আবদুল আওয়ালের কথা আমি আগে কোথাও পড়ি নি। বাংলা একাডেমীর ‘চরিতাভিধান’ ঘাটতে গিয়ে তার পরিচয় পেলাম। জানলাম তার আত্মদানের কথা। তার জন্ম ১৯২৬ সালে, আর ছাব্বিশ বছর বয়সে ১৯৫২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার পিতার নাম মোহম্মদ হাশিম। তার বাড়ী ছিল ১৯, হাফিজুল্লাহ রোড, ঢাকা। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী বিক্ষোভকারী ছাত্র-জনতার উপর পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
মোট কতজন নিহত হয়েছিলেন, তাদের পরিচয় তার পূর্ণ বিবরণ অবশ্য পাওয়া যায় না। কারন বিক্ষোভের পর পুলিশের গুলিতে নিহত অনেকের লাশ ওই রাতেই পুলিশ এবং সেনাবাহিনী মর্গ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং গুম করে ফেলে।
তবু যাদের জানতে পেরেছি আর যাদের জানতে পারি নি সবার প্রতি রইল শ্রদ্ধা।
আপডেট: বাংলা একাডেমীর চরিতাভিধানে লেখাছিল তিনি নিহত হন ২২ ফেব্রুয়ারী। আমি ভেবেছিলাম মূদ্রণপ্রমাদ। কিন্তু পরে জানতে পারলাম ২১ ফেব্রুয়ারী ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে পরদিন মিছিল হয়। পুলিশ সেখানেও গুলি চালায়। তখন আবদুল আওয়াল নিহত হন। সেদিন অহিউল্লাহ নামক আট বছর বয়সী এক বালক পুলিশের গুলিতে নিহত হন। অহিউল্লাহ সম্ভবত মিছিল দেখতে বেরিয়েছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৪৯