বুড়ো মানুষ।
বাতের ব্যাথাটা আজকাল বড় সমস্যা দেয়।
সকাল বেলা উঠতে কষ্ট হলেও হাড় কাপানো শীতে গোসল করা আমার কাছে শাস্তির মতো লাগে। এরপর আছে নামাজের তাগিদ। সকালের নামাজটায় মন হয় প্রফুল্ল। সারাদিনের কাজে পাই আনন্দ।
কচুয়ান প্রতিদিন লাগাম হাতে ঠিক সময় করে সকাল ৬:৫০মিঃ হাজির। রেডি হয়ে দরবারের উদ্দেশ্য যাত্রা ।
দরবারে বসে থাকা আর তোদের সাথে গল্পগুজব আর সাথে কমপক্ষে ৪ কাপ চা । ঠিক ১১:৩০ মিনিটে বেয়ারার মিনতি রাজামশাই আপনার লাঞ্চ রেডি। আর কি করা খেয়ে দেয়ে কিছুক্ষন রেষ্ট নেওয়া আর দুপুরের নামাজ পড়ে আবার দরবারে।
ঠিক ৪:০০টার সময় আবার কচোয়ান হাজির লাগাম হাতে। ফিরে যাই মহলে। কি আর করা ৫:৩০ বাজতেই আবার বেয়ারার মিনতি রাজমশাই আপনার ডিনার রেডি। মাঝে মাঝে ধমক দেই এখন না মাগরিবের নামাজের পর। চুপ করে চলে যায়। কিঞ্চত খেয়ে দেয়ে আবার মহলে যাই। চুপ করে বসি টিভি দেখতে। ১১৫৪টা চ্যানেল এর মধ্যে আর দেখা হয় না কিছুই । এশার নামাজের পর । আবার টিভি দেখতে বসি এই সময় বাংলা ভিশনে বসুধা সিনেমার গানের অনুষ্ঠানটা দেখি প্রতিদিন।
রাত ১১:০০ টার দিকে ঘুম চলে আসে । ঘুমিয়ে পড়ি । শুরু হয় আবার আর একটি দিন।
এই চক্র চলতে থাকে অবিরাম অবিরত। আজ এই পর্যন্ত, আরেক দিন চক্রভাঙ্গার কথা লিখব।