বিধি-৩ : পতাকার বর্ণনা ও আকার
জাতীয় পতাকা হবে গাঢ় সবুজ জমিনের ১০:৬ আনুপাতিক দৈর্ঘ্য প্রস্হের আয়তকার যার সবুজের মধ্যভাগে পতাকার দৈর্ঘ্যের ১/৫ অংশের ব্যাসার্ধ সম্বলিত লাল রঙের বৃত্ত, এ বৃত্তের কেন্দ্র বিন্দু হবে পতাকার দৈর্ঘ্যের ১/১২ অংশে অঙ্কিত লম্বের ও প্রস্হের মধ্যভাগ হতে কল্পিত রেখার ছেদ বিন্দুতে।
(১) রঙ
ক) পতাকার জমিন হবে-গাঢ় উজ্জ্বল সবুজ।
খ) লাল গোলকের রঙ হবে- গাঢ় উজ্জ্বল কমলা।
(২) ভবনের জন্য জাতীয় পতাকার মাপ
ক) ১০″×৬″
খ) ৫″×৩″
গ) ২.৫″×১.৫″
বিধি-৪ : জাতীয় পতাকা উত্তোলন সম্পর্কিত
(১) নিম্নে বর্ণিত দিবস এবং উপলক্ষ সমূহে পতাকার পূর্ণ উত্তোলন হবে :
ক) মহানবীর জন্ম দিবস
খ) ২৬শে মার্চ
গ) ১৬ই ডিসেম্বর
ঘ) সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যে কোন দিবস।
(২) নিম্নে বর্ণিত দিবস এবং উপলক্ষ সমূহে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে :
ক) ২১শে ফেব্রুয়ারি এবং জাতীয় শোক দিবস এবং
খ) সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যে কোন দিবস।
বিধি-৭ : জাতীয় পতাকার মর্যাদা
(১) জাতীয় পতাকা জাতীয় অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। সুতরাং জাতীয় পতাকার প্রতি সর্বদা যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শন করতে হবে।
(৮) কোন মিছিলে পতাকা বহন করা হলে তা ঐ মিছিলের কেন্দ্রে অথবা মিছিলের অগ্রগমন পথের ডান দিকে বহন করতে হবে।
(১২) পতাকা অর্ধনমিত* অবস্হায় উত্তোলনের ক্ষেত্রে পতাকাটি প্রথমে দন্ডের চূড়ায় উত্তোলন করে অর্ধনমিত অবস্হানে আনতে হবে এবং পতাকা নামানোর প্রাক্কালে পতাকাটি দন্ডের শীর্ষ উত্তোলন পূর্বক নামাতে হবে।
* অর্ধনমন : পতাকা সম্পূর্ণ উত্তোলন করার পর পতাকার প্রস্হের সমান পরিমান নীচে নামাতে হবে
(১৭) পতাকা সবসময় ঊর্ধ্বে রেখে মুক্তভাবে বহন করতে হবে।
(২১) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক লিখিত অনুমতি ও আরোপিত শর্ত (যদি থাকে) ছাড়া ট্রেড মার্ক বা নকশা বা পেটেন্টের শিরোনাম অথবা কোন ব্যবসা, বাণিজ্য, পেশা বা বৃত্তির উদ্দেশ্যে
অথবা অন্য কোন উদ্দেশ্যে পতাকা ব্যবহার করা যাবে না (সংক্ষেপিত)।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৩