আজকের ওয়েদার একটু বেশী খারাপ।বৃষ্টি,বাতাস আর মাঝে মাঝে তুষারপাত।ক্লাসে যেতে দেরি আছে।বসে ছিলাম।হঠাৎ বুক সেলফে রাখা আনিসুল হকের ´´মা´´ বইটার দিকে চোখ গেলো।টেনে বের করলাম।বইটা আগেই ২বার পড়েছি।মায়েরা এতো ভালো হয় কেন? মা,,, আমার মা।মা কে ভীষন মনে পড়ে গেলো।মায়ের মিষ্টি গন্ধটা আমাকে মাতাল করে তুললো।হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে মন চলে গেলো মায়ের কাছে। মা,, মাগো,,, তোমাকে অনেক মিস করছি।
বৃষ্টি আর মা, মনে পড়ে গেলো একটা স্মৃতি।শেষবার যখন দেশে যাই,সময়টা ছিলো বর্ষাকাল।আমি গ্রামের মেয়ে।বৃষ্টি কাদা মাটি আমাকে অনেক টানে।বলা যাই,আমি একটু প্রকৃতি প্রেমিক।যাইহোক,সেদিন দুপুরেও যথারীতি বৃষ্টি হচ্ছিলো।বারান্দায় বসে বৃষ্টি দেখছিলাম।হঠাৎ বৃষ্টিতে ভেজার পাগলামি মাথা চাড়া দিলো।যা ভাবা তাই কাজ।চুলের ক্লিপ খুলে নিজেকে ভাসিয়ে দিলাম অঝরে ঝরা বৃষ্টির বারি ধারায়।সারা উঠোনময় ডানা দুটো মেলে ভাসছিলাম। আমার মা বারান্দায় বসে আমার ছেলেমানুষি কান্ড গুলো দেখছিলেন আর মিট মিট হাসছিলেন।দুষ্টু বুদ্ধিটা তখনি মাথায় এলো।মাকে টেনে বৃষ্টিতে নামালাম।মা তো ভীষন চেচামেচি শুরু করছেন। আমি কিছুই শুনছি না।মা কে জড়িয়ে ধরে বৃষ্টিতে দাড়িয়ে থাকলাম।কিছু বোঝার আগেই মায়ের ডান হাতটা টেনে আমার মাথায় রাখলাম আর বললাম,, বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে আমাকে দোয়া করে দাও,যেন তোমার মেয়ে ভালো থাকে।কপালে একটা চুমা দিয়ে বুকে জড়িয়ে মা আমাকে অবাক করে দিয়ে অঝরে কেঁদে ফেললেন।আমি মায়ের সবচেয়ে ছোট সন্তান।মা কে ছেড়ে থাকতে আমারো অনেক খারাপ লাগে।মাকে জড়িয়ে ধরে আমিও কান্না শুরু করলাম।আমাদের কান্না দেখে মেঘের কান্না আরো বেড়ে গেলো।মা তুমি এতো ভালো কেন ?
আমার মা অসুস্থ, আমি সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।