এটনমেন্ট (২০০৭)
প্রায়শ্চিত্তই এ ছবির মূল বক্তব্য। ১৩ বছরের এক কিশোরীর অকপট ও ভয়ঙ্কর একটি মিথ্যা স্বাক্ষ্য পাল্টে দেয় এক জোড়া নরনারীর জীবন। কিশোরীর নাম ব্রিয়নি। সে ছোটো বেলা থেকেই লেখালেখি করে।
রবি নামের এক ছেলে তাদের বাড়িতে আশ্রিত। আর সিসিলিয়া হলো ব্রিয়নির বড় বোন। ব্রিয়নি ভাবে রবি কামুক চরিত্রের। সে বোন সিসিলিয়াকে উত্তক্ত করছে। কিন্তু ব্রিয়নির এই ধারণা ভুল।
ভুল ধারণার কারণ সবসময়ই ব্রিয়নি অর্ধেক সত্যকে দেখেছে। পুরো সত্যি হলো রবি ও সিসিলিয়া এক অপরকে ভালোবাসে।
ত্রিশ দশকের অবস্থাসম্পন্ন ইংলিশ পরিবারে একদিন কয়েকজন অতিথি আসে। সেদিন রাতেই ডিনারের পর ব্রিয়নির এক দূর সম্পর্কের বোন ধর্ষিত হয়। অপরাধী বেড়াতে আসা অতিথিদের একজন। কিন্তু ব্রিয়নি তা আঁচ করার পরও দোষ চাপায় রবির ঘাড়ে। রবিকে জেলে বন্দী করা হয়। সেখান থেকে তাকে বাধ্য করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিতে। যা রবি ও সিসিলিয়াকে আলাদা করে দেয়।
শেষ বয়সে সে কাহিনীই ব্রিয়নি লিখে ওঠে। যেখানে দেখানো হয় ব্রিয়নি তার বোন ও রবির কাছে দোষ স্বীকার করেছে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়ে ওঠে নি ব্রিয়নির। ক্ষমা সে চাইতে পারে নি তার বোন আর রবির কাছে। ক্ষমা চাওয়ার বাসনা পূরণ হয় তার কাগজের লেখাতেই, বাস্তবে নয়।
ওদিকে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে সিসিলিয়া আর রবি মারা যায় ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়। ছবিতে দেখা যায় বৃদ্ধ ব্রিয়নি এমন সাক্ষাৎকারই দিচ্ছেন তার উপন্যাস ‘এটনমেন্ট’ সম্পর্কে। এভাবেই শেষ হয় চমৎকার বুনোটের এ ছবিটি।
ইয়ান ম্যাক-ইউয়ান রচিত উপন্যাস ‘এটনমেন্ট’কে নির্ভর করেই জো রাইট ছবিটি পরিচালনা করেন। এতে অভিনয় করেছেন জেমস ম্যাকাভয়, কিরা নাইটলি, সায়র্স রনান প্রমুখ। ছবিটি আশিতম একাডেমি এ্যাওয়ার্ডে বেস্ট অরিজিনাল ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার ছাড়াও বেস্ট পিকচার ও বেস্ট রাইটিং ক্যাটাগরিসহ ছয়টি বিভাগে মনোনীত হয়।
(ক্যানভাস মে, ২০০৮ সংখ্যায় প্রকাশিত)
আলোচিত ব্লগ
একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ
(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাড়ির কাছে আরশিনগর
বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।
কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি ভালো আছি
প্রিয় ব্লগার,
আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ
(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন
এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!
অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন