সামাজিক আন্দোলন হিসাবে আমাদের ফুড কালচার পরিবর্তন হয়ে পড়েছে। তাতে আমাদের কোন ভূমিকা নেই। বহুজাতিক কোম্পানী গুলো তাদের পন্য বিক্রির কৌশলের সাথে সাথে আমাদের অভ্যাস অনেক খানি পরিবর্তন করে দিয়েছে। অধিক জনসংখ্যার অধ্যূসিত এই বাংলাদেশে ফার্ষ্ট ফুড ব্যাবহারকরীর পরিমান ৮/১০ % এর বেশি নয়। বাদ বাকি মানূষ তিনবেলা ভাতের উপর নির্ভরশীল।
কথাটা সেই মাছে ভাতে বাঙ্গালীর ।
এখন আমরা কতটুকু মাছে ভাতে বাঙ্গালী?
১৫কোটি জনসংখ্যা অধূসিত স্বল্প আয়তনের এই বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন কতটুকু বৃদ্ধি করা সম্ভব। তাই পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা ঠিক রেখে বিকল্প খাদ্য উপাদানে নির্ভরশীলতা বাড়ানো সময়ের দাবী হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
দৈনিক হা ভাত গলাদ করন এর সংখ্যা আমাদের দেশে একেবারে কম নয়। এই অতিরিক্ত গলাদ করনের কারনে আমাদের মানুষের হিতাহিত জ্ঞান না থাকায় অতিকায় স্থুল বা মোটা হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন অসুখ বিসুখের সম্মুখিন হচ্ছে।আর ছিটকে পড়ছে স্বাভাবিক জীবন যাপন থেকে। আমাদের ক্ষুদ্র ষ্টমাক বাড়তে বাড়তে একেবারে গলার কাছে এস পড়ছে। পরিমিত পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। বাংলাদেশে পুষ্টি কার্যক্রম বিদ্যমান। কিন্তু যথাযথ মিডিয়ার অভাবে মানুষের কাছে পৌছতে পারছেনা।
পুষ্টি কার্যক্রমের মাধ্যমে পর্যাপ্ত সচেতনতার জন্য এই কার্যক্রমকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসাবে পরিচালনা করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে ।
সূষম খাদ্য তালিকা দিতে পারে একজন মানুষকে তার স্বচ্ছলতা। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের হতে হবে মিতব্যায়ী । কাংখিত লক্ষ্য উন্নত জীবন ব্যাবস্থায় পৌছতে হলে খাদ্য তালিকার পরিবর্তন জরুরী হয়ে পড়েছে।
আমাদের খাদ্য তালিকায় কি আসতে পারে।
ম্যাকডোনাল্ট, পিৎজাহাট, ডমিনোজ অথবা অন্যকোন বিদেশী কোম্পানী।
আমার মনে হয় সবাই একবাক্যে বলবেন না।
বরং আমরা পিছনে ফিরে যেতে পারি।
চিড়া নারিকেল,মরচাগুড়ের পিঠা, পাটিসাপটা,চুঙ্গা পিঠা, টক দই। আরো নানান স্বাদের পিঠা আমরা দৈনন্দিন খাবার তালিকায় সন্নিবেশিত করতে পারি।
তবে তা হবে আধুনিক মডেলে। মানুষের ক্রয়সিমার মধ্যে।
অল্প খরছে মানুষের দোরগোরায় পুষ্টিকর সহজলভ্য খাদ্য পৌছে দিতে প্রয়োজন মানুষের সহযোগিতা।
এই ব্যাবসা বান্ধব সহযোগিতার হাত আমাদের দিতে পারে সঠিক দিক নির্দেশনা এবং ভবিষ্যতে বিদেশীদের কাছে পিঠাফুড জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে এবং একটি নতুন খাদ্য সংস্করনে আমাদের সুনাম পৃথিবীব্যাপি ছড়িয়ে পড়তে পারে। তখন হয়তো ম্যাকডোনাল্ট এর জায়গায় পিঠাডোনাল্ট বিশ্বব্যাপি খুবই জনপ্রিয় হবে।