somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালবাসি ভালবাসি :: দিন বদলের ছোয়া

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ঋতু চক্রে এখন পার হচ্ছে সন্ধিক্ষণ। সবখানেই কি দিনবদলের শ্লোগান? ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে শীত। পালা বদলের সুযোগের পুরোটাই নিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্ত... জায়গা গ্রহণে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসছে। ঠিক যেন ছাত্রদলের জায়গায় ছাত্রলীগ ;)... দলের পুরোনো কর্মীরা তেমন পাত্তা পাচ্ছেনা... নতুনদের জয়গান... পুরোনো পাতা ঝরে গিয়ে কচি পাতায় ভরে উঠছে গাছ। দখিনা বাতাসের আদুরে স্পর্শে মনটা কিরম জানি উদাস লাগে... লাইক বিরোধী দল... সদ্য ক্ষমতা থেকে বিদায় /:)। প্রকৃতির এই পালাবদলে নাড়িয়ে দেয় আমাদের। কিরম জানি মোচড় দেয় ভেতরটা... ম্যাজম্যাজে একটা আমেজ কাজ করে নিজের মধ্যে। আর সেই কারণেই হয়তো আমরা শীতের রিক্ততা ঝেড়ে ফেলে মেতে উঠি বর্ণিল উৎসবে। বরণ করি ঋতুরাজকে...

প্রতিটা বছর বিরহের মাঝেই দিনাতিপাত ছিল বসন্তগুলোতে... একা একা মফিজের মত ঘুরে বেড়ানো... বন্ধুরা বলত “আর কতো”? সহকর্মীদের টিপ্পনী... আত্মীয়দের দূরত্বে থাকা... সময় বদ্‌লায়... বদ্‌লাতে হয়... কারণ যেখানে আছে বাংলা লিংক সেখানেই থাকবে দিন বদলের ছোঁয়া ;) ... কোন এক চুপিসারে একাকিত্বের নির্বাসন /:) ... একজন সঙ্গী ... গ্রীষ্ম..বর্ষা.. শীত বসন্ত... সময়টা জুড়েই... আমার পাশে :D ... ভালবাসার সঙ্গী... মনেরি রঙে রাঙাবো... বনেরো ঘুম ভাঙাবো... সেই কিন্নরী কন্ঠে প্রতিটা সকাল আমার ...

সারাদিন বউটারে নিয়ে ঘুরে বেড়ালাম... সেই একাকিত্বের নির্বাসন ;)... ভাল লাগল অসম্ভব। ভাল লাগায় ছেয়ে থাকা দিনের পুরোটা জুড়েই ... আহা আজি এ বসন্তে ... কত ফুল ফুটে... কত পাখি ডাকে... সত্যিই তাই.. প্রকৃতির সাথে মনের রাঙিয়ে যাওয়া।



মেয়েটা তার তিনটা বাসন্তী রঙের শাড়ী নিয়ে বিছানায় বসে আছে মন খারাপ করে..
মেয়ে: বলোনা কোন শাড়ীটা পরবো
মেয়ে: ১টা মিনিট সময় দিলে কি হয়? :(

ছেলেটা ব্যস্ত ইন্টারনেট নিয়ে... কিছুক্ষণ পর ছেলেটার খেয়াল হলো বউটা বসে আছে... মেয়েটা বার বার জানতে চাচ্ছিল কোন শাড়ীটা পরবে বসন্তের এই দিনে... ক্যাবলা টাইপ পোলাটার পক্ষে শাড়ির এইসব বোঝা যদিও কষ্ট তবুও অপরিপক্ব দৃষ্টিতে জানিয়ে দেয়া.. পরদিন সেই শাড়ির সাজে সারাদিন মেয়েটাকে নিয়ে টইটই করে ঘুরে বেড়ানো... ;)

মেয়েটার হৈচৈ’য়ে প্রচণ্ড অনীহা ... তারপরেও সকালে উঠে ছেলেটাকে নিয়ে বেড়িয়ে পরা... পাব্লিক লাইব্রেরী... চারুকলা... টি.এস.সি... শেষে বই মেলা। হাটায় ক্লন্তি এরে ভর করে... তবুও বিরামহীন পথচলা... যদি ছেলেটা কষ্ট পায়... ছেলেটার সুখেই মেয়েটার আনন্দ :) ...

অদ্ভুত এক আবেশে মোহান্ধ হয়ে আছি... সর্বক্ষণ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়... হৃদয় মন সারা অনুভবে... তোমারই প্রতিচ্ছায়ায় মিশে আছে – কি সে ছায়া আর মোহ, কেবলই মায়া? ভালবাসা... আহা সে এক দারুণ অনুভবের ছুটে চলা... ছেলেটার হৃদয়ের গভীরে কারা নেড়ে যায়... শুধুই ভালবাসা? লুকিয়ে লুকিয়ে বউটাকে দেখতে ভালই লাগে... মায়াবী মুখটায় তার সমস্ত ভালবাসা.. কেমন যেন একটা শিহরীত অনুভব... শুধু একদিন ভালবাসা .. মৃত্যু যে তার পর... তাও যদি হয় .. আমি তাই চাই... চাইনা বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর...

মন ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় যার হাসিতে ... সুর তুলে যায় বাশিতে... সে এক মোহময়তা... মেয়েটির ভুবন ভোলানো মোহনীয় এই হাসিটাই ছেলেটা এলোমেলো করে দেয় :) ... তীর্থের কাকের মত প্রতিক্ষা ... কখন একটু হাসবে... যেন স্বর্গ হাতে পাওয়া...



মূলতঃ গ্রামে বসন্তের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়... ঝরা পাতায় পায়ে হাঁটার পথ ছেয়ে যায়... ঘাসের উপর লাল লাল ফুল পড়ে থাকে... ডালে ডালে শালিকে উৎসব... গাছে গাছে কোকিলের কুহুতান... আর চারিদিকে শন শন বাতাস... মাদকতা... আহা এরকম যদি হতো বছরের প্রতিটি সময়...

চিরকালীন প্রাকৃতিক রীতির পথ ধরে বাঙালির দরজায় আবার কড়া নাড়ছে ঋতুরাজ বসন্ত। পয়লা ফাল্গুনের ভোর থেকেই খোপায় খোপায় শোভা পাবে হলুদ গাতা-চন্দ্রমল্লিকা গোলাপ আচ্ছাদনে ভেসে উঠবে বাসন্তী রঙ। এসো মেতে উঠি নবীন প্রাণে বসন্তে।


ভেসে ভেসে হেমন্তের পর
এসেছে বসন্ত,
রঙে রঙে ভরে যায় আমার স্বদেশ
সবার কন্ঠে ছড়ায় সেই সুরের আবেশ।

পুষ্পের বাগানে চলে বিপুল সমারোহের সাজ;
বাসন্তী দিয়ে গেল ব্যাকুল বসন্তের সুরভী আজ,
কোকিল ছড়িয়ে দিয়ে গেল তার সুরের মুর্ছনার আমেজ।

ছন্দে ছন্দে দোলে মন-নাচে অন্তর,
আনন্দ ছড়িয়ে গেল সারা দেশের পথ-প্রান্তর।
আনন্দের ঝর্ণাধারা বয়ে যাক সবার জীবনে,
বসন্ত নামুক বাসন্তীর সুবাস ভরা মানুষের কল্যাণে।


কবিতার জন্য কৃতজ্ঞতা : Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০১
২৫টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×