সৃষ্টির আদিতে সুর ছিলো। সুরের মুর্ছনায় একে অপরকে বুঝতে শিখতো, জানতে শিখতো। তখন ছিলো না কোনো ভাষা, ছিলো চোখে-মুখের অঙ্গ-ভঙ্গির ইঙ্গিত। এর পরবর্তী প্রদক্ষেপে সুরের মাধ্যমে একে অপরকে বুঝতে শিখলো, জানতে শিখলো। মানুষ সেই সুরের মাধ্যমেই জীব-জন্তু, পশু-পাখির কন্ঠের স্বররে সুর নিজের কন্ঠে প্রকাশ করতে শিখলো। যার সব কিছুর মূলে সেই সুর............যা আজ আমরা মনের ভাব যেভাবে প্রকাশ করি।
একটু চিন্তা কররলই বুঝা যায় যে, এই সুর যখন ছিল না, তখন মানুষ কিভাবে মনের ভাব প্রকাশ করত? আজকে আমরা সুর দিয়ে কথা বলি মনের ভাব প্রকাশ করি তা কেউ কোন দিন কিছু ভেবে দেখেছি ?
তবে একথা সত্য যে, সুর সৃষ্টিকর্তার ঐশ্বরিক দান মানব জাতির জন্য। পৃথিবীতে যত প্রকার সুর যন্ত্র আছে তার মধ্যে বাঁশী অন্যতম। বাঁশী একটি অতি প্রাচিন বাদ্যযন্ত্র।