেত্রে লেখক শব্দটা এখনো অপরিচিত! আপনার মেধা নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নেই, আজ যতবার গল্পে ক্লিক করেছি আপনার মন্তব্যই চোখে পড়েছে।

ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার কল্যাণে আজ আমার অভিধানে নতুন শব্দ যোগ হয়েছে, "ক্লিশে" !

ভালো থাকুন। হাসি

রাসিক রেজা নাহিয়েন

শিশিরকণা এর ছবি

বেশ!

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রাসিক রেজা নাহিয়েন

স্পর্শ এর ছবি

মনে হলো গল্প না, সত্যি। উত্তম জাঝা!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

চিন্তিত

রাসিক রেজা নাহিয়েন

বন্দনা এর ছবি

ভাল লাগ্লো। আমার ও গল্প মনে হয়নি, সত্যি মনে হল ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার ভাল লাগ্লো জেনে আমারো ভাল লাগ্লো।

রাসিক রেজা নাহিয়েন

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা বেশ ঝরঝরে। প্লট-ও অসম্ভব মনে হয়নি। শুধু একটি বিষয়-এর ফলে, মেঘলা মানুষ যেটি ধরেছেন, "সীমার আবার ফিরে আসতে চাওয়া, আর তাকে বিপ্লবের অনেক বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো"-তে গল্পের গভীরতা খানিকটা মার খেয়েছে। এই অংশটুকু ছাড়া গল্প ভাল লেগেছে।
- একলহমা

অতিথি লেখক এর ছবি

ভবিষ্যতে আর মার না খেয়ে যাতে দু-একটা দিতেও পারে সেই চেষ্টা করব। চোখ টিপি

রাসিক রেজা নাহিয়েন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ

রাসিক রেজা নাহিয়েন

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার বন্ধু ভাগ্য বেশ ভালো। তারপরও (বা এজন্যই) কোথাও যদি বন্ধুত্বের মন ছুঁয়ে যাওয়া কোন দৃশ্য আঁকা দেখি খুব ভালো লাগে।
এটি প্রেমের গল্প নয় মোটেই - নির্ভেজাল বন্ধুত্বের গল্প।
আমার বেশ ভালো লেগেছে।
চলুক
ভালো থাকবেন রাসিক।
আপনার জন্য শুভকামনা।

----------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে প্রেমের থেকে বন্ধুত্বই আমার কাছে এখনো মুখ্য হয়ে আছে। তাই প্রেমের গল্প লিখতে পারিনা। বন্ধুত্বই বারবার চলে আসে।

তাই গল্পটা প্রেমের না বন্ধুত্বের, সেটা আপনাদেরই বিচার।

শুভেচ্ছা নিবেন।

রাসিক রেজা নাহিয়েন

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বন্ধুকে বউ উপহার দিতে গিয়ে নিজের বউ অন্যের হয়ে গেল! মন খারাপ

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

বন্ধুকে বউ উপহার দিতে গিয়ে নিজের বউ অন্যের
হয়ে গেল!

রাসিক রেজা নাহিয়েন

অতিথি লেখক এর ছবি

মনে হয়েছে জীবন থেকে নেয়া।

রঙধনু

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্প মানেই জীবনের প্রতিবিম্ব।

রাসিক রেজা নাহিয়েন

আজরফ এর ছবি

লেখায় চলুক । আপনার জন্য লেখা -গুড়- হয়েছে

অতিথি লেখক এর ছবি

ওহ! ধন্যবাদ! !

রাসিক রেজা নাহিয়েন

অর্কদীপ এর ছবি

উত্তম,অতি উত্তম। গল্পটা পড়ে ভালো লাগলো। সীমার কথা বলতে বলতে হঠাত স্বপ্নার আগমন--এই টার্ণটা ভালো লাগছে।
আর "সীমা আসতে চাচ্ছিল কিন্তু ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে"--এই ব্যাপারটা আমার কাছে মনে হইলো আমাদের সমাজেরই একটা কি বলবো প্রতিফলন। আসলেই এইভাবে ফিরে আসলে চাইলে কাউকে গ্রহণ করা হয় না বলেই হয়তো গল্পগুলাতে এই রকম লেখা হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগলো
ইসরাত

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।

রাসিক রেজা নাহিয়েন

মিলু এর ছবি

ভালো লেগেছে। একদম ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলাম। আমারও সত্যি মনে হল। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

রাসিক রেজা নাহিয়েন

অতিথি লেখক এর ছবি

গ্রহন করতে চাইলেও সামাজিক দায়বদ্ধতা ঠিকই টেনে ধরে।

রাসিক রেজা নাহিয়েন

ঘুমকুমার এর ছবি

প্লটটা বহুল ব্যবহৃত হলেও লেখনীর গুনে গল্পটা ভাল লাগল আর একটানে পড়ে ফেললাম। বিপ্লবের জন্য একটু মন খারাপও হলো। চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার বেশির ভাগ গল্পের প্লটগুলোই সেকেন্ডহ্যান্ড ! কী আর করা! মন খারাপ

রাসিক রেজা নাহিয়েন

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আহা, সুন্দর একটি গল্প ! অবশ্য যদি জীবনের গল্প না হয়। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

যথার্থ! কিছু কাহিনী গল্প হলেই ভাল লাগে।

রাসিক রেজা নাহিয়েন

গৃহবাসী বাঊল এর ছবি

বাহ, সুন্দর তো। ভাল লাগল পড়ে। ছোট্ট এবং সুন্দর।

লিখতে থাকুন।

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।

রাসিক রেজা নাহিয়েন

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো, ছুঁয়ে যাওয়া গল্প। শুধু সীমার ফিরে আসার ব্যাপারটা খাপছাড়া লাগলো। ভালো থাকুন খুব।

-নিয়াজ

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রাসিক রেজা নাহিয়েন

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

পরিচিত গল্প- পরিচিত লোকজন! মনে হলো চোখের সামনে ঘটতে দেখছি। তাই সীমার ক্লিশে ‌ব্যপারটাও খারাপ লাগেনি - এমনি তো হয় বেশীরভাগ সময়।

গল্পের ঠাসবুনোট ভালো লাগলো।

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

রাসিক রেজা নাহিয়েন

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

চলুক

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রাসিক রেজা নাহিয়েন

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সিনেমার ভাষায় স্যাক্রিফাইসিং স্টোরি হাসি
ভালো লাগলো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

রাসিক রেজা নাহিয়েন

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভালো লেখা। লিখে যেতে পারলে লাভ আছে। লেখককে শুভেচ্ছা রইল অনেক।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, নামটা জানা হল না!

রাসিক রেজা নাহিয়েন

অতিথি লেখক এর ছবি

শুরুর ভাষাটা দুর্দান্ত,অনেক্ষন পর্যন্ত স্বপ্নাকেই বিপ্লবের পার্বতী মনে হয়েছিলো।প্রথম অংশটাতে শেষ করে দিলেও অসাধারন হতো হয়তো,এরপরে যতো গল্প এগিয়েছে সেটা গল্প থেকে মহানুভবতার নাটক হয়েছে এবং গল্প তার প্রাণ হারিয়েছে।ভবিষতে আরো ভালো হবে এই আশা করি।(এটা শুধু আমার মতামত,সবার কাছে একি রকম নাও লাগতে পারে)

মাসুদ সজীব

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।