গেওর্গে আব্বাস
উৎসর্গ:
বীরেন্দ্রকেশরী তব রূপ ও জ্ঞান চূড়ামণি, রোদস্য অমূল্য রত্নেশ্বরী কবি কালেশ্বরী হে ত্রিকালদর্শিনী অমৃতপুত্রী হে দর্শনশাস্ত্ররূপিনী, নারী ধনবতী পবনপুত্রী হে হিমালয় পর্বতসুন্দরী অহ গৌড়জননী ওঁম সর্বকালজ্ঞা অমৃতভাষিনী জল-স্হল মঙ্গলম কবি শ্রীমতি শূন্যস্হান শ্রীচরণেষু
সেইসব মেঘের মাতৃমঙ্গল ধীরে মিলিয়ে যাবে মৃত্যুপথযাত্রীর চোখের পাথরে। একদিন আমি আর কবিতা লিখব না। বাউড়ি কেটে চলে যাব তোমাদের শহর, সঙ্গে নিয়ে সামান্য আপেল, ঈষৎ পুড়ে-যাওয়া...
বন্ধু যারা, বজ্রমন্ডিত
তাহাদের মধ্যান্হভোজে আমিও রেখে যাই
কিছু কিছু ক্ষত পুস্প, পাখির কাবাব।
বেদিনীকুন্ড অহ!
দেবীরাও পান করে অজস্র জীবের উড়াল!
একদিন আমি আর কবিতা লিখব না
আমার প্রেয়সী হায়!
চোখের ভুরুতে দেখি উড়ন্ত তৃষ্ণারেখা
প্রতিঅঙ্গে ডুমুরের ঘ্রাণ স্হির হয়ে আছে...
আমি নাম ভুলে গেছি
আমি তার নাম ভুলে গেছি- তাহাদের পরগনা তাহার সাকিন...
সূচাগ্রের মত শীত
হাড় হতে হাড়ে, নৃত্যরত
মাথার উপরে বাতাসের ওজন হাত, পা, কেশর সমেত ক্রমবর্ধিত...
আমি দাঁড়াবো না
এ-জমিন, জননীর দেহে ভর করে আর দাঁড়াবো না
এত এত মৃত অক্ষর চারিদিকে
দীর্ঘ বসে থাকবো পিতা
সন্তানহারা শকুন জনকের মত
একদিন আর আমি কবিতা লিখব না।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:১৫