এই পৃথিবীতে আমরা এসেছি কিছু রেখে যাওয়ার জন্যে। কি রেখে যাচ্ছি তার হিসেব কষবে মহাকাল।
আমাদের এক স্যার ছড়ি হাঁকিয়ে বলতেন--ওরে দাগ রেখে যা, দাগ রেখে যা।
আমরা অবাক হয়ে দেখতাম, অনেকের পিঠে দাগ রেখেছেন তিনি। দাগ আঁকা মাস্টারমশাই হিসেবে তিনি অনেক পড়ুয়ার মনে দাগ রেখেছেন।
সুসাহিত্যিক সৈয়দ মুজতুবা আলী ছিলেন খুব রসিক এবং আড্ডা-প্রিয় মানুষ। তাঁর এক ভক্ত লেখকের লেখায় পড়েছিলাম, একদিন আড্ডার শেষে সকলেই যখন উঠেছে, তিনি বললেন--কি-রে কি রেখে গেলি তোরা?
সকলেই নিজেদের জিনিষপত্র মিলিয়ে দেখে বললো--আমরা কিছু রেখে যাচ্ছি না।
মৃদু হেসে তিনি বলেছিলেন--বোকার দল তোমরা এখানে স্মৃতি রেখে যাচ্ছো।
জনৈক রামবাবু তাঁর মৃত্যুশয্যায় একমাত্র ছেলেকে কাছে ডেকে বললেন--তোর জন্যে যা রেখে গেলাম, সারাজীবন বসে খাবি।
বাস্তবিক তাই, তিনি তাঁর একমাত্র ছেলের জন্যে রেখে গেছিলেন একটি কাঁঠাল কাঠের পিঁড়ি।
রামবাবুর চেয়ে শ্যামবাবুর কথা অনেক বেশী লোকে জেনেছিল। কারণ তিনি তাঁর সমস্থকিছু অনাথ আশ্রমে দান করে গেছিলেন।
কি ছিল সেই সমস্থকিছু ?
--তিনটি ছোট ছেলেমেয়ে।
(বিখ্যাত এক হাসির লেখকের কয়েকটি কৌতুকের স্মৃতি-ভার্শনে ব্লগান্তর)
সবিনয় নিবেদন-এটা আমার শততম পোস্ট